জেলে বন্দী গোল্ডেন মনিরের টার্গেট গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী!
- আপডেট সময় : ১১:১৪:৫২ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২২ ২৯০ বার পড়া হয়েছে
গত ২০২০ সালে করোনাকালীন সময়ে সরকারের দুর্নীতি বিরোধী শুদ্ধি অভিযানে যে কয়জন অপরাধী গ্রেপ্তার হয়েছে তার মধ্যে অন্যতম ও আলোচিত মনির হোসেন ওরফে (গোল্ডেন মনির)। অবৈধ নগদ অর্থ, বৈদেশিক মুদ্রা, চোরাই সোনা, চাঁদাবাজি, দখলবাজি সহ বিভিন্ন অপরাধের মাধ্যমে সম্পদের পাহাড় বনে যাওয়া গোল্ডেন মনির সম্প্রীতি জেলখানায় বসেই বাইরের কর্মকান্ড পরিচালনা করছেন বলে একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে। এবং জেলে বসি গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রীকে কে বিতর্কিত করতে পরিকল্পনা করেছেন তিনি। এরই ধারাবাহিকতায় গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদকে বিতর্কিত করতে আগন্তুক এক নারীকে টোপ হিসাবে ব্যবহার করে তার ছক বাস্তবায়নের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে গোল্ডেন মনির সিন্ডিকেট।
গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদকে বিতর্কিত করতে জেলখানায় বসেই নিখুঁত ছক কষছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ২০২০ সালে গ্রেফতার হওয়া আলোচিত মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনির। আর সেটা বাস্তবায়নে এই রহস্যময়ী নারীকে টোপ হিসাবে ব্যবহার করা হচ্ছে এমনটাই দাবী করেন ওই সূত্র। গত কিছুদিন ধরে হঠাৎ আগন্তক এক নারী গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদের চোখ উপড়ে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে। এমনকি কখনো কখনো তিনি মন্ত্রীর স্ত্রী হিসেবেও দাবি করেন। ওই নারীর বক্তব্যের এক পর্যায়ে উপস্থিত সংবাদকর্মীদের জানান গোল্ডেন মনিরের হাত দিয়ে তাকে মাসিক খরচ পাঠানো হতো। কিন্তু সেসব দাবীর স্বপক্ষে কোন প্রকার প্রমাণ দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে ওই নারী।
সম্প্রতি ওই নারীর রহস্যঘেরা কথোপকথনে জনমনে বেশ কৌতূহল সৃষ্টি হয়েছে। কোন প্রকার ডকুমেন্টস ব্যতীত জন সম্মুখে একজন মন্ত্রীকে চোখ তুলে ফেলার হুমকি দেন তিনি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেকটি সূত্র জানায়, গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী এমপি শরীফ আহমেদের সাথে গোল্ডেন মনিরের দ্বন্দ্ব ছিল বিগত দিনে তাই সম্প্রতি জেলখানায় বসে গোল্ডেন মনির প্রতিমন্ত্রী শরীফকে ফাঁসাতে এই কৌশল এঁটেছেন। যা বাস্তবায়নের জন্য কাজ করছে একটি অনুসারী গ্রুপ। আর সেই জন্য ওই নারীকে টাকার বিনিময়ে ব্যবহার করছে। এসব কিছুই নাকি গোল্ডেন মনিরের পরিকল্পনামাফিক হচ্ছে। এমনকি ওই নারী জনসম্মুখে যেসব বক্তব্য প্রদান করছেন তা পুরোটাই মুখস্থ বিদ্যা। মূলত মন্ত্রীকে বিতর্কিত করতেই এমন কর্মকাণ্ডে গোল্ডেন মনিরের একটি সিন্ডিকেট মোটা অংকের অর্থ খরচ করছেন বলেও সূত্র জানায়।
উল্লেখ্য, ২০২০ সালে সরকারের শুদ্ধি অভিযানে গ্রেপ্তার হওয়ার পর হঠাৎ গণমাধ্যমে আলোচনায় আসে গোল্ডেন মনির। পরবর্তীতে সিআইডি ডিবি সহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর তদন্তে বেরিয়ে আসে গোল্ডেন মনিরের অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের পাহাড় ও সকল অপরাধের কর্মকাণ্ড।
গোয়েন্দা তথ্য মতে, টেন্ডার বাণিজ্য, হুন্ডি ব্যবসা, সোনা চোরা চালান, দখল বাণিজ্য ও চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধের কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে গোল্ডেন মনির দেশে বিদেশে গড়েছেন সম্পদের পাহাড়। ঢাকায় ২০টি প্লট, ২৩টি প্লট সহ সাত ভবনের মালিক মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনির। ব্যাংকে পাওয়া গেছে তাঁর ৭৯১ কোটি টাকার খোঁজ। ঢাকায় রয়েছে একটি আবাসন প্রতিষ্ঠান ও দুটি গাড়ির শোরুম। ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জে তিনি আরও এক একর জমির মালিক।