উড়ো চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ ও জবি শিক্ষককে হত্যার হুমকি
- আপডেট সময় : ০৬:৪৮:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ মে ২০২৩ ১৪০ বার পড়া হয়েছে
জবি প্রতিনিধি: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মিল্টন বিশ্বাসকে উড়ো চিঠি দিয়ে ফের হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, তথ্যমন্ত্রীসহ অনেককে কটূক্তি করা হয়েছে।
গত ২৯ জানুয়ারি একই ধরনের চিঠি দিয়ে মিল্টন বিশ্বাসকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই ঘটনায় কোতোয়ালি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন তিনি।
সোমবার দুপুরে মিল্টন বিশ্বাস গন মাধ্যমকে বিষয়টি জানান।
চিঠিতে অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাসের পত্রিকায় প্রকাশিত বিভিন্ন সময়ের কলাম সংগ্রহ করে সেখানে তার ছবি একেঁ তাকে ব্যঙ্গ করা হয়েছে। এছাড়া তার বিশেষ কিছু কলামকে চিহ্নিত করে তাকে হত্যার হুমকি দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে চিঠিতে প্রধানমন্ত্রী জাপান সফর নিয়েও নেতিবাচক মন্তব্য করেছেন দুষ্কৃতকারী।
চিঠিতে আরও দেখা যায়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদের ছবি সংবলিত কাটুন একেঁ কটূক্তি ও বিদ্রুপ করা হয়েছে।
অধ্যাপক মিল্টন বিশ্বাস বলেন, ‘রবিবার দুপুরে বিভাগে ডাকপিয়ন এসে চিঠিটি অফিসে দিয়ে যান। এরপর কয়েক পৃষ্ঠার চিঠিটি খুলে দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ অন্য নেতাদের ছবি বিকৃত করে সেখানে প্রধানমন্ত্রীকে কটাক্ষ করে বিভিন্ন বাজে মন্তব্য লেখা হয়েছে। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর বিদেশ সফর নিয়ে করা হয়েছে বিকৃত মন্তব্য।
তিনি বলেন, ‘এ পর্যন্ত যতগুলো চিঠি পেয়েছি তারা মূলত সাম্প্রদায়িক এবং হিন্দু বিদ্বেষী। তারা মুক্তিযুদ্ধ, শেখ হাসিনা এবং আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে চক্রান্তকারী চক্র। আমি স্পষ্ট হয়েছি সবগুলো চিঠি পড়ে এদের উদ্দেশ্য হচ্ছে, ‘আমি কেন বর্তমান সরকারের ইতিবাচক এবং বাংলাদেশকে নিয়ে লেখালেখি করি, এজন্য তারা আমাকে টার্গেট করেছে। কারণ, আমার কোনো ব্যক্তিগত শত্রুতা নেই। আমি বুদ্ধিভিত্তিক লেখালেখির চর্চা করি, এজন্য আমাকে বিচলিত করতে চেষ্টা করছে চক্রটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোস্তফা কামাল বলেন, ‘আমি বিষয়টি শুনেছি। তিনি থানায় একটি জিডি করেছেন ইতোমধ্যে। আমরা আমাদের পক্ষে থেকে আইনি যে কোনো ধরনের সহযোগিতা করার জন্য প্রস্তুত রয়েছি। ’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. ইমদাদুল হক বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে এখনো অবগত হয়নি। তবে আমাদের সহকর্মী হিসেবে আমরা সব ধরনের আইনি সহযোগিতা করব তাকে। প্রয়োজন হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিশেষ শাখার সাহায্য নেব। ’