ঢাকা ০৮:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo শাবি ক্যাম্পাসে আন্দোলনকারীদের ছড়ানো গুজবে সয়লাব Logo সিলেট-সুনামগঞ্জ মহাসড়কে আন্দোলনকারীরা পুলিশের উপর হামলা চালালে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে Logo জবিতে আজীবন ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ Logo শাবিতে হল প্রশাসনকে ভয়-ভীতি দেখিয়ে নোটিসে জোর পূর্বক সাইন আদায় Logo এবার সামনে আসছে ছাত্রলীগ কর্তৃক আন্দোলনকারীদের মারধরের আরো ঘটনা Logo আবাসিক হল ছাড়ছে শাবি শিক্ষার্থীরা Logo নিরাপত্তার স্বার্থে শাবি শিক্ষার্থীদের আইডিকার্ড সাথে রাখার আহবান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের Logo জনস্বাস্থ্যের প্রধান সাধুর যত অসাধু কর্ম: দুর্নীতি ও অর্থ পাচারের অভিযোগ! Logo বিআইডব্লিউটিএ বন্দর শাখা যুগ্ম পরিচালক আলমগীরের দুর্নীতি ও ঘুষ বাণিজ্য  Logo রাজশাহীতে এটিএন বাংলার সাংবাদিক সুজাউদ্দিন ছোটনকে হয়রানিমূলক মামলায় বএিমইউজরে নিন্দা ও প্রতিবাদ




চার শ্রেণির শিক্ষাক্রমে আসছে পরিবর্তন- চাঁদপুরে শিক্ষামন্ত্রী

নিজস্ব প্রতিবেদক
  • আপডেট সময় : ১০:০৬:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২ ১৭১ বার পড়া হয়েছে

২০২৩ সালে প্রাথমিকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে এবং মাধ্যমিকে ৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।

দীপু মনি বলেন, আমরা শিক্ষায় রূপান্তর ঘটাচ্ছি অর্থাৎ আমরা কিভাবে পড়াচ্ছি, সেভাবে মূল্যায়ন হবে। সে কারণে ২০২৩ সালেও উল্লেখিত শ্রেণিতে বইগুলো পরীক্ষামূলক সংস্করণ হিসেবে যাবে। তাই সারা বছর আমরা শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবারও প্রতিক্রিয়া নেব এবং ২০২৪ সালে যে বইগুলো যাবে সেখানে পরিমার্জন, সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজন যা দরকার তা করে নেব।

মন্ত্রী বলেন, বিগত ২০২১ সালের বইগুলোতে অনেক ভুল ছিল। আমরা সেগুলো অতিমারির সময় অনেক কাজ করে সংশোধন করেছি। যে কারণে ২০২২ সালে তেমন ভুল ছিল না। এবছর আশা করছি তেমন ভুল হবে না। যদি হয়, তাহলে আমরা সেগুলো সঙ্গে সঙ্গে সংশোধন করার চেষ্টা করব।

দীপু মনি বলেন, আমরা নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সারা দেশব্যাপী শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আবার যারা প্রশিক্ষক হিসেবে আছেন, তাদেরকেও প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আর এই প্রশিক্ষণ চলছে অনলাইনে। যারা প্রশিক্ষণ পেয়েছেন তারা যখন নতুন বই পেয়ে পাঠদান করবেন প্রথম ৫দিন তাতে ভুল ত্রুটিসহ সমস্যাগুলো দেখবেন। স্কুল বন্ধ থাকার দুইদিন সেগুলো আবার শিখে নিবেন। এইভাবে তারা এগিয়ে যাবেন। শিক্ষাকরা কিভাবে ক্লাস নেবেন সে বিষয়ে আমরা একটি গাইড লাইন দিয়েছি।

