অভিভাবকদের উদ্বেগ
কামারখালিতে কলেজ প্রভাষকের অশ্লীলতা ভাইরাল: নিরব কলেজ কর্তৃপক্ষ!
- আপডেট সময় : ১২:৫৯:৫২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ মে ২০২৩ ২৭০ বার পড়া হয়েছে
বরিশাল প্রতিনিধি: ডিগ্রী কলেজের প্রভাষকের অশ্লীল স্থিরচিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লেও কলেজ কর্তৃপক্ষের নেই কোন ব্যবস্থা গ্রহণ। যে কারণে কলেজের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছেন বলে জানিয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে বরিশাল বাকেরগঞ্জ উপজেলার ৩নং দাঁড়িয়াল ইউনিয়নের আলহাজ্ব হযরত আলী ডিগ্রি কলেজের ইংরেজি প্রভাষক মো: মনিরের শিক্ষার্থীর সঙ্গে অশ্লীলতার কেলেঙ্কারির বিষয়ের বেশ কিছু চিত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে পরবর্তীতে স্থানীয় কিছু সংবাদ মাধ্যমে ও প্রচারিত হলেও অদৃশ্য কোনো কারণে বিষয়টি নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষের কোন প্রকার পদক্ষেপ নেই।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় একাধিক অভিভাবকগণ সকলের সংবাদকে জানান, সমাজে ছড়িয়ে পড়া এমন একটি বিষয় নিয়ে কলেজ কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি ভবিষ্যতে আমাদের সন্তানদের সাথেও এমন হবে না তার নিশ্চয়তা কি? বিষয়টা নিয়ে আমরা ভীষণ উদ্বিগ্ন।
একাধিক ভুক্তভোগী সূত্রে জানা যায়, কলেজে যোগদানের পর থেকেই একের পর এক শিক্ষার্থীদের সাথে কুপ্রস্তাব ও মেয়েদের উত্যক্ত করা যেনো প্রভাষক মনিরের নেশায় পরিণত হয়েছে। নারী কেলেঙ্কারির ঘটনায় এর আগে এক শিক্ষার্থী ও তার পরিবারের লোকজনের পা ধরে মাফ চেয়ে রক্ষা পায় সে-যাত্রায়। তখন সেঘটনায় কলেজ অধ্যক্ষ তাকে শাসালেও পরিবর্তন হয়নি তার নেশা।
সম্প্রতি কামারখালি কলেজের এক সাবেক শিক্ষার্থীর একটি ভয়েস রেকর্ড ছড়িয়ে পরে এলাকাজুড়ে। রেকর্ডে শোনা যায়, সাবেক ঐ শিক্ষার্থী জান্নাতকে(ছদ্মনাম) বরিশাল নগরীর বিএম কলেজ এলাকায় একটি রেস্টুরেন্টে ডাকে প্রভাষক মনির। সেখানে জান্নাত আসলে তাকে কলে কৌশলে কোমল পানির সাথে চেতনানাশক ঔষধ খাইয়ে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দেয় প্রভাষক মনির। সেসময় অনেকটা ধস্তাধস্তি করে কোনো মতে পার পেয়ে যায় জান্নাত।
জান্নাত বলেন, কামারখালি কলেজের প্রভাষক মনির আমার মোবাইল ফোনে বিভিন্ন আজেবাজে এসএমএস পাঠায়। এরপর একদিন আমাকে কল করে বলেন বিএম কলেজের সামনে আসো জরুরি একটু কথা আছে। তার কথামত আমি কলেজের সামনে গেলে তিনি একটা রেস্টুরেন্টে নিয়ে অনেকটা জোর জবরদস্তি করে আমাকে একটা কোক খাওয়ায়। এতে অনেকটা অচেতন হয়ে যাই আমি। এরপরে আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় হাত দেয় প্রভাষক মনির। এসময় তার কাছ থেকে বাঁচতে জোরাজোরি করে ছুঁটে যাই এতেকরে তার নখের আছরে আমার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় ক্ষত হয়ে যায়। লজ্জার ভয়ে বিষয়টি কাউকে জানাতেও পারিনি।
এবিষয় মন্তব্য জানতে প্রভাষক মনিরের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।