ঢাকা ০৪:৩৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২৬ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্স বাণিজ্য করে পরিবেশ অধিদপ্তরের জহিরুল কোটিপতি Logo ছাড়পত্র ও লাইসেন্সের নামে পরিবেশ অধিদপ্তরের আবুল কালামের কোটি টাকার বাণিজ্য Logo বেসরকারি টিভি চ্যানেল এস’ সুজিত চক্রবর্তী গং কর্তৃক সাংবাদিকদের হত্যাচেষ্টার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo ফ্যাসিস্টের দোসর বিটিভির প্রকৌশলী মনিরুল ইসলামের হাজার কোটি টাকার দুর্নীতি! পর্ব ১ Logo সুবিধাবঞ্চিত শিশু ও এতিমদের নিয়ে দূর্বার তারুণ্য ফাউন্ডেশনের কক্সবাজার ভ্রমন Logo দুদকের মামলার মাথায় নিয়েও বহাল কুমেক হাসপাতালের আবুল Logo সংস্কারের বিপরীতে রহস্যজনক বদলী: এক চিঠিতে ৫২ রদবদল ফায়ার সার্ভিসে! Logo গণপূর্তে ফ্যাসিস্ট সরকারের আস্থাভাজন কর্মকর্তাদের দুর্নীতির সিন্ডিকেট সক্রিয়  Logo বাংলাদেশ সাইন ম্যাটেরিয়ালস এন্ড মেশিনারিজ ইমপোর্টার্স এসোসিয়েশন’ সভাপতি খালেদ সাধারণ সম্পাদক মানিক  Logo চৌদ্দগ্রামে এলজি বন্ধুক ও দেশীয় অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী আটক: টর্চার সেলের সন্ধান




ছাত্রলীগের অশোভন আচরণ: বক্তব্য না দিয়েই চলে গেলেন নেতারা

অনলাইন ডেস্ক:
  • আপডেট সময় : ০৯:৪৫:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০২২ ২৪৬ বার পড়া হয়েছে

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের যৌথ বার্ষিক সম্মেলনে আয়োজকদের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে বক্তব্য না দিয়েই মঞ্চ ছেড়েছেন ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের চার নেতা। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক।

শুক্রবার (০২ ডিসেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের যৌথ বার্ষিক সম্মেলনে এ ঘটনা ঘটে।

এছাড়া বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পাননি আমন্ত্রিত অতিথি আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মদ মোহাম্মদ মান্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। সম্মেলনের প্রধান বক্তা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যও বক্তব্য দিতে পারেননি।

ঢাকা মহানগরের এই সম্মেলন সকাল ১০টায় উদ্বোধনের কথা থাকলেও এক ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়। দীর্ঘ এক ঘণ্টায় মহানগরের বিদায়ী কমিটির চার নেতা বক্তব্য দেন। এ সময় ব্ক্তব্য দিতে না পেরে ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের চার নেতা মঞ্চ ত্যাগ করেন।

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নিজের বক্তব্যের সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের বলেন, সব নেতা হয়ে গেছে। কতজন নেতা আজকে নানকের মতো, আপনাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, সাবেক মন্ত্রী, যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান সময়ের অভাবে বক্তৃতা দিতে পারলেন না। আপনারা মাইক ধরলে ছাড়েন না। পরে কে বলবে খেয়াল থাকে না। আজকে জুমার দিন খেয়াল থাকে না। এই ছাত্রলীগ আমরা চাই না। সুশৃঙ্খল করুন। সুসংগঠিত করুন। কথা শুনবে না এই ছাত্রলীগ আমাদের দরকার নেই। অপকর্ম করবে এই ছাত্রলীগ চাই না। দুর্নামের ধারা থেকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। এটাই আজকের অঙ্গীকার।

তিনি বলেন, বাহাউদ্দিন নাছিম আছেন, কারা নির্যাতিত নেতা। আমাদের বর্তমান জয়েন্ট সেক্রেটারি বক্তৃতা দিতে পারেনি। আমন্ত্রিত অনেকেই আজকে মহানগরের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক কেউ বক্তৃতা দিতে পারেনি। তারা বক্তা ছিলেন। আমাদের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বক্তব্য দিতে পারেনি। তাহলে দাওয়াত দিলেন কেন একটু একটু করে বলতে পারলেন না তারা আপনারা দুই জনেই এক ঘণ্টা শেষ করে দিয়েছেন। মনে নাই আজ শুক্রবার? লেখকের না হয় মনে নাই, জয়ের কী মনে নাই? এটা কোন ছাত্রলীগ!

