ঢাকা ০৩:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ




জালিয়াতির জেরে জানে আলমে’র গ্রেফতারী পরোয়ানা

জেলা প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ১০:৫২:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২ ৭৬২ বার পড়া হয়েছে

চট্টগ্রামে ভবন নির্মাণ অনিয়মের জেরে আইনীবিধান লঙ্গনে ১০তলার অনুমোদনে অনুমোদন বিহীনভাবে ১৪তলা ভবন নির্মাণে জেরে ভবন মালিক জানে আলমের বিরুদ্ধে ফের গ্রেফতারী পরোয়ানা।

২৯ নভেম্বর তদন্ত প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব জুয়েল দেব গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে মামলাটি তক্তকরে পিবিআই তপ্ত রিপোট দাখিল করেন।

জানা যায়,১০তলা ভবন নির্মাণ এর অনুমোদন নিয়ে অনুমোদন পত্র জালিয়াতি করে ১৪ তলা ভবন নির্মাণ করে , জনাব শহিদুল ইসলামের কাছে ২টি ফ্ল্যাট বিক্রি করেন জানে আলম।

এছাড়াও আরো জানা যায়,নকশা না মেনে ভবন নির্মাণ করায় এই বহুতল ভবনের অবৈধ অংশ গুঁড়িয়ে দিয়েছিলো চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।

চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ মোগলটুলী কাটা বটগাছ মোড় এলাকার সামার হোল্ডিং নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ভবনে অভিযান শুরু করেছিলেন সিডিএর স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো.সাইফুল আলম চৌধুরী।

১০ তলার অনুমতি নিয়ে ১৪ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করেছিলো প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে অবৈধ অংশের ফ্ল্যাট বিক্রিও হয়েছিলো। ফলে নকশা বহির্ভূত ও অনুমোদনহীন অংশটুকু ভেঙে ফেলা হয়েছিলো।

আরো জানা যায়, জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভবন নির্মাণের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. জানে আলমকে ১০ লাখ টাকা জরিমানাসহ ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী শাস্তির নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।

ওই সময় সিডিএকে ভবনটির অবৈধ অংশটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ জুন ২০২১ সালে উচ্ছেদ ও অবৈধ অংশ ভাঙার কাজ শুরু করেছিলো সিডিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত।

কিন্তু একইদিন বিকেলে ভবন মালিক আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে এলে থেমে যায় অভিযান। পরবর্তীতে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ উপস্থাপনে ব্যর্থ হলে সেই স্থগিতাদেশ তুলে নেয় আদালত।

পরবর্তী গত কাল ২৯/১১/২০২২ উক্ত কথিত ডেভেলাপার জানে আলম চেয়ারম্যান চউক বরাবর ৩০০/- টাকার নন জুডশিয়াল ষ্ট্যাম্পে ১০ তলা স্বাকীর পূর্বক অবৈধ অংশ অপসারণ করবে মর্মে অঙ্গীকার প্রদান করলে ও তিনি তা না করে মামলার বাদী জনাব শহিদুল ইসলামের কাছে জালিয়াতি ও প্রতারনা পূর্বক ১৪ তলা দেখিয়ে ফ্ল্যাট ২টি বিক্রি করেন।

বিষয়টি জানার পর ফ্ল্যাট ক্রেতা শহিদুল ইসলাম বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট, ১ম আদালত, চট্টগ্রাম এ জাল জালিয়াতি ও প্রতারনার অভিযোগে একটি মামলা নং ২১৯৩/২২ দায়ের করেন।

উল্লেখ্য যে, মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগেও জাল দলিল দাখিল করার কারনে মহামান্য হাইকোর্ট এর নির্দেশে আরো একবার গ্রেফতার হয়েছিল। আলোচিত জালিয়াতি মামলায় মোগলটুলীর সেই জানে আলমের বিরুদ্ধে ফের আবারো গ্রেফতারী পরোয়ানা।দেশে যখন নিয়ম নির্ধারণ করে ভবন নির্মাণ কাজ করছে সকলে। তখনই এমন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অনুমোদন বিহীন ভাবে কাজে মগ্ন। এমনিই একজন অসাধু ব্যবসায়ী জানে আলম।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




জালিয়াতির জেরে জানে আলমে’র গ্রেফতারী পরোয়ানা

আপডেট সময় : ১০:৫২:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ নভেম্বর ২০২২

