ঢাকা ০৮:৪২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বটিয়াঘাটা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতি ও অনিয়মে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ Logo বামনায় রাতের অন্ধকারে লোহার পুল চুরি! কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকা Logo কথিত পীরের ধর্ম ব্যবসার পাশাপাশি পোল্ট্রি ফার্ম : ধ্বংসের মুখে পরিবেশ Logo নকল সিগমা লিফটে গ্রাহকরা প্রতারিত, বাড়ছে দুর্ঘটনা! Logo বিএডিসি’র আড়ালে দুর্নীতির কারখানা: গুদামরক্ষকের বিরুদ্ধে কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ Logo অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) উদাসীন Logo রাজধানীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও মার্কেট নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের অবহেলা Logo হানিফ ফ্লাইওভার টোলের ১২০০ কোটি টাকা ওরিয়ন গ্রুপের পেটে! Logo ‘ফুল ভলিয়মে ভাইরাল গানে মগ্ন অন্তর্বর্তী জোট’ Logo স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে স্বৈরাচারের দোসর সৈয়দ হাবিবুরের দুর্নীতির ফিরিস্তি- পর্ব ১

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলাতে সবুজের রমরমা জুয়া ও মাদকের আসর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২৩:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২ ৩৯৯ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার: কেউ ফিরে নি:ম্ব হয়ে আবার কেউ ফেরে টাকার বস্তা নিয়ে। এমনি করেই বছরের পর বছর জুয়া খেলায় হারিয়ে যাচ্ছে অনেক পরিবার। তারপর ও থেমে নেই জুয়ার আসর। একের পর এক অভিযান চালালেও থামছে না এ খেলা। রাজধানীতে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় গড়ে উঠা শতাধিক ক্লাবগুলোতে সন্ধ্যা নামতেই বসে এসব জুয়ার আসর।

এ আসরগুলোতে ওয়ান-টেন, ওয়ান-এইট, তিন তাস, নয় তাস, কাটাকাটি, আরো নানা নামের জুয়া চলে। লোভ সামলাতে না পেরে অনেকেই পথে বসছেন। এতে পারিবারিক অশান্তিসহ সামাজিক নানা অসংগতি বাড়ছে। ভুক্তভোগীরা সর্বস্বান্ত হলেও জুয়ার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে আয়োজক চক্র। আর এ কাজে সহায়তা দিচ্ছে এক শ্রেণির প্রভাবশালী। অথচ আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও অভিযোগ রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু লোককে ম্যানেজ করেই দিনের পর দিন চলছে এসব কর্মকাণ্ড। তবে গতকাল জানা গেছে, এই ক্লাবগুলোতে থানা-ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা, ওর্য়াড কমিশনার, নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই আসরগুলোতে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার খেলা হচ্ছে । এদের আইনি ঝামেলা থেকে সুরক্ষা দেয় খোদ পুলিশ প্রশাসনেরই কিছু অসাধু কর্মকর্তা। সরকার দলীয় একশ্রেণির নেতার ছত্রছায়ায় এ সর্বগ্রাসী জুয়ার আস্তানা এখন ছড়িয়ে পড়ছে আবাসিক এলাকা থেকে শুরু করে রাজধানীর অলি-গলিতেও। ক্লাবের বাইরে বিভিন্ন এলাকার গেস্ট হাউজ ও ফ্ল্যাট বাসায়ও এ ধরনের আয়োজন করা হচ্ছে। বাদ পড়ছে না বস্তি এলাকাও।

যাত্রা বাড়ি থানা এলাকার কাজলার পাড় স্কুল গলি ৩৩/৭ মায়ের দোয়া স্টোর এর পাশের রাস্তা দিয়ে একটু ভিতরে হাতের ডান পাশে কালামের টিন সেট বাড়িতে সবুজের মাদকব্যাবসা ও জুয়ার আসর চলছেই। এই জুয়া পরিচালনা করে রিপন, সবুজ, আলমগীর ও মনির, অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় থানা পুলিশকে মাসোহারা দিয়েই নাকি এই জুয়া পরিচালিত হয়ে থাকে। অন্যদিকে নিকেতন, নিকুঞ্জ, শান্তিনগর, উত্তরা, রূপনগর, খিলগাঁও, লালবাগ, হাজারীবাগ, বাড্ডার অসংখ্য বাসায় নিয়মিত জুয়ার আসর বসানো হয়।

এসব আসরে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে ছিনতাইকারী, ছিঁচকে চোরেরাও খেলে। তেজগাঁও নাখাল পাড়া এখানে খেলাঘর নামে একটি ক্লাব রয়েছে। যেখানে প্রতি রাতে চলে কোটি কোটি টাকার জুয়া। সেখানে মূল দায়িত্বে রয়েছেন নজরুল নামের এক ব্যক্তি। এছাড়া জুয়ারিদের সহযোগী রয়েছেন মতিন, সফিক, রবিনসহ বেশ কয়েকজন। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্তের কমপক্ষে শতাধিক ব্যক্তি এ খেলায় অংশ নেয়। তেজগাঁও থানার পেছনে নাখালপাড়া যুব কল্যাণ ক্লাবেও রাত নামলে শুরু হয় জুয়া খেলা। এখানেও অংশ নেয় বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা।

