ঢাকা ০৮:৪৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo গোপালগঞ্জে ‘নৌকার দুর্গ’ ভাঙার চ্যালেঞ্জে বিএনপি Logo ফরিদপুরে কৃষকদল নেতা খন্দকার নাসিরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের অভিযোগ Logo ডিপিডিসির রুহুল আমিন ফকির দুর্নীতির মাধ্যমে গড়েছেন শতকোটি টাকার সম্পদ Logo উত্তরখানে জাতীয়তাবাদী মহিলা দল নেত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার ঘটনায় তীব্র উত্তেজনা Logo খুলনা-৬ আসনে বিএনপির সাক্ষাতের ডাক পেলেন সিনিয়র সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী Logo গুলশানে ‘Bliss Art Lounge’-এ অভিযান: প্রচুর বিদেশি মদসহ ৯ জন গ্রেফতার Logo টঙ্গীতে ১১ বছরের ইব্রাহিম খলিলুল্লাহ নিখোঁজ Logo “স্টার এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২৫” পেলেন দৈনিক সবুজ বাংলাদেশ সম্পাদক মোহাম্মদ মাসুদ Logo খুলনায় মাদ্রাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগ, এলাকায় চাপা উত্তেজনা Logo স্বৈরাচার সরকারের সুবিধাভোগী ‘যশোর বিআরটিএ অফিসের তারিক ধরাছোঁয়ার বাইরে|(পর্ব – ০১)

দীপন হত্যা মামলার চার্জশিট গ্রহণ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০১৯ ৪৫৪ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফীন দীপন হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) ৮ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১১ জনকে অব্যাহতির যে সুপারিশ করেছেন তা মঞ্জুর করেছেন বিচারক।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান চার্জশিট আমলে নিয়ে ১১ জনকে অব্যাহতি দেন। এছাড়াও এ মামলায় পলাতক দু’জন আসামি সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারি চার্জশিটটি ‘দেখিলাম’ বলে স্বাক্ষর করে মামলাটি বিচারের জন্য বদলির আদেশ দেন। আইনানুযায়ী মামলাটির বিচার হবে সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে।

১৫ নভেম্বর একই আদালতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে চার্জশিটটি দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি দক্ষিণের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান। চার্জশিটে আটজনকে অভিযুক্ত ও ১১ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।

অভিযুক্তরা হলেন- মইনুল হাসান শামীম (২৪) (সাংগঠনিক নাম সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান), মো. আ. সবুর (২৩) (সাংগঠনিক নাম আ. সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাধ), খাইরুল ইসলাম (২৪) (সাংগঠনিক নাম জামিল ওরফে রিফাত ওরফে ফাহিম ওরফে জিসান), মো. আবু সিদ্দিক সোহেল (৩৪) (সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব), মো. মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (২৫) (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), মো. শেখ আব্দুল্লাহ (২৭) (সাংগঠনিক নাম জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের), বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর বলে কথিত সৈয়দ জিয়াউল হক (৫০) (সাংগঠনিক নাম সাগর ওরফে ইশতিয়াক ওরফে বড় ভাই) এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব (২৮) (সাংগঠনিক নাম আবির ওরফে আদনান ওরফে আব্দুল্লাহ)।

অভিযুক্তদের মধ্যে ছয়জনকে গোয়েন্দা বিভাগ গ্রেফতার করেছে এবং তারা প্রত্যেকেই আদালতে কার্যবিধি ১৬৪ ধারা অনুযায়ী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ মামলায় পলাতক দু’জন হলেন সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়।

অব্যাহতির সুপারিশ করা আসামিরা হলেন- আরাফাত রহমান, সেলিম ওরফে হাদী, আলম, আকাশ, তৈয়ব, জনি, আসাদ, হাসান, তালহা, শরিফুল ও তারেক।

চার্জশিটে বলা হয়, দীপনকে হত্যার নির্দেশদাতা, মূল পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে ছিলেন পলাতক সৈয়দ জিয়াউল হক। আসামি খাইরুল, আবদুস সবুর ও মইনুলকে তিনি হত্যাকাণ্ডের আগে প্রশিক্ষণ দেন।

২০১৬ সালের ৩১ নভেম্বর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের নিজ অফিসে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সেদিন বিকেলে তার স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :
error: Content is protected !!

