পল্লি কর্মসংস্থান ও সড়ক রক্ষনাবেক্ষেন কর্মসুচি-৩ এর আওতায় সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার খাষপুকুরিয়া ও খাষকাউলিয়া ইউনিয়নের পাকা সড়ক রক্ষনাবেক্ষেনের জন্য ২০ জন মহিলা শ্রমিক নিয়োগ প্রাপ্ত হন এলজিইডি অধীনে। তার মধ্যে খাষকাউলিয়া টিমের সভাপতি খোদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসার গৃহ পরিচালিকার হিসাবে কাজে নিযুক্ত। প্রকল্পে নিয়োজিত কর্মকর্তারা এ বিষয়ে ইউএনওকে বলা সত্ত্বেও তিনি বিষয়টি গুরুত্ব দেননি বলে অভিযোগ উঠেছে।
জানা যায়, ২০২০ সালে ৪ বছরের জন্য তারা নিয়োগ প্রাপ্ত হন। তাদের একজন মোছাঃ মঞ্জিলা খাতুন খাষপুখুরিয়া ইউনিয়নের জন্য নিয়োগ পেলেও শুরু থেকেই চৌহালী উপজেলা স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) অফিস পরিছন্নকর্মীর কাজ করছেন।
আরেকজন খাষকাউলিয়া টিমের অফিসিয়াল সভাপতি মোছাঃ মাদেজা খাতুন, তিনি নামেই মাত্র নিয়োগ পান তার বেতন ভাতা ভোগ করছেন মোছাঃ শাহানাজ খাতুন নামে আরেকজন। এমনকি স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলনও করেন তিনি। তারপরও তিনি সড়কে কাজ না করে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার গৃহপরিচারিকার কাজ করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয় খাষকাউলিয়া ইউনিয়নের নিয়োগ প্রাপ্তদের মধ্যে মোছাঃ সবুরা খাতুন এর পরিবর্তন মোছাঃ জানু খাতুন, মোছাঃ আমেনা খাতুন এর পরিবর্তে সূর্য বানু, মোছাঃ জয়নাব এর পরিবর্তে মোছাঃ খোদেজা খাতুন এবং মোছাঃ কুলছুম এর পরিবর্তে মোছাঃ শহিতন খাতুন বদলি কাজ করছেন, যা সরেজমিনে প্রমাণ পাওয়া যায়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) শাখাওয়াত হোসেন বলেন- উপজেলা নির্বাহী মহোদয়কে আমি তার বাসার গৃহ পরিচালকের ব্যাপারে বলেছিলাম তিনি আমাকে বলেছেন, আমি অল্প কয়েকদিনের মধ্যে চলে যাব এই কয়জনের জন্য নতুন কাজের লোক খোঁজা কষ্টকর। এছাড়া মঞ্জিলা নামের মহিলার বিষয়ে আপনারা যোগাযোগ করেছেন তা সত্য নয় বর্ষার মৌসুমে যখন রাস্তার কাজ না থাকে তখন মাঝেমধ্যে তিনি অফিস পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করে দেন, সেটা নিয়মিত নয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আফসানা ইয়াসমিনের বক্তব্য জানতে পার সরকারি মুঠোফোন নাম্বারে একাধিকবার চেষ্টা করলেও তাকে পাওয়া যায়নি।