ঢাকা ০৮:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ মার্চ ২০২৫, ৮ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo আগস্ট বিপ্লবের অদৃশ্য শক্তি তারেক রহমান – মাহমুদ হাসান Logo ছাত্র জনতাকে ১০ মিনিটে ক্লিয়ার করার ঘোষণা দেয়া হামিদ চাকুরীতে বহাল Logo ছাত্রলীগ নেত্রী যুবলীগ নেতার প্রতারণার শিকার চিকিৎসক সালেহউদ্দিন: বিচার ও প্রতিকার দাবি Logo দেশসেরা সহকারী জজ পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জনে সংবর্ধনা Logo মাদরাসাসহ সকল শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের দাবি বিএমজিটিএ’র Logo এনবিআরে আরেক মতিউর: কর কমিশনার কবিরের সম্পদের পাহাড় Logo চাকুরীর নামে ভুয়া মেজরের কোটি টাকার প্রতারণা: মিথ্যে মামলায় ভুক্তভোগীদের হয়রানি Logo পটুয়াখালী এলএ শাখায় ঘুষ ছাড়া সেবা পাচ্ছেনা ইপিজেড ও পায়রা বন্দরের ক্ষতিগ্রস্তরা Logo খুলনায় বন্ধ পাটকল চালু ও বকেয়া বেতনের দাবিতে আমজনতার দলের বিক্ষোভ Logo এলজিইডি প্রধান প্রকৌশলী রশীদ’র বিরুদ্ধে ৩০০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ




সরকারি টাকা ব্যাংকে ডিপোজিট রেখে ডিজি হামিদুর রহমানের কমিশন বাণিজ্য!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২৩:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২ ২৬৫ বার পড়া হয়েছে

অনুসন্ধানী প্রতিবেদক: গতকয়েক বছর ধরে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মেলা বসেছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ওয়েজ অনার্স কল্যাণ বোর্ডের ডিজির কার্যালয়ে।

প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করা ওয়েস অনার্স কল্যাণ বোর্ডের সরকারি টাকা বিভিন্ন ব্যাংকের সাথে মৌখিক চুক্তির মাধ্যমে ডিপোজিট রেখে কয়েক বছর ধরে মিডিয়া কমিশন বাণিজ্য করে আসছেন প্রতিষ্ঠানের ডিজি হামিদুর রহমান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ওয়েজ অনার্স কল্যাণ বোর্ডের সরকারি টাকা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এন আর বি গ্লোবাল ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, সহ বেশ কয়েকটি ব্যাংকে কমিশনের চুক্তিতে ডিপোজিট রাখেন তিনি। সরকারি এই কল্যাণ বোর্ডের কোটি কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাংকে রেখে কমিশনের একটি অংশ চুক্তির মাধ্যমে ডিজির পকেটে চলে যায় বলে জানা গেছে।

তার এসব কাজে সহযোগী হিসেবে রয়েছে বেশ কয়েকজনের একটি অসাধু সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটের সদস্যদের মধ্যে অন্যতম চট্টগ্রামের মাহাবুব, কাওসার, মোকাররম, গোপালগঞ্জের আশিক ও শালা ফারুক সহ বেশ কয়েকজন।

চট্টগ্রামের মাহাবুব, কাওসার, মোকাররম সহ আরো অনেকেই ডিজি হামিদুর রহমানের কার্যালয়ের নিজস্ব পোষা দালাল হিসেবে চিহ্নিত। এরা তার বিভিন্ন কাজের ঘুষ ও কমিশনের টাকা ডিজির ক্যান্টনমেন্ট বাসার গলীতে গিয়েও পৌছে দেয়। ডিজি সরাসরি নিজের হাতে সেসব অবৈধ অর্থ গ্রহণ করেন। দালাল মাহাবুব তার পছন্দ মতো যেকোন একাউন্টে টাকা আরটিডিএস করে থাকেন বলে জানা গেছে।

এসব ন্ডিকেটের মাধ্যমে ডিজি হামিদুর রহমান তার দুর্নীতির সকল মিশন কার্যকর করে থাকেন বলে জানা যায়।

অনার্স কল্যাণ বোর্ডের কমিশনবাজ ডিজি হামিদুর রহমানের সমস্ত দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রাতিষ্ঠানিক সঙ্গী হিসেবে নিজের ব্যক্তিগত সহকারী মোঃ মামুন শিকদার সকলের কাছে ওপেন সিক্রেট। মূলত মামুনের হাত ধরেই তিনি সমস্ত দুর্নীতি ও অনিয়মের কমিশন গ্রহণ করেন বলে অনুসন্ধানে জানা যায়।