দীপন হত্যা মামলার চার্জশিট গ্রহণ

আপডেট সময় : ০৮:৪৪:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০১৯

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ জাগৃতি প্রকাশনীর প্রকাশক ফয়সাল আরেফীন দীপন হত্যা মামলায় নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের (এবিটি) ৮ সদস্যের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র আমলে নিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল। এছাড়া মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ১১ জনকে অব্যাহতির যে সুপারিশ করেছেন তা মঞ্জুর করেছেন বিচারক।

মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) সন্ত্রাস দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুজিবুর রহমান চার্জশিট আমলে নিয়ে ১১ জনকে অব্যাহতি দেন। এছাড়াও এ মামলায় পলাতক দু’জন আসামি সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।

ট্রাইব্যুনালের রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

এর আগে ১৮ ডিসেম্বর ঢাকা মহানগর হাকিম সরাফুজ্জামান আনসারি চার্জশিটটি ‘দেখিলাম’ বলে স্বাক্ষর করে মামলাটি বিচারের জন্য বদলির আদেশ দেন। আইনানুযায়ী মামলাটির বিচার হবে সন্ত্রাসবিরোধী ট্রাইব্যুনালে।

১৫ নভেম্বর একই আদালতে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে চার্জশিটটি দাখিল করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ডিবি দক্ষিণের সহকারী পুলিশ কমিশনার ফজলুর রহমান। চার্জশিটে আটজনকে অভিযুক্ত ও ১১ জনকে অব্যাহতির সুপারিশ করা হয়।

অভিযুক্তরা হলেন- মইনুল হাসান শামীম (২৪) (সাংগঠনিক নাম সিফাত ওরফে সামির ওরফে ইমরান), মো. আ. সবুর (২৩) (সাংগঠনিক নাম আ. সামাদ ওরফে সুজন ওরফে রাজু ওরফে সাধ), খাইরুল ইসলাম (২৪) (সাংগঠনিক নাম জামিল ওরফে রিফাত ওরফে ফাহিম ওরফে জিসান), মো. আবু সিদ্দিক সোহেল (৩৪) (সাংগঠনিক নাম সাকিব ওরফে সাজিদ ওরফে শাহাব), মো. মোজাম্মেল হুসাইন ওরফে সায়মন (২৫) (সাংগঠনিক নাম শাহরিয়ার), মো. শেখ আব্দুল্লাহ (২৭) (সাংগঠনিক নাম জুবায়ের ওরফে জায়েদ ওরফে জাবেদ ওরফে আবু ওমায়ের), বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর বলে কথিত সৈয়দ জিয়াউল হক (৫০) (সাংগঠনিক নাম সাগর ওরফে ইশতিয়াক ওরফে বড় ভাই) এবং আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব (২৮) (সাংগঠনিক নাম আবির ওরফে আদনান ওরফে আব্দুল্লাহ)।

অভিযুক্তদের মধ্যে ছয়জনকে গোয়েন্দা বিভাগ গ্রেফতার করেছে এবং তারা প্রত্যেকেই আদালতে কার্যবিধি ১৬৪ ধারা অনুযায়ী স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। এ মামলায় পলাতক দু’জন হলেন সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়।

অব্যাহতির সুপারিশ করা আসামিরা হলেন- আরাফাত রহমান, সেলিম ওরফে হাদী, আলম, আকাশ, তৈয়ব, জনি, আসাদ, হাসান, তালহা, শরিফুল ও তারেক।

চার্জশিটে বলা হয়, দীপনকে হত্যার নির্দেশদাতা, মূল পরিকল্পনা ও নেতৃত্বে ছিলেন পলাতক সৈয়দ জিয়াউল হক। আসামি খাইরুল, আবদুস সবুর ও মইনুলকে তিনি হত্যাকাণ্ডের আগে প্রশিক্ষণ দেন।

২০১৬ সালের ৩১ নভেম্বর রাজধানীর শাহবাগে আজিজ সুপার মার্কেটের নিজ অফিসে জাগৃতি প্রকাশনীর স্বত্বাধিকারী দীপনকে কুপিয়ে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। সেদিন বিকেলে তার স্ত্রী রাজিয়া রহমান শাহবাগ থানায় হত্যা মামলা করেন