তিনি বলেন, শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন হওয়ার কারণে শিক্ষকদের ভূমিকাতেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এ কারণে তারা ৫ দিন ক্লাসের পর দুইদিন প্রশিক্ষণ পাবেন। অনেকের ধারণা ছিল অনলাইনে ভাল প্রশিক্ষণ হয় না, কিন্তু এখন সেই ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। আমরা সরাসরিও প্রশিক্ষণ দিব, তবে বেশি দূরে যেতে হবে না। সর্বোচ্চ উপজেলা পর্যায়ে এসে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

এ সময় চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, সহ-সভাপতি রহিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌসসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




চার শ্রেণির শিক্ষাক্রমে আসছে পরিবর্তন- চাঁদপুরে শিক্ষামন্ত্রী

আপডেট সময় : ১০:০৬:৪০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২২

২০২৩ সালে প্রাথমিকে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণিতে এবং মাধ্যমিকে ৬ষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণিতে নতুন শিক্ষাক্রম চালু হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।

শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চাঁদপুর প্রেসক্লাব মিলনায়তনে সাংবাদিক সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ তথ্য জানান।

দীপু মনি বলেন, আমরা শিক্ষায় রূপান্তর ঘটাচ্ছি অর্থাৎ আমরা কিভাবে পড়াচ্ছি, সেভাবে মূল্যায়ন হবে। সে কারণে ২০২৩ সালেও উল্লেখিত শ্রেণিতে বইগুলো পরীক্ষামূলক সংস্করণ হিসেবে যাবে। তাই সারা বছর আমরা শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আবারও প্রতিক্রিয়া নেব এবং ২০২৪ সালে যে বইগুলো যাবে সেখানে পরিমার্জন, সংশোধন, সংযোজন ও বিয়োজন যা দরকার তা করে নেব।

মন্ত্রী বলেন, বিগত ২০২১ সালের বইগুলোতে অনেক ভুল ছিল। আমরা সেগুলো অতিমারির সময় অনেক কাজ করে সংশোধন করেছি। যে কারণে ২০২২ সালে তেমন ভুল ছিল না। এবছর আশা করছি তেমন ভুল হবে না। যদি হয়, তাহলে আমরা সেগুলো সঙ্গে সঙ্গে সংশোধন করার চেষ্টা করব।

দীপু মনি বলেন, আমরা নতুন শিক্ষাক্রম নিয়ে সারা দেশব্যাপী শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আবার যারা প্রশিক্ষক হিসেবে আছেন, তাদেরকেও প্রশিক্ষণ দিয়েছি। আর এই প্রশিক্ষণ চলছে অনলাইনে। যারা প্রশিক্ষণ পেয়েছেন তারা যখন নতুন বই পেয়ে পাঠদান করবেন প্রথম ৫দিন তাতে ভুল ত্রুটিসহ সমস্যাগুলো দেখবেন। স্কুল বন্ধ থাকার দুইদিন সেগুলো আবার শিখে নিবেন। এইভাবে তারা এগিয়ে যাবেন। শিক্ষাকরা কিভাবে ক্লাস নেবেন সে বিষয়ে আমরা একটি গাইড লাইন দিয়েছি।

তিনি বলেন, শিক্ষাক্রমে পরিবর্তন হওয়ার কারণে শিক্ষকদের ভূমিকাতেও ব্যাপক পরিবর্তন এসেছে। এ কারণে তারা ৫ দিন ক্লাসের পর দুইদিন প্রশিক্ষণ পাবেন। অনেকের ধারণা ছিল অনলাইনে ভাল প্রশিক্ষণ হয় না, কিন্তু এখন সেই ধারণার পরিবর্তন হয়েছে। আমরা সরাসরিও প্রশিক্ষণ দিব, তবে বেশি দূরে যেতে হবে না। সর্বোচ্চ উপজেলা পর্যায়ে এসে প্রশিক্ষণ নিতে হবে।

এ সময় চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান আইয়ুব আলী বেপারী, চাঁদপুর প্রেসক্লাব সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মিলন, সহ-সভাপতি রহিম বাদশা, সাধারণ সম্পাদক রিয়াদ ফেরদৌসসহ সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।