এ ছাড়া মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, গুলশান, মিরপুর, গুলিস্থান, কাজলা, শনির আখড়া, রায়ের বাগ, পলটনসহ ঢাকার অধিকাংশ ক্লাব গুলোতে ভোর রাত পযর্ন্ত চলে এই জুয়া খেলা। প্রসাশন স্থানীয় সরকার দলীয় বিভিন্ন অংগ-সংগঠনের নেতা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় অসৎ সদস্যকে মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে এ ব্যবসা চালিয়ে থাকে। এ ব্যপারে ওয়ারী জোনের ডিসি জানান, এ ধরণের তথ্য পেলে অভিযান চালানো হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর কাজলাতে সবুজের রমরমা জুয়া ও মাদকের আসর

আপডেট সময় : ১২:২৩:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২০ অক্টোবর ২০২২

স্টাফ রিপোর্টার: কেউ ফিরে নি:ম্ব হয়ে আবার কেউ ফেরে টাকার বস্তা নিয়ে। এমনি করেই বছরের পর বছর জুয়া খেলায় হারিয়ে যাচ্ছে অনেক পরিবার। তারপর ও থেমে নেই জুয়ার আসর। একের পর এক অভিযান চালালেও থামছে না এ খেলা। রাজধানীতে বিভিন্ন পাড়া-মহল্লায় গড়ে উঠা শতাধিক ক্লাবগুলোতে সন্ধ্যা নামতেই বসে এসব জুয়ার আসর।

এ আসরগুলোতে ওয়ান-টেন, ওয়ান-এইট, তিন তাস, নয় তাস, কাটাকাটি, আরো নানা নামের জুয়া চলে। লোভ সামলাতে না পেরে অনেকেই পথে বসছেন। এতে পারিবারিক অশান্তিসহ সামাজিক নানা অসংগতি বাড়ছে। ভুক্তভোগীরা সর্বস্বান্ত হলেও জুয়ার নামে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে আয়োজক চক্র। আর এ কাজে সহায়তা দিচ্ছে এক শ্রেণির প্রভাবশালী। অথচ আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও অভিযোগ রয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কিছু লোককে ম্যানেজ করেই দিনের পর দিন চলছে এসব কর্মকাণ্ড। তবে গতকাল জানা গেছে, এই ক্লাবগুলোতে থানা-ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতা, ওর্য়াড কমিশনার, নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই আসরগুলোতে প্রতিদিন কোটি কোটি টাকার খেলা হচ্ছে । এদের আইনি ঝামেলা থেকে সুরক্ষা দেয় খোদ পুলিশ প্রশাসনেরই কিছু অসাধু কর্মকর্তা। সরকার দলীয় একশ্রেণির নেতার ছত্রছায়ায় এ সর্বগ্রাসী জুয়ার আস্তানা এখন ছড়িয়ে পড়ছে আবাসিক এলাকা থেকে শুরু করে রাজধানীর অলি-গলিতেও। ক্লাবের বাইরে বিভিন্ন এলাকার গেস্ট হাউজ ও ফ্ল্যাট বাসায়ও এ ধরনের আয়োজন করা হচ্ছে। বাদ পড়ছে না বস্তি এলাকাও।

যাত্রা বাড়ি থানা এলাকার কাজলার পাড় স্কুল গলি ৩৩/৭ মায়ের দোয়া স্টোর এর পাশের রাস্তা দিয়ে একটু ভিতরে হাতের ডান পাশে কালামের টিন সেট বাড়িতে সবুজের মাদকব্যাবসা ও জুয়ার আসর চলছেই। এই জুয়া পরিচালনা করে রিপন, সবুজ, আলমগীর ও মনির, অভিযোগ রয়েছে স্থানীয় থানা পুলিশকে মাসোহারা দিয়েই নাকি এই জুয়া পরিচালিত হয়ে থাকে। অন্যদিকে নিকেতন, নিকুঞ্জ, শান্তিনগর, উত্তরা, রূপনগর, খিলগাঁও, লালবাগ, হাজারীবাগ, বাড্ডার অসংখ্য বাসায় নিয়মিত জুয়ার আসর বসানো হয়।

এসব আসরে তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী থেকে শুরু করে ছিনতাইকারী, ছিঁচকে চোরেরাও খেলে। তেজগাঁও নাখাল পাড়া এখানে খেলাঘর নামে একটি ক্লাব রয়েছে। যেখানে প্রতি রাতে চলে কোটি কোটি টাকার জুয়া। সেখানে মূল দায়িত্বে রয়েছেন নজরুল নামের এক ব্যক্তি। এছাড়া জুয়ারিদের সহযোগী রয়েছেন মতিন, সফিক, রবিনসহ বেশ কয়েকজন। উচ্চবিত্ত, মধ্যবিত্তের কমপক্ষে শতাধিক ব্যক্তি এ খেলায় অংশ নেয়। তেজগাঁও থানার পেছনে নাখালপাড়া যুব কল্যাণ ক্লাবেও রাত নামলে শুরু হয় জুয়া খেলা। এখানেও অংশ নেয় বিভিন্ন পর্যায়ের ব্যক্তিরা।

এ ছাড়া মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, গুলশান, মিরপুর, গুলিস্থান, কাজলা, শনির আখড়া, রায়ের বাগ, পলটনসহ ঢাকার অধিকাংশ ক্লাব গুলোতে ভোর রাত পযর্ন্ত চলে এই জুয়া খেলা। প্রসাশন স্থানীয় সরকার দলীয় বিভিন্ন অংগ-সংগঠনের নেতা এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় অসৎ সদস্যকে মোটা অংকের ঘুষ দিয়ে এ ব্যবসা চালিয়ে থাকে। এ ব্যপারে ওয়ারী জোনের ডিসি জানান, এ ধরণের তথ্য পেলে অভিযান চালানো হবে।