ঢাকা ০১:০৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২৩ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ফরিদপুরে কৃষকদল নেতা খন্দকার নাসিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ Logo ডিপিডিসির রুহুল আমিন ফকির দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন শতকোটি টাকার সম্পদ Logo উত্তরখানে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল নেত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা Logo খুলনা-৬ আসনে বিএনপির সাক্ষাতের ডাক পেলেন সিনিয়র সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী Logo গুলশানে ‘Bliss Art Lounge’-এ অভিযান: প্রচুর বিদেশি মদসহ ৯ জন গ্রেফতার Logo টঙ্গীতে ১১ বছরের ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ নিখোঁজ Logo “স্টার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫” পেলেন দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ Logo খুলনায় মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ, এলাকায় চাপা উত্তেজনা Logo স্বৈরাচার সরকারের সুবিধাভোগী ‘যশোর বিআরটিএ অফিসের তারিক ধরাছোঁয়ার বাইরে|(পর্ব – ০১) Logo টাঙ্গাইল-৩ আসনে উন্নয়নের প্রতিশ্রুতি নিয়ে মাঠে মাইনুল ইসলাম

ধামরাইয়ে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মা ও মেয়ের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:১৬:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩ ৩২৬ বার পড়া হয়েছে

ধামরাইয়ের ইসলামপুর এলাকার একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় মেয়ের মৃত্যুর পরে মা মোছা. জোসনা বেগমেরও (২৫) মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ওই নারীর স্বামীসহ আরও ৩ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন জানান, ধামরাই থেকে শিশুসহ একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হয়ে এসেছিলেন। প্রথমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই বছরের শিশু মারা যায়। মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান মা। তার শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

নিহতের স্বামীসহ দগ্ধ আরও ৩ জন চিকিৎসাধীন, তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) ভোরে ধামরাইয়ের ওই বাসায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন ৫ জন। তারা হলেন- মো. মনজুরুল ইসলাম (৩৫), জোসনা আক্তার (২৫), সাদিয়া আক্তার (১৯), হোসনে আরা (২০) ও মরিয়ম (২)।

দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা মো. সুফিয়ান জানান, মনজুরুল ইসলাম পোশাক কারখানায় কাজ করেন। শনিবার ভোরে তার স্ত্রী জোসনা আক্তার রান্না করতে গেলে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়। পরে আগুন ছড়িয়ে গিয়ে পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসি। এখন তারা চিকিৎসাধীন। দগ্ধদের মধ্যে মনজুরুলের শ্যালিকা, ভাতিজি ও দুই বছরের শিশুকন্যা ছিল।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন জানান, ধামরাই থেকে শিশুসহ ৫ জন দগ্ধ হয়ে আসে। তাদের মধ্যে মনজুরুলের শরীরের ৩৩ শতাংশ, তার স্ত্রী জোসনা আক্তারের ৪০ শতাংশ, সাদিয়া আক্তারের ৭৫ শতাংশ দগ্ধ। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিদের মধ্যে হোসনে আরা ২৫ শতাংশ ও মরিয়ম ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :
error: Content is protected !!

ধামরাইয়ে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মা ও মেয়ের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০১:১৬:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩

ধামরাইয়ের ইসলামপুর এলাকার একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় মেয়ের মৃত্যুর পরে মা মোছা. জোসনা বেগমেরও (২৫) মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ওই নারীর স্বামীসহ আরও ৩ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন জানান, ধামরাই থেকে শিশুসহ একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হয়ে এসেছিলেন। প্রথমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই বছরের শিশু মারা যায়। মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান মা। তার শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

নিহতের স্বামীসহ দগ্ধ আরও ৩ জন চিকিৎসাধীন, তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) ভোরে ধামরাইয়ের ওই বাসায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন ৫ জন। তারা হলেন- মো. মনজুরুল ইসলাম (৩৫), জোসনা আক্তার (২৫), সাদিয়া আক্তার (১৯), হোসনে আরা (২০) ও মরিয়ম (২)।

দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা মো. সুফিয়ান জানান, মনজুরুল ইসলাম পোশাক কারখানায় কাজ করেন। শনিবার ভোরে তার স্ত্রী জোসনা আক্তার রান্না করতে গেলে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়। পরে আগুন ছড়িয়ে গিয়ে পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসি। এখন তারা চিকিৎসাধীন। দগ্ধদের মধ্যে মনজুরুলের শ্যালিকা, ভাতিজি ও দুই বছরের শিশুকন্যা ছিল।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন জানান, ধামরাই থেকে শিশুসহ ৫ জন দগ্ধ হয়ে আসে। তাদের মধ্যে মনজুরুলের শরীরের ৩৩ শতাংশ, তার স্ত্রী জোসনা আক্তারের ৪০ শতাংশ, সাদিয়া আক্তারের ৭৫ শতাংশ দগ্ধ। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিদের মধ্যে হোসনে আরা ২৫ শতাংশ ও মরিয়ম ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।