ঢাকা ১০:৪৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩০ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo যুগপৎ আন্দোলনে থাকা সকল দলকে নিয়ে বিএনপির যৌথসভা Logo ১০ হাজার নেতাকর্মী নিয়ে বরিশাল-৩ আসনে নৌকার প্রার্থী স্বপনের মনোনয়নপত্র দাখিল Logo রাজপথ বিএনপির দখলে না থাকলেও বিটিভি  বিএনপি জামায়াতের দখলে! Logo দেশের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রায় বেস্ট হোল্ডিং Logo অগ্রণী ব্যাংকের ডিজিএম সৈয়দ সালমা উসমানের বেপরোয়া দুর্নীতি! Logo বরিশালের বাকেরগঞ্জে পল্লী চিকিৎসকের ঘরে লুটপাট Logo চাকুরীচ্যুত হওয়ার পরেও বহাল পায়রা বন্দর প্রকৌশলী নাছির: গড়েছে অবৈধ সম্পদের পাহাড়!  Logo ফায়ার সার্ভিসের অপারেশন এখন করাপশনের ত্রিমুখী জুটি Logo মনোনয়নপ্রত্যাশী ৩৩৬২ জনের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন শেখ হাসিনা Logo থিয়েটার কুবি’র নেতৃত্বে সুইটি-হান্নান




সিলেটে নগরীতে পানিবন্দি লাখো মানুষ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:২০:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২ ১১৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক | সিলেট শহরে পানিবন্দি লাখো মানুষ বন্যার পানিতে ডুবে গেছে নগরীর বিভিন্ন সড়ক

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এক মাসের মধ্যে ফের বন্যার কবলে পড়েছেন সিলেটের লক্ষাধিক মানুষ। নগরের প্রায় ৫০টি এলাকার বাসা-বাড়ি ও সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর ঘাসিটুলা, কলাপাড়া, শামীমাবাদ, ডহর, তালতলা, কালিঘাট, সোবহানীঘাট, শাহজালাল উপশহর, তেররতন, হবিনন্দি, সাদিপুর, বোরহানবাগ, শিবগঞ্জ এলাকার রাস্তাগুলো পানিতে ডুবে গেছে। বেশ কিছু বাসায় পানি ঢুকে পড়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন অনেক পরিবার।

এদিকে ফের বন্যা দেখা দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়নি। তবে প্রস্তুতি আছে বলে জানিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন। প্রয়োজন দেখা দিলেই সময়মতো খোলা হবে হবে আশ্রয়কেন্দ্র।

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নগরের বেশ কয়েকটি এলাকার রাস্তা-ঘাট, বাসা-বাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আশ্রয়কেন্দ্র খোলাসহ বন্যা পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে নগর ভবনে সভা চলছে। আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে।

তিনি জানান, বন্যা দেখা দেওয়া এলাকাগুলোতে এখনও বিশুদ্ধ পানির সংকট তৈরি হয়নি। এমন পরিস্থিতি হলে সিসিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট কার্যালয় থেকে পাঠানো পানির স্তরসংক্রান্ত তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পৌনে ১টায় সুরমা নদী কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবারের তুলনায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত পানি কমেছে দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় এ পয়েন্টে বিপৎসীমার দশমিক ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদীর সিলেট সদর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার দশমিক ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো।

পানি বাড়ছে কুশিয়ারা নদী ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টেও। বৃহস্পতিবার দুপুর দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার বিকেল ৩টায় কুশিয়ারার এ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

এছাড়া একই সময়ে সিলেটের জৈন্তাপুরে সারি নদী বিপৎসীমার দশমিক ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবারের তুলনায় সারি নদীর এ পয়েন্টে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত পানি কমেছে দশমিক ৫ সেন্টিমিটার।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাইয়িদ চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে জানান, আরও পাঁচদিন সিলেটে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। তাছাড়াও সিলেটের গোয়াইনঘাট, সুনামগঞ্জের ছাতক ও দোয়ারাবাজারের উজানে ভারতে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। যার কারণে পাহাড়ি ঢল নামছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সিলেটে নগরীতে পানিবন্দি লাখো মানুষ

আপডেট সময় : ০৪:২০:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জুন ২০২২

নিজস্ব প্রতিবেদক | সিলেট শহরে পানিবন্দি লাখো মানুষ বন্যার পানিতে ডুবে গেছে নগরীর বিভিন্ন সড়ক

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে এক মাসের মধ্যে ফের বন্যার কবলে পড়েছেন সিলেটের লক্ষাধিক মানুষ। নগরের প্রায় ৫০টি এলাকার বাসা-বাড়ি ও সড়ক বন্যার পানিতে তলিয়ে গেছে। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন এসব এলাকার মানুষ।

সরেজমিনে দেখা যায়, নগরীর ঘাসিটুলা, কলাপাড়া, শামীমাবাদ, ডহর, তালতলা, কালিঘাট, সোবহানীঘাট, শাহজালাল উপশহর, তেররতন, হবিনন্দি, সাদিপুর, বোরহানবাগ, শিবগঞ্জ এলাকার রাস্তাগুলো পানিতে ডুবে গেছে। বেশ কিছু বাসায় পানি ঢুকে পড়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন অনেক পরিবার।

এদিকে ফের বন্যা দেখা দিলেও এখন পর্যন্ত কোনো আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়নি। তবে প্রস্তুতি আছে বলে জানিয়েছে সিলেট সিটি করপোরেশন। প্রয়োজন দেখা দিলেই সময়মতো খোলা হবে হবে আশ্রয়কেন্দ্র।

সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে বলেন, নগরের বেশ কয়েকটি এলাকার রাস্তা-ঘাট, বাসা-বাড়ি ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পানি প্রবেশ করেছে। বিষয়টি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি। আশ্রয়কেন্দ্র খোলাসহ বন্যা পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে নগর ভবনে সভা চলছে। আমাদের সব প্রস্তুতি রয়েছে।

তিনি জানান, বন্যা দেখা দেওয়া এলাকাগুলোতে এখনও বিশুদ্ধ পানির সংকট তৈরি হয়নি। এমন পরিস্থিতি হলে সিসিক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

পানি উন্নয়ন বোর্ড সিলেট কার্যালয় থেকে পাঠানো পানির স্তরসংক্রান্ত তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পৌনে ১টায় সুরমা নদী কানাইঘাট পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার দশমিক ৯৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবারের তুলনায় সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত পানি কমেছে দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার।

বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় এ পয়েন্টে বিপৎসীমার দশমিক ২৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদীর সিলেট সদর পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার দশমিক ৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিলো।

পানি বাড়ছে কুশিয়ারা নদী ফেঞ্চুগঞ্জ পয়েন্টেও। বৃহস্পতিবার দুপুর দশমিক ৩২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবার বিকেল ৩টায় কুশিয়ারার এ পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার দশমিক ১৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

এছাড়া একই সময়ে সিলেটের জৈন্তাপুরে সারি নদী বিপৎসীমার দশমিক ৪৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বুধবারের তুলনায় সারি নদীর এ পয়েন্টে আজ দুপুর ১২টা পর্যন্ত পানি কমেছে দশমিক ৫ সেন্টিমিটার।

সিলেট আবহাওয়া অফিসের জ্যেষ্ঠ আবহাওয়াবিদ সাইয়িদ চৌধুরী সংবাদমাধ্যমকে জানান, আরও পাঁচদিন সিলেটে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। তাছাড়াও সিলেটের গোয়াইনঘাট, সুনামগঞ্জের ছাতক ও দোয়ারাবাজারের উজানে ভারতে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। যার কারণে পাহাড়ি ঢল নামছে।