নিজস্ব প্রতিবেদক: ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের ফায়ারম্যান পদে ৫৫৩ জন নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের প্রেক্ষিতে গত ৮ জানুয়ারি পদপ্রার্থী কমপক্ষে ১৫০০০ মাঠে অংশ নেন। তন্মধ্যে প্রাথমিকভাবে ফায়ারম্যান পদে নির্বাচিত করেন ৯৮৪৩। নার্সিং এটেনডেন্ট ১১১ জন, ডুবুরি ৩১ জন নির্বাচিতদের ঘিরে একটি চক্র অবৈধভাবে নিয়োগ পাইয়ে দেয়ার নামে প্রার্থীদের নিকট থেকে ১২ থেকে ১৫ লাখ টাকা পর্যন্ত কন্ট্রাক বা গোপন চুক্তিতে আবদ্ধ হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির উপ- পরিচালক (অর্থ ও প্রশাসন ) জসিম উদ্দিন ক্ষোদ এই চক্রের মূল হোতা বলে জানা গেছে।
তার রয়েছে ২৪ জনের একটি সিন্ডিকেট। এই সিন্ডিকেটের সদস্য বাগেরহাটের বাসিন্দা রাসেল নামের একজন আছে। তাদের মাধ্যমই তিনি নিয়োগের নামে অর্থ হাতিয়ে নেন। এছাড়াও সরকারি প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে চট্টগ্রাম ইপিজেডে ইকিউপমেন্ট সাপ্লাইসহ নানান ব্যবসা, দুর্নীতি অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়েছেন জসিম উদ্দিন। ফায়ারম্যান নিয়োগকালে জসিম উদ্দিন তদ্বিরের মাধ্যমে এবং প্রভাব বিস্তার করে কর্মস্থল রংপুর থেকে বদলী হয়ে উপ- পরিচালক প্রশাসন হিসাবে অধিদপ্তরে যোগদানের পর বিষয়গুলো আরো স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। এর আগে তিনি ময়মনসিংহে দায়িত্ব পালন কালেও এসব অভিযোগ উঠে। তার বিষয়গুলি নিয়ে সত্যতা যাচাইয়ে এবং অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের লক্ষে একজন সাংবাদিক যান তার গড়া টাকার পাহাড় তার বাড়ি চট্রগ্রামের সিতাকুন্ডে।
সেখানে সন্ধান মিলে ছয় তালা প্রাসাদবাড়ি । যার বাজারমূল্য কমপক্ষে পাঁচ কোটি। তিনি এখন শত কোটি টাকার মালিক। সাংবাদিক খোঁজ খবর নিতে গিলে তার সিন্ডিকেটের এক সদস্য মোবাইলে নিজেকে প্রধানমন্ত্রীর দেহরক্ষি পরিচয় দিয়ে জসিম উদ্দিনের পক্ষে সাফাই গাইতে থাকেন। ডিডি জসিম উদ্দিনকে জড়িয়ে যেকোন ধরনের খবর প্রকাশ থেকে বিরত থাকার হুমকি দেন । নিয়োগ বাণিজ্য নিয়ে লিখা যাবে না বলে হুশিয়ারি করেন। ২২ মিনিটের অডিও বার্তা সাংবাদিকদের কাছে সংরক্ষণে রয়েছে। অভিযোগ রয়েছে, দীর্ঘদিন ধরে এই চক্র নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি বাণিজ্যের প্রলোভন দেখিয়ে বিপুল পরিমাণ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। রুপগঞ্জে নিয়োগ প্রস্তুতির প্রথম দিন থেকেই অধিদপ্তরে রুমে বসে বসে এসব কর্মকান্ডে যুক্ত হন। হোয়াটস্এ্যাপ, ভাইভার, টেলিগ্রামসহ নানান মাধ্যমে নিয়োগ দেয়ার নামে দরকষাকষি টাকা কখন কোথায় কিভাবে লেনদেন করা হবে জানিয়ে দিচ্ছে চক্র।