ভ্যাটের নামে চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিবের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ
- আপডেট সময় : ০৫:৩৯:০৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৩ ১৫৬ বার পড়া হয়েছে
সিরাজগঞ্জ শাহজাদপুরে অনিয়মই যেন নিয়ম হয়ে দাড়িয়েছে বেলতৈল ইউনিয়ন পরিষদের। বারবার অভিযোগ উঠলেও উদ্ধতর্ন কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় এর যেন শেষই হচ্ছে না। এবার অভিযোগ উঠেছে বেলতৈল ইউনিয়নের এলজিএসপি-৩ প্রকল্পের নামে ৩৫ শতাংশ ভ্যাট বাবদ প্রকল্পের সভাপতির কাছ থেকে টাকা নেওয়ার অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম ও ইউপি সচিব গোলাম কিবরিয়া (রাসেল) বিরুদ্ধে। রয়েছে নিন্মমানের সমগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ। যেখানে ভ্যাট ও আয়কর বাবদ কাটার কথা প্রায় ৩ লাখ ১২ হাজার ৬৫৬ টাকা সেখানে ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিব ভ্যাটের কথা বলে প্রকল্পের সভাপতিদের কাছ থেকে নিয়েছে ১০ লাখ ৪২ হাজার ১৪৪ টাকা।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, বেলতৈল ইউনিয়নে এলজিএসপি-৩ এর ২০২১-২০২২ অর্থ বছরের ৫টি প্রকল্পে প্রায় ২৯ লাখ ৭৭ হাজার ৬৮০ টাকার কাজ করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান সততা এন্টারপ্রাইজ। সততা এন্টারপ্রাইজের সত্বাধিকারীর নাম ও মোবাইল নং জানতে চাইলে চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম বলেন ধরজামতৈল গ্রামের বুলবুল অপরদিকে ইউপি সচিব গোলাম কিবরিয়া(রাসেল) বলেন বেলতৈল গ্রামের নুর আলম। কিন্তু উভয়ের কেউই সততা এন্টারপ্রাইজের সত্বাধীকারের মোবাইল নং দিতে পারে নি।
ইউনিয়ন পরিষদ সূত্রে জানা যায়, মালতীডাঙ্গা ইউসুফ মুন্সীর বাড়ি হতে ওয়াজেদ প্রামানিকের গাইড ওয়াল নির্মান ৫ লাখ ১২ হাজার ৪০০ টাকার কাজের প্রকল্পের সভাপতি ৪নং ইউপি সদস্য আব্দুল মান্নান। দিঘরবেলতৈল সুরেশ কর্মকারের বাড়ি হতে সাত্তারের বাড়ির রাস্তায় কালভার্ট নির্মাণ ৪ লাখ ৬৯ হাজার ৬৮০ টাকা প্রকল্পের সভাপতি ৮ নং ইউপি সদস্য দুলাল হোসেন। চরবেতকান্দি আলমগীরের বাড়ী থেকে ইছার বাড়ি পর্যন্ত আরসিসি রাস্তা নির্মাণ ৮ লাখ টাকার প্রকল্পের সভাপতি ৫ নং ইউপি সদস্য আব্দুল আজিজ। খাসসাতবাড়িয়া গোলাম হোসেন এর বাড়ি থেকে সালাম চেয়ারম্যান এর বাড়ি পর্যন্ত আরসিসি রাস্তা নির্মান ৭ লাখ ৯৬ হাজার টাকার প্রকল্পের সভাপতি ৩ নং ইউপি সদস্য সাইদুল ইসলাম। পাকার মাথার হতে কাশেমের বাড়ী পর্যন্ত রাস্তা নির্মান ৪ লাখ টাকার প্রকল্পের সভাপতি ৬নং ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম চান্নু।
সরেজমিনে উক্ত প্রকল্পের সভাপতি এবং ইউপি সদস্যরা জানান ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের নাম ব্যবহার করলে কাজ আমরাই করেছি। কাজের নিন্মমান সম্পর্কে প্রশ্ন করলে বেরিয়ে আসে চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিবের ৩৫ শতাংশ ভ্যাটের কথা। ৩৫ শতাংশ ভ্যাটের বিষয়ে প্রকল্পের সভাপতি ও ইউপি সদস্যগণ জানান, ৩৫ শতাংশ ভ্যাট বাবদ টাকা চেয়ারম্যান ও ইউপি সচিবকে দিয়ে যে টাকা পেয়েছি তা দিয়েই কাজ করেছি। আর এক ইউপি সদস্য দুলাল হোসেন মুঠোফোনে জানান আমার নাম ব্যবহার করলেও কাজ চেয়ারম্যানই করেছে।
৩৫ শতাংশ ভ্যাটের বিষয়ে ইউপি সচিব গোলাম কিবরিয়া(রাসেল) বলেন, ভ্যাট ও আয়কর বাবদ সাড়ে দশ শতাংশ টাকা নিয়েছি। এব্যাপারে আপনারা চেয়ারম্যান মেম্বারদের সাথে কথা বলেন।
সকল অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ভ্যাট ও আয়কর কত টাকা সেটা জানেন না বেলতৈল ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম। এবিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদিয়া আফরিন জানান, এবিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।