ঢাকা ০৪:২৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বুড়িচংয়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভায় সাংবাদিকদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা ইউএনও’র! Logo ইবি উপাচার্যকে ১০লাখ ঘুষ প্রস্তাব এক তরুনীর! Logo মামলায় জর্জরিত কুলাউড়ার ছাত্রদল নেতা মিতুল পালিয়ে আছেন প্রবাসে Logo ২৫ মার্চ গণহত্যা দিবসে মোমবাতি প্রজ্জ্বলনের মধ্য দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের কার্যক্রম শুরু Logo থিয়েটার কুবির ইফতার মাহফিল Logo রাজধানীর শান্তিনগর বাজার নিয়ে শত কোটি টাকার লুটপাট Logo ঢাবির সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি শিক্ষক সমিতির শোক Logo ঢাবি শিক্ষক ড. জিয়া রহমানের মৃত্যুতে শাবি উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo ময়মনসিংহ স্টুডেন্টস এসোসিয়েশনের নতুন সভাপতি সজীব, সম্পাদক আশিক Logo পুরান ঢাকায় জুতার কারখানার আগুন




জুমার পরে মসজিদের সামনেই আ.লীগ নেতাকে গলা কেটে হত্যা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:১৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩ ৮৪ বার পড়া হয়েছে

জুম্মার পরে মসজিদের সামনেই আ.লীগ নেতাকে গলা কেটে হত্যা

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের আলেখাচরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এনামুল হক আলেখাচর গ্রামের আবদুল ওয়াদুদের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, আজ শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ শেষে বের হলে প্রতিপক্ষের লোকজন এনামুলকে টেনেহিঁচড়ে মসজিদের সামনেই মাটিতে ফেলে গলায় চুরি চালায়। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে প্রথমে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ নিয়ে যাওয়া হয়। বেলা ৩টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এনামুল মারা যান।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমেদ নিয়াজ পাবেল অভিযোগ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কর্মী এনামুলের সঙ্গে জামায়াত নেতা কাজী জহির গংদের রাজনৈতিক বিরোধের পাশাপাশি এনামুলের প্রতিষ্ঠিত আলেখাচর দক্ষিণপাড়া জমিরিয়া তালিমুল হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার দখল নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ মাদ্রাসার সেক্রেটারি ছিলেন এনামুল। কাজী জহির গং দীর্ঘদিন ধরে এ মাদ্রাসা দখলের চেষ্টা করতেছিল। এ ছাড়া গতকাল বৃহস্পতিবার কাজী জহিরের মাদক সেবন ও জুয়া খেলার একটা ভিডিও ভাইরাল হয়। এর জন্য এনামুলকে দায়ী করে। এতে কাজী জহির গং এনামুলের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আজ জুমা পড়ে বের হলে কাজী জহিরের উপস্থিতিতে তার ভাই আমানুলসহ জামায়াত-শিবিরকর্মীরা এনামুলের গলা কেটে হত্যাচেষ্টা করে। তাঁকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে তিনি মারা যান।’
তবে কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো. কামরুজ্জামান সোহেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাজী জহির কখনো জামায়াত বা শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। সে আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী। দলীয় বিভিন্ন মিছিল-মিটিংয়ের সে যায়, সেসবের ছবি তার ফেসবুকে আছে। সে স্থানীয় নেতা আবুল হোসেন গ্রুপের অনুসারী। মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বেই খুন হয়েছে। জামায়াতের সঙ্গে এ ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই।’

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কামরান হোসেন বলেন, দীর্ঘদিনের পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবার থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




জুমার পরে মসজিদের সামনেই আ.লীগ নেতাকে গলা কেটে হত্যা

আপডেট সময় : ০৯:১৫:৪২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মে ২০২৩

জুম্মার পরে মসজিদের সামনেই আ.লীগ নেতাকে গলা কেটে হত্যা

কুমিল্লা প্রতিনিধি

কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার দুর্গাপুর উত্তর ইউনিয়নের আলেখাচরে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হককে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। এনামুল হক আলেখাচর গ্রামের আবদুল ওয়াদুদের ছেলে।

স্থানীয়রা জানান, আজ শুক্রবার দুপুরে জুমার নামাজ শেষে বের হলে প্রতিপক্ষের লোকজন এনামুলকে টেনেহিঁচড়ে মসজিদের সামনেই মাটিতে ফেলে গলায় চুরি চালায়। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে প্রথমে কুমিল্লা জেনারেল হাসপাতালে ও পরে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ নিয়ে যাওয়া হয়। বেলা ৩টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এনামুল মারা যান।

সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহমেদ নিয়াজ পাবেল অভিযোগ করে বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কর্মী এনামুলের সঙ্গে জামায়াত নেতা কাজী জহির গংদের রাজনৈতিক বিরোধের পাশাপাশি এনামুলের প্রতিষ্ঠিত আলেখাচর দক্ষিণপাড়া জমিরিয়া তালিমুল হাফিজিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানার দখল নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল। এ মাদ্রাসার সেক্রেটারি ছিলেন এনামুল। কাজী জহির গং দীর্ঘদিন ধরে এ মাদ্রাসা দখলের চেষ্টা করতেছিল। এ ছাড়া গতকাল বৃহস্পতিবার কাজী জহিরের মাদক সেবন ও জুয়া খেলার একটা ভিডিও ভাইরাল হয়। এর জন্য এনামুলকে দায়ী করে। এতে কাজী জহির গং এনামুলের ওপর ক্ষিপ্ত হয়ে আজ জুমা পড়ে বের হলে কাজী জহিরের উপস্থিতিতে তার ভাই আমানুলসহ জামায়াত-শিবিরকর্মীরা এনামুলের গলা কেটে হত্যাচেষ্টা করে। তাঁকে মুমূর্ষু অবস্থায় স্থানীয়রা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে তিনি মারা যান।’
তবে কুমিল্লা মহানগর জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি মো. কামরুজ্জামান সোহেল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কাজী জহির কখনো জামায়াত বা শিবিরের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিল না। সে আওয়ামী লীগের সক্রিয় কর্মী। দলীয় বিভিন্ন মিছিল-মিটিংয়ের সে যায়, সেসবের ছবি তার ফেসবুকে আছে। সে স্থানীয় নেতা আবুল হোসেন গ্রুপের অনুসারী। মাদ্রাসার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে দ্বন্দ্বেই খুন হয়েছে। জামায়াতের সঙ্গে এ ঘটনার কোনো সম্পর্ক নেই।’

এ বিষয়ে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) মো. কামরান হোসেন বলেন, দীর্ঘদিনের পূর্বশত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। মরদেহ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। পরিবার থেকে মামলার প্রস্তুতি চলছে।