কাদের বলেন, এটা কি, ছাত্রলীগে কোনো শৃঙ্খলা নেই। জয়-লেখক (ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) এটা কী ছাত্রলীগ। পোস্টার নামাতে বললাম তারা নামায় না। এরা কারা আমি খোঁজ নিচ্ছি। এতো নেতা স্টেজে, তাহলে কর্মী কোথায় এই ছাত্রলীগ চাই না। শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ এই ছাত্রলীগ না। মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না। মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




ছাত্রলীগের অশোভন আচরণ: বক্তব্য না দিয়েই চলে গেলেন নেতারা

আপডেট সময় : ০৯:৪৫:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২ ডিসেম্বর ২০২২

ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ ছাত্রলীগের যৌথ বার্ষিক সম্মেলনে আয়োজকদের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে বক্তব্য না দিয়েই মঞ্চ ছেড়েছেন ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের চার নেতা। তারা হলেন- আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, আব্দুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম ও সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক।

শুক্রবার (০২ ডিসেম্বর) সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ঢাকা মহানগর ছাত্রলীগের যৌথ বার্ষিক সম্মেলনে এ ঘটনা ঘটে।

এছাড়া বক্তব্য দেওয়ার সুযোগ পাননি আমন্ত্রিত অতিথি আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া, ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম বাবু, ঢাকা মহানগর উত্তর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বজলুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এস এম মান্নান কচি, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহম্মদ মোহাম্মদ মান্নাফী, সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির। সম্মেলনের প্রধান বক্তা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্যও বক্তব্য দিতে পারেননি।

ঢাকা মহানগরের এই সম্মেলন সকাল ১০টায় উদ্বোধনের কথা থাকলেও এক ঘণ্টা দেরিতে শুরু হয়। দীর্ঘ এক ঘণ্টায় মহানগরের বিদায়ী কমিটির চার নেতা বক্তব্য দেন। এ সময় ব্ক্তব্য দিতে না পেরে ছাত্রলীগের দায়িত্বপ্রাপ্ত আওয়ামী লীগের চার নেতা মঞ্চ ত্যাগ করেন।

এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে নিজের বক্তব্যের সময় আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ছাত্রলীগের শীর্ষ নেতাদের বলেন, সব নেতা হয়ে গেছে। কতজন নেতা আজকে নানকের মতো, আপনাদের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতা, সাবেক মন্ত্রী, যুবলীগের সাবেক চেয়ারম্যান সময়ের অভাবে বক্তৃতা দিতে পারলেন না। আপনারা মাইক ধরলে ছাড়েন না। পরে কে বলবে খেয়াল থাকে না। আজকে জুমার দিন খেয়াল থাকে না। এই ছাত্রলীগ আমরা চাই না। সুশৃঙ্খল করুন। সুসংগঠিত করুন। কথা শুনবে না এই ছাত্রলীগ আমাদের দরকার নেই। অপকর্ম করবে এই ছাত্রলীগ চাই না। দুর্নামের ধারা থেকে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনতে হবে। এটাই আজকের অঙ্গীকার।

তিনি বলেন, বাহাউদ্দিন নাছিম আছেন, কারা নির্যাতিত নেতা। আমাদের বর্তমান জয়েন্ট সেক্রেটারি বক্তৃতা দিতে পারেনি। আমন্ত্রিত অনেকেই আজকে মহানগরের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক কেউ বক্তৃতা দিতে পারেনি। তারা বক্তা ছিলেন। আমাদের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বক্তব্য দিতে পারেনি। তাহলে দাওয়াত দিলেন কেন একটু একটু করে বলতে পারলেন না তারা আপনারা দুই জনেই এক ঘণ্টা শেষ করে দিয়েছেন। মনে নাই আজ শুক্রবার? লেখকের না হয় মনে নাই, জয়ের কী মনে নাই? এটা কোন ছাত্রলীগ!

কাদের বলেন, এটা কি, ছাত্রলীগে কোনো শৃঙ্খলা নেই। জয়-লেখক (ছাত্রলীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক) এটা কী ছাত্রলীগ। পোস্টার নামাতে বললাম তারা নামায় না। এরা কারা আমি খোঁজ নিচ্ছি। এতো নেতা স্টেজে, তাহলে কর্মী কোথায় এই ছাত্রলীগ চাই না। শেখ হাসিনার ছাত্রলীগ, বঙ্গবন্ধুর ছাত্রলীগ এই ছাত্রলীগ না। মুজিব কোট পরলেই মুজিব সৈনিক হওয়া যায় না। মুজিব সৈনিক হতে হলে মুজিবের আদর্শের সৈনিক হতে হবে।