পরিবেশ আইনকে কোনো তোয়াক্কা না করে অবৈধভাবে নিষিদ্ধ পলিথিন উৎপাদন ও সারাদেশে বাজারজাত করায় মধুপুর এবং নিউ রহমানিয়া ট্রান্সপোর্টের মালিক আমিনুল ইসলাম (মুরাদ) বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদকে) অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
অভিযোগ কারীর নাম মো: আরিফুল ইসলাম।
বুধবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের প্রধান কার্যালয় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় পরিবেশ নষ্টের অভিযোগ এনে অভিযোগপত্র জমা দেন তিনি।
এই বিষয়ে কথা বলার জন্য মধুপুর এবং নিউ রহমানিয়া ট্রান্সপোর্টের মালিক আমিনুল ইসলামকে বার বার ফোন দিলেও তিনি ধরেননি।
অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে, সরকার নিষিদ্ধ অবৈধ পলিথিন বিক্রয় ও সরবরাহ করে কোটি কোটি টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পাদ অর্জন করার বিষয়ে।
উক্ত অভিযোগে মোঃ আরিফুল ইসলাম, পিতা-আবুল হোসন, সং- ২১/এ, ইমামগঞ্জ চকবাজার এলাকার জনস্বার্থে লিখিতভাবে জানান যে, মোঃ আমিনুল ইসলাম মুরাদ, পিতাঃ অনু. - ইমামগঞ্জ, থানা-চকবাজার ডি.এম.পি, ঢাকা, মধুপুর এবং নিউ রহমানিয়া ট্রান্সপোর্ট এর মালিক। সে পেশায় ছিলেন এক সময় মধুপুর এবং নিউ রহমানিয়া ট্রান্সপোর্টের কর্মচারি বিগত ১০ থেকে ১৫ বছর ধরে সরকার নিষিদ্ধ পলিথিন, মাদক, অস্ত্র, ব্যাবসা করে কেরানীগঞ্জ আটিবাজার, ঢাকার চকবাজার ইমামগঞ্জসহ বিভিন্ন জায়গায় নামে বে নামে সম্পাদের পাহার গড়েছে। যার অনুমানিক সম্পানের মূল্য এক হাজার কোটি টাকার মত। বাংলাদেশের ৬৪ জেলায় তার ট্রান্সপোর্টের মাধ্যমে বরিশাল, রংপুর, খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরা চট্টগ্রাম, রাজশাহী, সিলেটসহ বিভিন্ন জায়গায় সালে সরকার নিষিদ্ধ পলিথিন সরবারহ করে থাকেন। এমনকি কক্সবাজার, যশোর, সাতক্ষীরা, কুমিল্লা, সিলেট বর্ডার থেকে মাদক এবং অস্ত্র এনে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্রয় করে থাকেন। সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন থানার ওসি এবং গনমাধ্যম কর্মী, সোর্সদেরকে প্রায় ৫০ থেকে ৫০লক্ষ টাকা মাসহারা দিয়ে থাকেন বিকাশ, নগদ এর মাধ্যমে। নিদিষ্ট কিছু নাম্বার ও এলাকার বিভিন্ন দোকানের বিকাশ নম্বর দ্বারা টাকা আদান প্রদান করেন যার স্টেটম্যান্ট উঠালে প্রমাণ পাওয়া যাবে। ২০২২ সালে দেশের বিভিন্ন থানায় প্রায় দুই কোটি টাকার নিসিদ্ধি পলিথিনের পরিবেশ আইনে মামলা হয়েছে। তার বাসভবন এবং অফিস রুমে রয়েছে টর্চার সেল। কোন থানায় তার গাড়ি ধরা পরলে লেবার এবং সোর্সকে ধরে এনে তার সন্ত্রাস বাহিনী দিয়ে তাদের অত্যাচার চালানো হয়। এমনকি ঢাকা ৭ আসনের সংসদ সদস্য হাজী সেলিমের ছেলে ইরফান সেলিম ও তার ভাগনে পিলু, হাজী নানা ভাঙ্গিয়ে তার অবৈধ ব্যবসা পরিচালনা করেন। প্রতিদিন প্রায় তার ট্রান্সপোট থেকে দুই কোটি টাকার নিসিদ্ধ পলিথিন দেশের বিভিন্ন জায়গায় যায়। কোন থানায় গাড়ি আটক হলে পুলিশ টাকায় মানেজ না হলে এমনকি মাসহারা না নিলে তাদের বিরুদ্ধে নামে বে নামে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে মিথ্যা অভিযোগ করে হয়রানী করেন। রাত আট ঘটিকার পরে ইমামগঞ্জ বিসমিল্লাহ টাওয়ারের সামনে দিয়ে নিরিহ মানুষ যাতায়েত করতে পারে না । কারণ সরকারি রোড দখল করে রাত ১০ থেকে ২ টা পর্যন্ত একশ থেকে দুইশ টন পলিথিন গাড়িতে লোড করেন। তার ট্রান্সপোর্টে শুধু অবৈধ পলিথিন ছাড়া অন্য কোন মালামাল বহন করে না।
উক্ত বিষয়টি দুদুকের গোয়েন্দা টিমের মাধ্যমে তদন্ত করে তার স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি এবং অবৈধ ব্যবসা বন্ধ করার ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করেন তিনি।