সিসিক নির্বাচন: শাবিপ্রবি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু
- আপডেট সময় : ০৮:৫৫:১০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২১ জুন ২০২৩ ২১৯ বার পড়া হয়েছে
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রে আজ বুধবার (২১ জুন) সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সকাল ৮টা থেকে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)-এর মাধ্যমে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে।
সিটির ৩৭ নং ওয়ার্ডভুক্ত শাহজালাল ইউনিভারসিটি স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে সকাল ৭টা থেকেই লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন ভোটাররা। ইভিএম-এ ভোট দেওয়া নিয়ে এক ধরণের কৌতুহল কাজ করছে তরুণ ভোটারদের মধ্যে। বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনায় নারী-পুরুষ ভোটাররা ভোট দিতে শুরু করেছেন।
এবারের সিসিক নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে মোট ১৯০টি। এর মধ্যে ১৩২ কেন্দ্রকে ‘গুরুত্বপূর্ণ’ (ঝুঁকিপূর্ণ) হিসেবে চিহ্নিত করেছে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।
নিরাপত্তা নিশ্চিত রাখতে তৎপর বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরিয়াল বডি। প্রক্টর অধ্যাপক ড. কামরুজাম্মান চৌধুরী বলেন, সকাল থেকেই শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ শুরু হয়েছে। স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সহ সবাই কাজ করছে।
এবার বর্ধিত এলাকাসহ এবার মোট ৪২টি ওয়ার্ড নিয়ে সিসিক নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। মোট ভোটার সংখ্যা হলেন ৪ লাখ ৮৭ হাজার ৭৪৭ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ২ লাখ ৫৪ হাজার ৩৬৩ জন ও ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩৮৪ জন হলেন নারী ভোটার।
অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে ৪২ নির্বাহী ও ১৪ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে রয়েছেন। ১০ প্লাটুন বিজিবি, র্যাব, পুলিশ ও আনসারসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় ৭ হাজার সদস্যকে মাঠে নামানো হয়েছে। ১৯০ প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ দায়িত্ব পালন করবেন সাড়ে ৪ হাজারেরও অধিক ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, ১৯০ ভোটকেন্দ্রে ১ হাজার ২৭২ পুলিশ সদস্য ও ২ হাজার ২৮০ জন আনসার সদস্য মিলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মোট ৩ হাজার ৫৫২ জন সশস্ত্র সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়াও রয়েছে পুলিশের এপিবিএন-এর সদস্যরাও।
ভোটকেন্দ্রের বাইরেও রয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা বলয়। সিসিকের প্রত্যেক সাধারণ ওয়ার্ডে পুলিশের একটি করে মোট ৪২ ওয়ার্ডে ৪২টি মোবাইল টিম নিয়োজিত রয়েছে। প্রতি তিনটি সাধারণ ওয়ার্ডের জন্যে রয়েছে পুলিশের ১৪টি স্পেশাল স্ট্রাইকিং ফোর্স। ৪২টি ওয়ার্ডের জন্যে রয়েছে র্যাবের ২২টি মোবাইল টিম। প্রতিটি ওয়ার্ডে একজন করে মোট ৪২ ওয়ার্ডের জন্যে আছেন ৪২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।
এছাড়াও নির্বাচনী অপরাধসমূহ আমলে নিয়ে তা সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার সম্পন্নের লক্ষ্যে রয়েছেন বিচার বিভাগের ১৪ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট। গত সোমবার থেকেই এই ১৪ জন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে কাজ করছেন। নির্বাচনকালীন আইনশৃঙ্খলা পরিস্থতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে টানা ৫ দিন অর্থাৎ- আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২২ জুন) পর্যন্ত তারা মাঠে থাকবেন।