পাচার অর্থ উদ্ধারে আইনি কার্যক্রম চলমান: অর্থমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ১২:০৯:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১১ জানুয়ারী ২০২৩ ১৬৯ বার পড়া হয়েছে
সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে পাচার অর্থ উদ্ধারে আইনগত কার্যক্রম চলমান রয়েছে জানিয়ে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেছেন, পাচার অর্থ উদ্ধার অত্যন্ত জটিল প্রক্রিয়া। বিভিন্ন পদ্ধতি ও আইনি জটিলতার কারণে অর্থ উদ্ধারে দীর্ঘ সময় অতিবাহিত হয়। অর্থ পাচারের পরিমাণ নির্ধারণ অত্যন্ত দুরূহ বিষয় বলেও মন্ত্রী উল্লেখ করেন।
মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) জাতীয় সংসদের প্রশ্নোত্তরে জাতীয় পার্টির মসিউর রহমান রাঙ্গার প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে প্রশ্নোত্তর টেবিলে উত্থাপিত হয়।
ওয়ার্কার্স পার্টির বেগম লুৎফুন নেসা খানের প্রশ্নের জবাবে বৈদেশিক ঋণ জিডিপির শতকরা হার অনুযায়ী বাংলাদেশ ঝুঁকিসীমার অনেক নিচে অবস্থান করছে উল্লেখ করে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অর্থনীতি ঝুঁকিমুক্ত ও সন্তোষজনক পর্যায়ে রয়েছে।
অর্থমন্ত্রী দাবি করেন, মধ্য ও দীর্ঘ মেয়াদে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের ক্ষেত্রে বড় কোনো ঝুঁকির আশঙ্কা নেই। আইএমএফের প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে মন্ত্রী বলেন, ২০৩২ সাল পর্যন্তদেশীয় ঋণসহ বৈদেশিক ঋণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ঝুঁকিমুক্ত।
বাংলাদেশের ক্ষেত্রে বিশ্বব্যাংক ও আইএমএফের মতে বৈদেশিক ঋণ জিডিপির ঝুঁকিসীমা সর্বোচ্চ ৪০ শতাংশ বলে এ প্রশ্নের উল্লেখ করেন মন্ত্রী। মন্ত্রীর তথ্য অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ জিডিপির অনুপাত (%) ছিল ১২.২। ২০২১-২২ অর্থবছরে ছিল ১৩.৭৮। এই ছয় বছরে সর্বোচ্চ ছিল ২০২০-২১ অর্থবছরে ১৬.৯।
খেলাপির দায়ে ২১৭ জনকে জেলে পাঠানো হয়েছে
বেগম লুৎফুন নেসা খানের আরেক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী জানান, বর্তমান সরকারের মেয়াদে ঋণখেলাপির দায়ে ২১৭ জনকে জেলে পাঠানো হয়েছে। ঋণখেলাপির দায়ে ১২ কৃষককে জেলে নেওয়ার ঘটনাটি (পাবনায়) বাংলাদেশ সমবায় ব্যাংকের। এটি বাংলাদেশ ব্যাংকের আওতাভুক্ত কোনো তফসিলি ব্যাংক নয়। আদালতের এখতিয়ারভুক্ত ঋণখেলাপির দায়ে জেলে পাঠানোর ঘটনার বিষয়ে মন্তব্য করা সমীচীন নয়।
সংরক্ষিত নারী আসনের নাজমা আকতারের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান নীতিমালার আলোকে কৃষিঋণ ছাড়া সব ধরনের ঋণের সুদহার ৯ শতাংশ। কৃষি ও পল্লীঋণের সুদের হার ৮ শতাংশ। আমানতের ওপর ব্যাংক সাধারণত ৬ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করে থাকে।
মামুনুর রশীদ কিরণের প্রশ্নের জবাবে মুস্তফা কামাল বলেন, চলতি ২০২২-২৩ অর্থবছরে কৃষি ও পল্লীঋণ বিতরণের জন্য ৩০ হাজার ৯১১ কোটি টাকার লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে নভেম্বর ২০২২ পর্যন্ত ১২ হাজার ৭৭৭ কোটি ৬৮ লাখ টাকা বিতরণ করা হয়েছে। বিতরণের হার ৪১ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
১৯ হাজার ৫৮৫ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে
সরকারি দলের নূর উদ্দিন চৌধুরী নয়নের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী জানান, গত ১১ মাসে (জানুয়ারি থেকে নভেম্বর ২০২২) ১৯ হাজার ৫৮৫ দশমিক ৬১ বিলিয়ন ডলার রেমিট্যান্স এসেছে।
সরকারি দলের মোহাম্মদ হাবিব হাসানের প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, কৃষিব্যাংকের অনাদায়ী ঋণের পরিমাণ ২৮ হাজার ২৯৮ কোটি ৯০ লাখ টাকা।