ভারতের ওড়িশার যেন মৃত্যুপুরী: জাতীয় শোক ঘোষণা তামিলানাড়ুর মুখ্যমন্ত্রীর
- আপডেট সময় : ০৪:০০:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ জুন ২০২৩ ২১৬ বার পড়া হয়েছে
অনিরুদ্ধ পাল, ইন্ডিয়া ব্যুরো চিফ: ওড়িশার বাহানাগা বাজার রেল স্টেশনে এখন শুধুই লাশের পাহাড়। সারি সারি মৃতদেহে ঢাকা পড়ে গেছে জায়গা। হয়ে উঠেছে মৃত্যুপুরী। ইতিমধ্যেই মৃতের বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৩৮। দক্ষিণ-পূর্ব রেল এই তথ্য দিয়েছে। বহু মানুষ ফোন করে তাদের পরিজনদের খোঁজ নিচ্ছে। নিকটজনকে হারানোর শোকে তারা স্কলেই আজ দেশেহারা হয়ে পড়েছে। মৃতদেহ খুঁজে পাওয়াই এখন তাদের কাছে কঠিন পরিস্থিতি হয়ে উঠেছে। পরিস্থিতির ভয়াবহতা সামাল দিয়তে খোদ রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণব নিজে উদ্ধারকারী দলের সঙ্গে থেকে উদ্ধারকাজ তদারকি করছেন।
ভারতের দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ে এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি দিয়ে দুর্ঘটনার বর্তমান পরিস্থিতি জানিয়েছে। তারা সেখানে বলেছে যে ট্রেন নং ১২৮৪১ শালিমার-চেন্নাই করোমন্ডল এক্সপ্রেস এবং ট্রেন নং ১২৮৬৪ স্যার এম বিশ্বেশ্বরায়া-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ২জুন সন্ধ্যা প্রায় ৬টা বেজে ৫৫ মিনিটে বাহানাগা বাজার রেলওয়ে স্টেশনের কাছে লাইনচ্যুত হয়। খড়্গপুর এবং ভদ্রক থেকে চিকিৎসা সরঞ্জাম, ডাক্তার এবং প্যারামেডিকস সহ দুর্ঘটনা ত্রাণ ট্রেন ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে।
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ২৩৮ জন নিহত হয়েছে। প্রায় ৬৫০জন আহত যাত্রীকে গোপালপুর, খাঁতাপাড়া, বালাসোর, ভদ্রক এবং সোরো হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
রেলমন্ত্রী ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার অভিযান তদারকি করছেন। জেনারেল ম্যানেজার, সাউথ ইস্টার্ন রেলওয়ে এবং অন্যান্য প্রধান কর্মকর্তারাও ঘটনাস্থলে রয়েছেন।
১২৮৬৪ স্যার এম বিশ্বেশ্বরায়-হাওড়া সুপারফাস্ট এক্সপ্রেস ১০০০জন যাত্রী নিয়ে হাওড়ার দিকে আসছে। একটি বিশেষ ট্রেন বালাসোর থেকে হাওড়ার দিকে প্রায় ২০০আটকা পড়া যাত্রী নিয়ে আসছে। খড়হপুর স্টেশনে যাত্রীদের জল, চা এবং খাবার সামগ্রী সরবরাহ করা হয়। হাওড়া স্টেশনেও ট্রেনে খাবারের প্যাকেট দেওয়া হবে। ইতিমধ্যে ৪টি ট্রেন বাতিল করা হয়েছে। বেশ কয়েকটি ট্রেনকে অন্যপথে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়েছে।