ঢাকা ০১:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo রূপালী ব্যাংকের এমডি ছিলেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের প্রভাবশালী নেতা! Logo “আওয়ামী সুবিধাভোগী ৪ কারা কর্মকর্তার কাছে জিম্মি কারা অধিদপ্তর!” Logo পাইকগাছা-কয়রার মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে মাঠে আমিরুল ইসলাম কাগজী Logo এয়ারপোর্ট এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা সালাউদ্দিন পিয়ারী ইয়াসিন ধরাছোঁয়ার বাইরে! Logo পিরোজপুর-২ আসনে জনগণের জন্য কাজ করতে চান ফকরুল আলম: নির্বাচনের প্রস্তুতি তুঙ্গে Logo পাওনা টাকা চাওয়ায় সাংবাদিকের উপর হামলা: নেপথ্যে কসাই পারভেজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ৩৬ জুলাই: যেভাবে প্রতীকী ক্যালেন্ডার হয়ে উঠল জাতীয় প্রতিরোধের হাতিয়ার Logo বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলা Logo গণপূর্ত প্রকৌশলী জহির রায়হানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান Logo “শতকোটি টাকার দুর্নীতির সাম্রাজ্য: তাপসের ঘনিষ্ট ডিএসসিসির শাহজাহান আলীর ফাঁদে ঢাকা দক্ষিণ সিটি”

‘অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন’

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:৫৭:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০১৯ ১৯২ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক; যতক্ষণ না পর্যন্ত দাবিগুলোর বাস্তবায়ন হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রবেশমুখের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি), নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, আইইউবিসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক শ শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরা স্লোগান দিচ্ছেন ‘অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন’।

রাজধানীর প্রগতি সরণির যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে সড়কে শিক্ষার্থীদের অবস্থান।

 

বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া ও বিইউপির উপাচার্য মেজর জেনারেল এমদাদ উল বারী। এ সময় তাঁরা দুর্ঘটনাস্থলে আবরারের নামে একটি পদচারী–সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। তাঁরা প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। যেভাবেই হোক সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানান। তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, আশ্বাসে আস্থা নেই তাঁদের।

বসুন্ধরায় শিক্ষার্থীরা যেখানে অবস্থান নিয়েছেন, এর পাশেই একটি তথ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে বিইউপির এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। সালমান তারেক নামের ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আগেও আন্দোলন হয়েছে, তখনো আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। জাবালে নূর বাস এখনো চলছে। বছর দেড়েক আগে এই জায়গায় পদচারী–সেতু করার কথা ছিল, কিন্তু দেখতেই পাচ্ছেন—হয়নি। গতকাল আবরারের মৃত্যুর পর সুপ্রভাত বাসের চলাচল বন্ধ করা হয়েছে বলে জানান মেয়র। অথচ কালকেই ওই পরিবহনের বাস চলতে দেখা যায়। তাই আশ্বাসে নয়, আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরায় যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে নদ্দা এলাকায় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসের চাপায় নিহত হন বিইউপির ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরী। এ ঘটনার পর রাস্তায় নামেন শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। তাঁরা সেখানে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। তাঁরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেন। আজ সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আট দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে বাসচালকের শাস্তি, নতুন বাসচালকেরা যেন যথাযথ নিয়মে ড্রাইভিং লাইসেন্স পান, গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় জেব্রাক্রসিংয়ের ব্যবহার, জেব্রাক্রসিংয়ের সামনে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন, প্রগতি সরণির সামনে পদচারী-সেতু স্থাপন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

‘অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন’

আপডেট সময় : ০৩:৫৭:২৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২০ মার্চ ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদক; যতক্ষণ না পর্যন্ত দাবিগুলোর বাস্তবায়ন হচ্ছে, ততক্ষণ পর্যন্ত রাজপথ ছাড়বেন না বলে জানিয়েছেন নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। আজ বুধবার সকাল ১০টা থেকে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রবেশমুখের সড়কে অবস্থান নিয়েছেন বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালস (বিইউপি), নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়, আইইউবিসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কয়েক শ শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীরা বাংলাদেশের পতাকা নিয়ে অবস্থান নিয়েছেন। তাঁরা স্লোগান দিচ্ছেন ‘অ্যাকশন অ্যাকশন ডাইরেক্ট অ্যাকশন’।

রাজধানীর প্রগতি সরণির যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে সড়কে শিক্ষার্থীদের অবস্থান।

 

বেলা ১১টার দিকে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন ঢাকা উত্তরের মেয়র আতিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আসাদুজ্জামান মিয়া ও বিইউপির উপাচার্য মেজর জেনারেল এমদাদ উল বারী। এ সময় তাঁরা দুর্ঘটনাস্থলে আবরারের নামে একটি পদচারী–সেতুর ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন। তাঁরা প্রায় পৌনে এক ঘণ্টা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দেন। যেভাবেই হোক সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা হবে বলে জানান। তবে শিক্ষার্থীরা বলছেন, আশ্বাসে আস্থা নেই তাঁদের।

বসুন্ধরায় শিক্ষার্থীরা যেখানে অবস্থান নিয়েছেন, এর পাশেই একটি তথ্যকেন্দ্র খোলা হয়েছে। সেখানে বিইউপির এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে এই প্রতিবেদকের কথা হয়। সালমান তারেক নামের ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘আগেও আন্দোলন হয়েছে, তখনো আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল। জাবালে নূর বাস এখনো চলছে। বছর দেড়েক আগে এই জায়গায় পদচারী–সেতু করার কথা ছিল, কিন্তু দেখতেই পাচ্ছেন—হয়নি। গতকাল আবরারের মৃত্যুর পর সুপ্রভাত বাসের চলাচল বন্ধ করা হয়েছে বলে জানান মেয়র। অথচ কালকেই ওই পরিবহনের বাস চলতে দেখা যায়। তাই আশ্বাসে নয়, আমাদের দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’

গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর বসুন্ধরায় যমুনা ফিউচার পার্কের সামনে নদ্দা এলাকায় সুপ্রভাত পরিবহনের একটি বাসের চাপায় নিহত হন বিইউপির ছাত্র আবরার আহমেদ চৌধুরী। এ ঘটনার পর রাস্তায় নামেন শিক্ষার্থী ও এলাকাবাসী। তাঁরা সেখানে সড়ক অবরোধ করে রাখেন। তাঁরা ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও দায়ী ব্যক্তিদের বিচার দাবি করেন। আজ সকাল থেকেই ঘটনাস্থলে অবস্থান নেন শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা আট দফা দাবি জানিয়েছেন। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে বাসচালকের শাস্তি, নতুন বাসচালকেরা যেন যথাযথ নিয়মে ড্রাইভিং লাইসেন্স পান, গুরুত্বপূর্ণ এলাকায় জেব্রাক্রসিংয়ের ব্যবহার, জেব্রাক্রসিংয়ের সামনে ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন, প্রগতি সরণির সামনে পদচারী-সেতু স্থাপন।