যাত্রাবাড়ির কাজী আব্দুর রউফ ওয়াকফ্ ষ্টেটের জমি দখল

- আপডেট সময় : ০৫:৩৯:৩০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২২ ২৪৬ বার পড়া হয়েছে

রাজধানীর যাত্রাবাড়ির ধলপুর এলাকায় কাজী আব্দুর রউফ ওয়াকফ্ ষ্টেটের জমি দখলের ঘটনা ঘটেছে। দখলের সময় দুবৃত্তদের হামলার নারী ও শিশু সহ আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন। এ ঘটনার পর থেকে আতংকে আছে ওয়াকফ্ ষ্টেটের দেখাশোনার দায়িত্বরত ব্যক্তি মিলন মুন্সী ও তাদের পরিবারের সদস্যরা। আহত ব্যক্তিদের অভিযোগ ঘটনার আগে ও পরে যাত্রাবাড়ি থানা পুলিশ এবং পুলিশের উপ কমিশনারকে বাঁচার আকুতি জানিয়ে একাধিকবার ফোন দিলেও ফোন ধরেননি তারা। অথছ এ যায়গার মালিকানা নিয়ে করা মামলায় হাইকোর্ট স্থিতাবস্থা বজায় রাখার নির্দেশ দিয়েছেন আগেই (দেওয়ানী মোকদ্দমা নং – ৫৫৪/৯১) । তারপরও হামলাকারীরা মঙ্গলবার দুপুরের কিছু পরে আকশ্মিক ভাবে হামলা চালিয়ে সম্পত্তির অনেক অংশ দখলে নেয়। এ সময় বাঁধা দিলে ধানমন্ডি এলাকার শাহনাজ পারভিন রানী’র নেতৃত্বে কবির হোসেন কিবরিয়া, শহীদুল ইসলাম, আনিসুর রহমান, মারুফ, পরান, মান্নান মুন্সী, নয়ন, নাছির, রাজু, আলমগীর রং, ফটিক সহ দু/তিনশ দুবৃত্ত ওয়াকফ্ ষ্টেটের দেখাশোনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তি ও তার পরিবারের লোকজনের ওপর বাঁশ, লাঠি, খন্তা দিয়ে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করে।
হামলার শিকার ব্যক্তিরা জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই দখলদার ভূমিদস্যুরা ধানমন্ডি এলাকার রানী নামের এক মহিলার নেতৃত্বে ওয়াকফ্’র সম্পত্তি দখলের চেষ্টা করে আসছিলো। এ ঘটনায় পুলিশের সহায়তা চাইলে দখলদারদের বাঁধা না দিয়ে যায়গা ছেড়ে দেয়ার পরামর্শ দেন ওয়ারী জোনের ডিসি এবং যাত্রাবাড়ি থানার ওসি মাজহার। তারা বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এ ঘটনায় তাদেরকে ফোন দিয়ে দখলদারদের সহায়তা করতে বলেছে। তাই পুলিশের পক্ষে দখলদারদের বিরূদ্ধে যাওয়ার সুযোগ নেই।
হামলার শিকার ব্যক্তিরা জানান, দীর্ঘ ২৩ বছর ধরে আনসার বাহিনীর সদস্যরা ওয়াকফ্’র সম্পত্তি পাহারার জন্য এখানে মোতায়েন আছে। তাদেরকে ২৩ বছর ধরে বেতন ভাতা দিয়ে আসছে ওয়াকফ্ ষ্টেট। তারপরেও হামলার দিন কোনরকম বাঁধা দেয়নি আনসাররা। বর্তমানে দখলদারদের দ্বারা অবরূদ্ধ হয়ে আছেন তারা।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, ধানমন্ডি এলাকার রানি’র নেতৃত্বে যায়গাটির আউন্ডারি দেয়াল ভেঙ্গে, টিনের ঘর বানিয়ে পাকাপাকি ভাবে দখলের পায়তারা করছে দখলদাররা। গতকালের হামলায় নেতৃত্বদানকারী ব্যক্তিরা পাহারা দিচ্ছে দখলকৃত যায়গার চারপাশে। এ সময় উপস্থিত সাংবাদিকদের সাথেও অত্যন্ত খারাপ ব্যবহার করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে দুবৃত্তরা।
গত মঙ্গলবারের হামলার ফুটেজ এসেছে আমাদের হাতে। এতে দেখা যায় হামলাকারীরা অকথ্য ভাবে হামলা চালিয়ে রক্তাক্ত করছে মিলন মুন্সীর স্ত্রী, ছেলে, বোন এবং অন্যান্যদের। এ অবস্থায় জীবনের নিরাপত্তা হীনতার ভুগছে মিলন মুন্সী ও তার পরিবারের সদস্যরা। বাঁচার আকুতি জানিয়েছেন তারা, চেয়েছেন ন্যায় বিচার।