ঢাকা ০৫:০৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ২৮ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বিএনপি নেতা মাহিদুর রহমান নেতৃত্বের বিস্ময় Logo স্বৈরাচারের দোসর প্রধান বিচারপতির ধর্ম ছেলে পরিচয়ে মোজাম্মেলের অধর্ম! Logo রাজধানীতে মার্কেট দখল করতে গিয়ে বিএনপি নেতা জাহাঙ্গীর আটক Logo স্কুলের ভেতরে নিয়মিত চলে তাশ ও জুয়া! Logo চাঁদা চাওয়ায় দাকোপে ৫ আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে মামলা Logo ভোলা জেলা ছাত্র কল্যাণ পরিষদের সভাপতি আল আমিন সম্পাদক শামসউদ্দিন Logo বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবির এর উদ্যোগে দুমকিতে ক্যারিয়ার সামিট অনুষ্ঠিত Logo সওজ তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে প্রচারিত প্রকাশিত মিথ্যা সংবাদের প্রতিবাদ Logo বিপ্লবী গান, আবৃত্তি এবং কাওয়ালী গানে মেতেছে আশা বিশ্ববিদ্যালয় Logo ছত্রিশ টাকার নকলনবীশ প্রভাবশালী কোটিপতি!




ধামরাইয়ে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মা ও মেয়ের মৃত্যু

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ০১:১৬:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩ ২০২ বার পড়া হয়েছে

ধামরাইয়ের ইসলামপুর এলাকার একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় মেয়ের মৃত্যুর পরে মা মোছা. জোসনা বেগমেরও (২৫) মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ওই নারীর স্বামীসহ আরও ৩ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন জানান, ধামরাই থেকে শিশুসহ একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হয়ে এসেছিলেন। প্রথমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই বছরের শিশু মারা যায়। মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান মা। তার শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

নিহতের স্বামীসহ দগ্ধ আরও ৩ জন চিকিৎসাধীন, তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) ভোরে ধামরাইয়ের ওই বাসায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন ৫ জন। তারা হলেন- মো. মনজুরুল ইসলাম (৩৫), জোসনা আক্তার (২৫), সাদিয়া আক্তার (১৯), হোসনে আরা (২০) ও মরিয়ম (২)।

দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা মো. সুফিয়ান জানান, মনজুরুল ইসলাম পোশাক কারখানায় কাজ করেন। শনিবার ভোরে তার স্ত্রী জোসনা আক্তার রান্না করতে গেলে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়। পরে আগুন ছড়িয়ে গিয়ে পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসি। এখন তারা চিকিৎসাধীন। দগ্ধদের মধ্যে মনজুরুলের শ্যালিকা, ভাতিজি ও দুই বছরের শিশুকন্যা ছিল।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন জানান, ধামরাই থেকে শিশুসহ ৫ জন দগ্ধ হয়ে আসে। তাদের মধ্যে মনজুরুলের শরীরের ৩৩ শতাংশ, তার স্ত্রী জোসনা আক্তারের ৪০ শতাংশ, সাদিয়া আক্তারের ৭৫ শতাংশ দগ্ধ। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিদের মধ্যে হোসনে আরা ২৫ শতাংশ ও মরিয়ম ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ধামরাইয়ে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে মা ও মেয়ের মৃত্যু

আপডেট সময় : ০১:১৬:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৩

ধামরাইয়ের ইসলামপুর এলাকার একটি বাসায় গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনায় মেয়ের মৃত্যুর পরে মা মোছা. জোসনা বেগমেরও (২৫) মৃত্যু হয়েছে।

মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) ভোর ৬টার দিকে দিকে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। ওই নারীর স্বামীসহ আরও ৩ জন বার্ন ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন রয়েছে।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন জানান, ধামরাই থেকে শিশুসহ একই পরিবারের ৫ জন দগ্ধ হয়ে এসেছিলেন। প্রথমে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই বছরের শিশু মারা যায়। মঙ্গলবার ভোর ৬টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান মা। তার শরীরের ৭০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছিল।

নিহতের স্বামীসহ দগ্ধ আরও ৩ জন চিকিৎসাধীন, তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক বলে জানিয়েছেন তিনি।

শনিবার (৭ জানুয়ারি) ভোরে ধামরাইয়ের ওই বাসায় সিলিন্ডার বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এতে দগ্ধ হন ৫ জন। তারা হলেন- মো. মনজুরুল ইসলাম (৩৫), জোসনা আক্তার (২৫), সাদিয়া আক্তার (১৯), হোসনে আরা (২০) ও মরিয়ম (২)।

দগ্ধদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসা মো. সুফিয়ান জানান, মনজুরুল ইসলাম পোশাক কারখানায় কাজ করেন। শনিবার ভোরে তার স্ত্রী জোসনা আক্তার রান্না করতে গেলে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণ হয়। পরে আগুন ছড়িয়ে গিয়ে পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হন। তাদের উদ্ধার করে বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে আসি। এখন তারা চিকিৎসাধীন। দগ্ধদের মধ্যে মনজুরুলের শ্যালিকা, ভাতিজি ও দুই বছরের শিশুকন্যা ছিল।

শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. এস এম আইউব হোসেন জানান, ধামরাই থেকে শিশুসহ ৫ জন দগ্ধ হয়ে আসে। তাদের মধ্যে মনজুরুলের শরীরের ৩৩ শতাংশ, তার স্ত্রী জোসনা আক্তারের ৪০ শতাংশ, সাদিয়া আক্তারের ৭৫ শতাংশ দগ্ধ। তিনজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বাকিদের মধ্যে হোসনে আরা ২৫ শতাংশ ও মরিয়ম ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে।