নিজস্ব প্রতিবেদক: গণপূর্ত অধিদপ্তরের ই/এম ৮ শাখার নির্বাহী প্রকৌশলী ও স্টাফ অফিসার ফারজানার কমিশন বাণিজ্যে দিশেহারা ঠিকাদাররা। কমিশন দিলে অনভিজ্ঞ নতুন লাইসেন্সও মিলছে কাজ আর কমিশন না দিলে দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞ ঠিকাদাররাও কোন প্রকার কাজ পাওয়া তো দূরের কথা ওই অফিসের বারান্দাও মারাতে পারেন না এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।
একাধিক ঠিকাদার প্রতিবেদককে জানান, ই/এম ৮ শাখায় চলছে ভয়াবহ কমিশন সিন্ডিকেট। প্রধান নির্বাহী তৌহিদুর রহমান ও তার সহযোগী স্টাফ অফিসার ফারজানার দুর্নীতি অনিয়ম এ কোণঠাসা হয়ে পড়েছেন পেশাদার ঠিকাদাররা। নিত্য নতুন কথিত ঠিকাদারদের কাজ দিয়ে অনৈতিক সুবিধা গ্রহণ যেন ওপেন সিক্রেট হয়ে উঠেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ঠিকাদার প্রতিবেদককে জানান, আমরা শিডিউল জমা দেওয়ার পরে প্রধান নির্বাহীর স্টাফ অফিসার ফারজানা ৬% পার্সেন্ট হারে কমিশন চেয়েছেন, কমিশন দিতে রাজি না হওয়ায় আমার টেন্ডার রিজেক্ট করে দিয়েছেন। পরবর্তীতে এমন একজনকে ওই কাজ দিয়েছেন যিনি এর আগে কখনোই কোন কাজ করেনি তার লাইসেন্স একেবারেই নতুন । পুরোপুরি অনভিজ্ঞ ঠিকাদার তিনি।
সুত্র জানায়, ই/এম ৮ শাখায় কাজ না করেও বিল উত্তোলন ও পছন্দের ঠিকাদারদের ৬% পার্সেন্ট ঘুষের বিনিময়ে কাজ দেয়া সকল ঠিকাদারদের কাছেই এখন ওপেন সিক্রেট। যেসব ঠিকাদাররা অনৈতিক ঘুষ প্রদান না করে তারা দিনের পর দিন ঘুরেও কোনো কাজ পাচ্ছেন না।
এসব অভিযোগের বিষয় জানতে নির্বাহী প্রকৌশলীর মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। এমনকি খুদে বার্তা পাঠানো হলেও কোন উত্তর দেননি।
গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী শামীম আখতারের বক্তব্য জানতে ও একাধিকবার ফোন করা হয় কিন্তু তিনিও ফোন রিসিভ করেননি।