সরকারি টাকায় ব্যাংকের কমিশন সহ বিভিন্ন দুর্নীতি ও নিয়মের বিষয়ে ডিজি হামিদুর রহমানের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে মেসেজের মাধ্যমে বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হয় কিন্তু তিনি কোন প্রকার প্রতিক্রিয়া জানাননি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সরকারি টাকা ব্যাংকে ডিপোজিট রেখে ডিজি হামিদুর রহমানের কমিশন বাণিজ্য!

আপডেট সময় : ০৮:২৩:৩১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জুলাই ২০২২

অনুসন্ধানী প্রতিবেদক: গতকয়েক বছর ধরে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মেলা বসেছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ওয়েজ অনার্স কল্যাণ বোর্ডের ডিজির কার্যালয়ে।

প্রবাসীদের কল্যাণে কাজ করা ওয়েস অনার্স কল্যাণ বোর্ডের সরকারি টাকা বিভিন্ন ব্যাংকের সাথে মৌখিক চুক্তির মাধ্যমে ডিপোজিট রেখে কয়েক বছর ধরে মিডিয়া কমিশন বাণিজ্য করে আসছেন প্রতিষ্ঠানের ডিজি হামিদুর রহমান।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, ওয়েজ অনার্স কল্যাণ বোর্ডের সরকারি টাকা ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, সাউথইস্ট ব্যাংক, এনআরবি কমার্শিয়াল ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, এন আর বি গ্লোবাল ব্যাংক, ন্যাশনাল ব্যাংক, সহ বেশ কয়েকটি ব্যাংকে কমিশনের চুক্তিতে ডিপোজিট রাখেন তিনি। সরকারি এই কল্যাণ বোর্ডের কোটি কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাংকে রেখে কমিশনের একটি অংশ চুক্তির মাধ্যমে ডিজির পকেটে চলে যায় বলে জানা গেছে।

তার এসব কাজে সহযোগী হিসেবে রয়েছে বেশ কয়েকজনের একটি অসাধু সিন্ডিকেট। সিন্ডিকেটের সদস্যদের মধ্যে অন্যতম চট্টগ্রামের মাহাবুব, কাওসার, মোকাররম, গোপালগঞ্জের আশিক ও শালা ফারুক সহ বেশ কয়েকজন।

চট্টগ্রামের মাহাবুব, কাওসার, মোকাররম সহ আরো অনেকেই ডিজি হামিদুর রহমানের কার্যালয়ের নিজস্ব পোষা দালাল হিসেবে চিহ্নিত। এরা তার বিভিন্ন কাজের ঘুষ ও কমিশনের টাকা ডিজির ক্যান্টনমেন্ট বাসার গলীতে গিয়েও পৌছে দেয়। ডিজি সরাসরি নিজের হাতে সেসব অবৈধ অর্থ গ্রহণ করেন। দালাল মাহাবুব তার পছন্দ মতো যেকোন একাউন্টে টাকা আরটিডিএস করে থাকেন বলে জানা গেছে।

এসব ন্ডিকেটের মাধ্যমে ডিজি হামিদুর রহমান তার দুর্নীতির সকল মিশন কার্যকর করে থাকেন বলে জানা যায়।

অনার্স কল্যাণ বোর্ডের কমিশনবাজ ডিজি হামিদুর রহমানের সমস্ত দুর্নীতি ও অনিয়মের প্রাতিষ্ঠানিক সঙ্গী হিসেবে নিজের ব্যক্তিগত সহকারী মোঃ মামুন শিকদার সকলের কাছে ওপেন সিক্রেট। মূলত মামুনের হাত ধরেই তিনি সমস্ত দুর্নীতি ও অনিয়মের কমিশন গ্রহণ করেন বলে অনুসন্ধানে জানা যায়।

সরকারি টাকায় ব্যাংকের কমিশন সহ বিভিন্ন দুর্নীতি ও নিয়মের বিষয়ে ডিজি হামিদুর রহমানের বক্তব্য জানতে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি। পরবর্তীতে মেসেজের মাধ্যমে বক্তব্য জানার চেষ্টা করা হয় কিন্তু তিনি কোন প্রকার প্রতিক্রিয়া জানাননি।