চট্টগ্রামে ভবন নির্মাণ অনিয়মের জেরে আইনীবিধান লঙ্গনে ১০তলার অনুমোদনে অনুমোদন বিহীনভাবে ১৪তলা ভবন নির্মাণে জেরে ভবন মালিক জানে আলমের বিরুদ্ধে ফের গ্রেফতারী পরোয়ানা।

২৯ নভেম্বর তদন্ত প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট জনাব জুয়েল দেব গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেন।বিজ্ঞ আদালতের নির্দেশে মামলাটি তক্তকরে পিবিআই তপ্ত রিপোট দাখিল করেন।

জানা যায়,১০তলা ভবন নির্মাণ এর অনুমোদন নিয়ে অনুমোদন পত্র জালিয়াতি করে ১৪ তলা ভবন নির্মাণ করে , জনাব শহিদুল ইসলামের কাছে ২টি ফ্ল্যাট বিক্রি করেন জানে আলম।

এছাড়াও আরো জানা যায়,নকশা না মেনে ভবন নির্মাণ করায় এই বহুতল ভবনের অবৈধ অংশ গুঁড়িয়ে দিয়েছিলো চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)।

চট্টগ্রাম নগরীর আগ্রাবাদ মোগলটুলী কাটা বটগাছ মোড় এলাকার সামার হোল্ডিং নামে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ভবনে অভিযান শুরু করেছিলেন সিডিএর স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো.সাইফুল আলম চৌধুরী।

১০ তলার অনুমতি নিয়ে ১৪ তলা পর্যন্ত ভবন নির্মাণ করেছিলো প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে অবৈধ অংশের ফ্ল্যাট বিক্রিও হয়েছিলো। ফলে নকশা বহির্ভূত ও অনুমোদনহীন অংশটুকু ভেঙে ফেলা হয়েছিলো।

আরো জানা যায়, জাল জালিয়াতির মাধ্যমে ভবন নির্মাণের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির মালিক মো. জানে আলমকে ১০ লাখ টাকা জরিমানাসহ ফৌজদারী কার্যবিধি অনুযায়ী শাস্তির নির্দেশ দিয়েছিল আদালত।

ওই সময় সিডিএকে ভবনটির অবৈধ অংশটি ভেঙে ফেলার নির্দেশ দেয়া হয়েছিলো সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ৭ জুন ২০২১ সালে উচ্ছেদ ও অবৈধ অংশ ভাঙার কাজ শুরু করেছিলো সিডিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত।

কিন্তু একইদিন বিকেলে ভবন মালিক আদালতের স্থগিতাদেশ নিয়ে এলে থেমে যায় অভিযান। পরবর্তীতে উপযুক্ত তথ্য প্রমাণ উপস্থাপনে ব্যর্থ হলে সেই স্থগিতাদেশ তুলে নেয় আদালত।

পরবর্তী গত কাল ২৯/১১/২০২২ উক্ত কথিত ডেভেলাপার জানে আলম চেয়ারম্যান চউক বরাবর ৩০০/- টাকার নন জুডশিয়াল ষ্ট্যাম্পে ১০ তলা স্বাকীর পূর্বক অবৈধ অংশ অপসারণ করবে মর্মে অঙ্গীকার প্রদান করলে ও তিনি তা না করে মামলার বাদী জনাব শহিদুল ইসলামের কাছে জালিয়াতি ও প্রতারনা পূর্বক ১৪ তলা দেখিয়ে ফ্ল্যাট ২টি বিক্রি করেন।

বিষয়টি জানার পর ফ্ল্যাট ক্রেতা শহিদুল ইসলাম বিজ্ঞ মেট্রোপলিটন ম্যাজিষ্ট্রেট, ১ম আদালত, চট্টগ্রাম এ জাল জালিয়াতি ও প্রতারনার অভিযোগে একটি মামলা নং ২১৯৩/২২ দায়ের করেন।

উল্লেখ্য যে, মহামান্য হাইকোর্ট বিভাগেও জাল দলিল দাখিল করার কারনে মহামান্য হাইকোর্ট এর নির্দেশে আরো একবার গ্রেফতার হয়েছিল। আলোচিত জালিয়াতি মামলায় মোগলটুলীর সেই জানে আলমের বিরুদ্ধে ফের আবারো গ্রেফতারী পরোয়ানা।দেশে যখন নিয়ম নির্ধারণ করে ভবন নির্মাণ কাজ করছে সকলে। তখনই এমন কিছু অসাধু ব্যবসায়ী অনুমোদন বিহীন ভাবে কাজে মগ্ন। এমনিই একজন অসাধু ব্যবসায়ী জানে আলম।