যশোর-চৌগাছা সড়কে বিএডিসির ট্রাকের চাপায় ভ্যানের যাত্রী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও দুজন।
রোববার (১ জানুয়ারি) বিকেল ৫টার দিকে যশোর-চৌগাছা আঞ্চলিক সড়কের চুড়ামনকাটি রেলক্রসিংয়ের পাশে ইট ভাটার সামনে এ দুর্ঘটনাটি ঘটে।
নিহতরা হলেন, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ফারজানা ইসলাম সুমি (২২), সদর উপজেলার কমলাপুর গ্রামের জোহরা বেগম (৫৫) এবং একই এলাকার বাসিন্দা ভ্যানচালক মাসুম হোসেন (২৮)।
আহতরা হলেন, যবিপ্রবির মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মোতাসিন বিল্লাহ (২৪) ও সদর উপজেলার কমলাপুর গ্রামের আমজেদ আলী (৬৫)।
নিহত জোহরা বেগমের স্বামী ও প্রত্যক্ষদর্শী আমজেদ আলী জানান, চুড়ামনকাটি বাজার থেকে তারা ভ্যানে করে চৌগাছা সড়কের বেলতলার দিকে যাচ্ছিলেন। ভ্যানে তারা স্বামী স্ত্রীসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থী এবং স্থানীয় আরেকজনসহ পাঁচ যাত্রী ছিলেন।
পথিমধ্যে চুড়ামনকাটি রেলক্রসিংয়ের পাশে ইটভাটার সামনে পৌঁছালে চৌগাছা থেকে বিএডিসির একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। ভাগ্যক্রমে তিনি বেঁচে গেলেও ঘটনাস্থলে ভ্যানচালকসহ তিনজন মারা যান। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও দুজন।
দ্রুতগতিতে ট্রাকটি আসছিল বলে এই দুর্ঘটন ঘটেছে বলে তিনি দাবি করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে যশোর কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তাজুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনায় ভ্যানচালকসহ তিনজন নিহত হয়েছেন। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও দুজন। বিএডিসির ট্রাকটি জব্দ করেছে পুলিশ।
এদিকে, দুর্ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে নিহত ও আহত শিক্ষার্থীদের খোঁজখবর নিতে যান যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আনোয়ার হোসেন। তিনি বলেন, প্রায়ই এই সড়কে ছোট-বড় দুর্ঘটনা ঘটে। চালকদের বেপরোয়া চলাচল ও গতি এই দুর্ঘটনার প্রধান কারণ।
দুর্ঘটনা রোধে প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করেছেন তিনি। একইসঙ্গে নিহত শিক্ষার্থীসহ বাকিদের আত্মার শান্তি ও আহত শিক্ষার্থীর দ্রুত সুস্থতা কামনা করেছেন তিনি।