মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক ২৬ মার্চ দুপুরে সিলেট ক্যাডেট কলেজের পূর্ব পাশের টিলায় মুক্তিযুদ্ধের বধ্যভূমি ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতার শহীদ স্মৃতি উদ্যান’ পরিদর্শন ও শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেছেন। সালুটিকর বধ্যভূমি হিসেবে খ্যাত এ শহীদ স্মৃতি উদ্যানে ৬৬ জন শহিদ মুক্তিযোদ্ধার নামাঙ্কিত সমাধিলিপি রয়েছে।
ভাইস চ্যান্সেলর দুপুরে সেখানে পৌঁছলে তাঁকে স্বাগত জানান এই প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট মুক্তিযুদ্ধ গবেষক ও লেখক অপূর্ব শর্মা ও অন্যান্য দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গ। প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক পুরো প্রাঙ্গনে সমাধিস্থ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করেন এবং পরিদর্শন বইতে স্বাক্ষর করেন। অপূর্ব শর্মা এ বধ্যভূমি সম্পর্কে ভাইস চ্যান্সেলরকে বিস্তারিত অবহিত করেন এবং এতদসংক্রান্ত প্রকাশনা হস্তান্তর করেন।
এ প্রসঙ্গে ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক বলেন, “বাংলাদেশের মুক্তিকামী জণগণের জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধে শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধারা অসীম সাহসে লড়াই করে প্রাণ দিয়েছেন। আত্মসমর্পণ করেননি। ক্ষণজন্মা এসকল সূর্যসন্তানকে জাতি কখনও ভুলবে না, ভুলতে পারে না। তাঁদের আদর্শের চেতনাকে ধারণ করে আমরা তাঁদেরই স্বপ্নকে বাস্তবায়িত করব।” তিনি শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদের প্রতিও শ্রদ্ধা ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। তিনি আরও বলেন, “শহিদ বীর মুক্তিযোদ্ধারা নিজের পরিবারের নিশ্চিত পরিণতি জেনেও পুরো দেশকেই নিজের পরিবার মনে করেছিলেন। এত উঁচু মাপের আত্মত্যাগীদের তো বটেই তাঁদের পরিবার পরিজনও সম্মানের অধিকার রাখেন। তাঁরা যে পরিবারের শোককে সমগ্র জাতির শক্তিতে পরিণত করেছেন। অশেষ শ্রদ্ধা জানাই তাঁদের।”শিক্ষার্থীদের শহিদ স্মৃতি উদ্যান পরিদর্শনের ওপর ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক গুরুত্বারোপ করেন। শহিদ স্মৃতি উদ্যান পরিদর্শনকালে তাঁর সাথে ছিলেন ইউনিভার্সিটির ডেপুটি রেজিস্ট্রার মিহিরকান্তি চৌধুরী।
উল্লেখ্য, সালুটিকরের এই গণকবরটি এতদিন পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। সংরক্ষিত এলাকায় এই বধ্যভূমির অবস্থান হওয়ায় সাধারণের প্রবেশাধিকারও ছিল না। পুরো গণকবরটি ছিল ঘন জঙ্গলের মাঝে। স্বাধীনতার ৫২ বছর পর এই শহীদ স্মৃতি উদ্যান নির্মাণে উদ্যোগ নেন বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক ডা. জিয়াউদ্দিন আহমদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধা কর্নেল (অবসরপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ আব্দুস সালাম বীর প্রতীক। গত ৪ মার্চ শনিবার এই উদ্যানের উদ্বোধন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ স্বজনেরা।