ঢাকা ০৯:৫৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২২ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ৭ আশ্বিন ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :




কবি আপনার আত্মজীবনী পড়তে চাই: এইচ আর শফিক

সকালের সংবাদ:
  • আপডেট সময় : ০৫:১৪:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২ ২৮৮ বার পড়া হয়েছে
যে কবির শব্দের গাঁথুনিতে
আমরা হাসি কাঁদি
দুঃখের মাঝে কষ্ট ভুলতে কিছুটা সান্তনার সময় খুঁজি
সেই শব্দের সারথি প্রিয় কবির চোখে জল
মাথা গুজার ঠাই খুজতে বিমুর্ষ চোখ।
থাকার স্থান নেই, স্বজন নেই!
হাসি কান্নার অনিশ্চয়তায় ছল ছল তার চোখ…

 

কবি হেলাল হাফিজের আত্মজীবনী বইটি পড়তে পারি যেনো এমনটাই প্রত্যাশা এই জীবনে। যেই মগজের চিন্তা লেখনীতে ঢলে পড়েছে উম্মাদ হয়েছে হাজারো প্রাণ, সুখ দুঃখ, প্রেম কষ্ট সবকিছতে যেই কবির কবিতায় হাতরে বেড়ায় মানুষ। সেই কবির নাকি আজ নিশ্চিত কোনো বাসস্থান নেই!

প্রেম, বন্ধন, কত মধুরিমার উপহারে কবি হেলাল হাফিজের লেখনী উৎসর্গ হয় লাখো তরুণের উন্মাদনায়। সেই কবি হেলাল হাফিজের জীবনে নাকি নিশ্চিত কোন থাকার জায়গা নেই। ভাবা যায়? বছরের পর বছর হোটেল কক্ষে পারি দেয়া জীবন আজ বড্ড ক্লান্ত-শ্রান্ত, বিবর্ণ, বিমূর্ষ, পথে দিশেহারা সাগরে যেন হাবুডুবু খাচ্ছে। তার অন্তিম লগ্নে চিন্তার ভাঁজ কোথায় থাকবেন? কে তার দেখভাল করবেন?

হাজারো অজানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চোখে জল গড়িয়ে কি বিমূর্ষ চাহনি তার! বিছানার কিনারে বসে অসুস্থ কবি হেলাল হাফিজের জীবনের অন্তিম দুইটি ইচ্ছা। দুইটি বই লেখার। তার মধ্যে একটি নিজের আত্মজীবনী টেলিভিশনের স্ক্রলে তার এমন আবেগী ইচ্ছর কথা শুনে আমার জীবনেও যেন একটি সর্বোচ্চ ইচ্ছার হেয়লি খেলতে শুরু করছে। মনের সবকটা দরজা জলানা খুলে মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে দোয়া কবি আপনি বেঁচে থাকুন। অনেকদিন বেঁচে থাকুক, অন্তত শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী ওই দুটি বই লেখার সময়টুকু বেঁচে থাকুন আপনি।

আমার জীবনের সর্বোচ্চ ইচ্ছা, আপনার আত্মজীবনী খানা পড়তে চাই।

 

~~এইচ আর শফিক

 

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




কবি আপনার আত্মজীবনী পড়তে চাই: এইচ আর শফিক

আপডেট সময় : ০৫:১৪:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ নভেম্বর ২০২২
যে কবির শব্দের গাঁথুনিতে
আমরা হাসি কাঁদি
দুঃখের মাঝে কষ্ট ভুলতে কিছুটা সান্তনার সময় খুঁজি
সেই শব্দের সারথি প্রিয় কবির চোখে জল
মাথা গুজার ঠাই খুজতে বিমুর্ষ চোখ।
থাকার স্থান নেই, স্বজন নেই!
হাসি কান্নার অনিশ্চয়তায় ছল ছল তার চোখ…

 

কবি হেলাল হাফিজের আত্মজীবনী বইটি পড়তে পারি যেনো এমনটাই প্রত্যাশা এই জীবনে। যেই মগজের চিন্তা লেখনীতে ঢলে পড়েছে উম্মাদ হয়েছে হাজারো প্রাণ, সুখ দুঃখ, প্রেম কষ্ট সবকিছতে যেই কবির কবিতায় হাতরে বেড়ায় মানুষ। সেই কবির নাকি আজ নিশ্চিত কোনো বাসস্থান নেই!

প্রেম, বন্ধন, কত মধুরিমার উপহারে কবি হেলাল হাফিজের লেখনী উৎসর্গ হয় লাখো তরুণের উন্মাদনায়। সেই কবি হেলাল হাফিজের জীবনে নাকি নিশ্চিত কোন থাকার জায়গা নেই। ভাবা যায়? বছরের পর বছর হোটেল কক্ষে পারি দেয়া জীবন আজ বড্ড ক্লান্ত-শ্রান্ত, বিবর্ণ, বিমূর্ষ, পথে দিশেহারা সাগরে যেন হাবুডুবু খাচ্ছে। তার অন্তিম লগ্নে চিন্তার ভাঁজ কোথায় থাকবেন? কে তার দেখভাল করবেন?

হাজারো অজানা প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে চোখে জল গড়িয়ে কি বিমূর্ষ চাহনি তার! বিছানার কিনারে বসে অসুস্থ কবি হেলাল হাফিজের জীবনের অন্তিম দুইটি ইচ্ছা। দুইটি বই লেখার। তার মধ্যে একটি নিজের আত্মজীবনী টেলিভিশনের স্ক্রলে তার এমন আবেগী ইচ্ছর কথা শুনে আমার জীবনেও যেন একটি সর্বোচ্চ ইচ্ছার হেয়লি খেলতে শুরু করছে। মনের সবকটা দরজা জলানা খুলে মহান সৃষ্টিকর্তার দরবারে দোয়া কবি আপনি বেঁচে থাকুন। অনেকদিন বেঁচে থাকুক, অন্তত শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী ওই দুটি বই লেখার সময়টুকু বেঁচে থাকুন আপনি।

আমার জীবনের সর্বোচ্চ ইচ্ছা, আপনার আত্মজীবনী খানা পড়তে চাই।

 

~~এইচ আর শফিক