আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং ব্রিকসে বাংলাদেশের যোগদানের আবেদনের বিষয়ে রুশ সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের জবাবে বেইজিংয়ের অবস্থান জানিয়েছেন।
বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির পাঁচ দেশ— ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকার সমন্বয়ে গঠিত জোট ব্রিকসে নতুন সদস্যদের স্বাগত জানাতে চীন প্রস্তুত রয়েছে।
মঙ্গলবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং পাঁচ দেশের এই জোটে বাংলাদেশের যোগদানের আবেদনের বিষয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম আরআইএ নভোস্তির এক প্রশ্নের জবাবে বেইজিংয়ের অবস্থান জানিয়েছেন।
ADVERTISEMENT
মাও নিং বলেন, উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার এক গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ব্রিকস বহুপাক্ষিক অবস্থান সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই জোট বিশ্বজুড়ে শাসন ব্যবস্থার সংস্কার জোরালোভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি করছে।
মুখপাত্র বলেন, ব্রিকসের সম্প্রসারণ একটি রাজনৈতিক ঐকমত্যের প্রক্রিয়া। পাঁচ সদস্য রাষ্ট্রই এই ঐকমত্যে পৌঁছেছে। ব্রিকসের সম্প্রসারণ এগিয়ে নেওয়ার জন্য চীন প্রতিশ্রুতিশীল রয়েছে। ব্রিকসের বড় পরিবারে আরও সমমনা অংশীদার আনতে প্রস্তুত রয়েছে চীন।
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এই জোটে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছে বলে দেশের গণমাধ্যমগুলোতে খবর চাউর হয়েছে।
তবে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক আবেদনের তথ্য সঠিক নয় বলে ঢাকা পোস্টকে নিশ্চিত করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন, ‘আমরা ব্রিকসের সদস্য পদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করিনি। যদি ব্রিকস বাংলাদেশকে আমন্ত্রণ জানায়, আমরা সেখানে অবশ্যই যুক্ত হব।’
কূটনৈতিক সূত্রগুলো বলছে, আগস্ট মাসে ব্রিকসের শীর্ষ সম্মেলন হবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। সেখানে নতুন সদস্যপদ দেওয়ার বিষয়ে আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বাংলাদেশ ছাড়াও সৌদি আরব, আর্জেন্টিনা, আলজেরিয়া, বাহরাইন, মিশর, ইন্দোনেশিয়া ও ইরান ব্রিকসের সদস্য পদ পেতে চায়।