ব্লাসফেমি আইন চায় জাপা
- আপডেট সময় : ১১:৫২:৩৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৩ ২৬৬ বার পড়া হয়েছে
সোমবার (২৩ জানুয়ারি) রাতে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতির ভাষণের ওপর আনীত ধন্যবাদ প্রস্তাব নিয়ে সাধারণ আলোচনায় অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন গোলাম কিবরিয়া টিপু।
প্রথমে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও পরে ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকুর সভাপতিত্বে ওই আলোচনায় আরো অংশ নেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন, পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম, আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য এস এম শাহজাদা, আলী আজম, পংকজ দেবনাথ, নজরুল ইসলাম বাবু, আশেক উল্লাহ রফিক, আ ক ম সরোওয়ার জাহান ও বেগম হাবিবা রহমান খান।
আলোচনায় অংশ নিয়ে গোলাম কিবরিয়া টিপু বলেন, আমরা মুসলমান। আমরা বিশ্বাস করি, আমরা আদমের সন্তান। বানর থেকে মানুষ হওয়ার সুযোগ নেই। এরা ইসলামকে আঘাত করেছে। এই দেশে ব্লাসফেমি আইন করা উচিৎ। জার্মানীতে ব্লাসফেমি আইন আছে। প্রয়োজন হলে সেই আইনের আলোকে আইন করতে হবে। সেই আইনের আওতায় দেশে ধর্মবিরোধী কর্মকাণ্ড যারা করে, তাদেরকে শাস্তি দিতে হবে। তা না হলে দেশে অরাজকতা সৃষ্টি হবে।
তিনি আরও বলেন, কোনো ধর্মপ্রাণ মানুষ বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি। প্রত্যেকটা মুসলমানের মনে আঘাত লেগেছে। তাই মানুষ এখন একটা আগ্নেয়গিরি অবস্থায় আছে। পাঠ্যপুস্তকে এই বিতর্কিত বিষয়টি যারা দিয়েছে, তাদের চিহ্নিত করতে কমিশন গঠনের দাবি জানান তিনি।
শিক্ষার মান নিম্নমুখী উল্লেখ করে গোলাম কিবরিয়া বলেন, প্রাথমিক থেকে শুরু করে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পেছনে এক শ্রেণির বৃদ্ধিজীবীরা লাগছে। তারা নানাভাবে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। যে কারণে মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত পরিবারের মেধাবী শিক্ষার্থীরা বিদেশে চলে যাচ্ছে। আর দেশে ফিরে আসছে না। এটা চলতে থাকলে দেশের অবস্থা আরও খারাপ হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষা বান্ধব সরকার। মেধাবী জাতি গঠনে প্রাথমিক শিক্ষাকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। কারণ আজকের প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ২০৪১ সালে যুবক হবে এবং নেতৃত্ব দেবে উন্নত রাষ্ট্রের।
তিনি আরও বলেন, দেশ যখন এগিয়ে যাচ্ছে, তখন বিএনপিসহ চার দলীয় জোটের নেতা-কর্মীরা মিথ্যাচারে লিপ্ত। তারা মিথ্যার বেসাতি করছে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের ঘোষণা দিয়ে তারা জনগণকে বিভ্রান্ত করছে।
পানি সম্পদ উপমন্ত্রী একেএম এনামুল হক শামীম বলেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার কর্মীরা, সরকার ও দল সবসময় মানবতার পাশে ছিল আছে। হাওর অঞ্চলসহ সারা দেশে যেভাবে বন্যা, নদী ভাঙন স্থায়ীভাবে মোকাবিলায় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় কাজ করে যাচ্ছি, সেই কর্মকাণ্ড অব্যাহত থাকবে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকাগুলো চিহ্নিত করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথ বলেন, বিএনপি-জামায়াত জঙ্গিবাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক। স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব, গণতন্ত্র ও মানবতাকে সুসংহত করার জন্য এই অপশক্তিকে রাজনীতি থেকে বিতাড়িত করতে হবে। এই স্বাধীনতা বিরোধী শক্তিই সমৃদ্ধির মহাসড়কে প্রধান বাধা।
এদিকে সংসদ অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য পীর ফজলুর রহমান বলেন, কক্সবাজার, টেকনাফ এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা করা হয়েছিল। এরপর অনেকে আত্মসমর্পণ করেছিল। কিন্তু এখন মাদক আসা তিনগুণ বেড়েছে।
জাপা সংসদ সদস্য অভিযোগ করেন, এর সঙ্গে রোহিঙ্গারা জড়িত। অনেকে ক্যাম্পের কাঁটাতারের বেড়া কেটে বাইরে চলে যান। তমব্রু সীমান্তে কোনাপাড়া এলাকাটি নোম্যান্স ল্যান্ড। সেখানে কিছু রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছেন। সেখানে সশস্ত্র গ্রুপ আছে। তারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। কোনাপাড়া দিয়ে মাদক আসছে। এই মাদক ব্যবসার সঙ্গে রোহিঙ্গাদের সঙ্গে এদেশের অনেকে জড়িত।
পীর ফজলুর রহমান বলেন, কক্সবাজার-টেকনাফে কারা কারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত তার নতুন তালিকা করা উচিত। আর কোনাপাড়ায় যারা অবস্থান করছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া না গেলে অস্থিতিশীলতা তৈরি হতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন।