বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিবেদক:
গত মঙ্গলবার ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনার জের ধরে ছাত্রদলের ডাকা বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘিরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই ছাত্রদলকে প্রতিহত করার জন্য লাঠিসোটা হাতে পুরো ক্যাম্পাসে মহড়া দিতে দেখা গেছে বিভিন্ন হল শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের। এসময় তাদের ছাত্রদলের বিরুদ্ধে উত্তপ্ত স্লোগান দিতেও শোনা যায়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তারা টিএসসি, মধুর ক্যান্টিন, শহীদ মিনার, দোয়েল চত্বর, ভিসি চত্বর ও পলাশীসহ গুরুত্বপূর্ণ সব পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। প্রত্যেক দলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন হল ছাত্রলীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকরা।
এদিকে যেকোনো মূল্যে কর্মসূচি বাস্তবায়নের ঘোষণা দিয়েছে ছাত্রদল। গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টনে তাদের দলীয় কার্যালয়ে একটি সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি ছাত্রদলের সদস্য সচিব আমানউল্লাহ আমান বলেছেন, তারা (ছাত্রলীগ) বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আমরাও ছাত্র। অতএব তাদের ক্যাম্পাসে অবস্থানের যতটুকু অধিকার আমাদেরও ঠিক ততটুকুই অধিকার। তারা (ছাত্রলীগ) যেভাবে আমাদের সাথে আচরণ করবে আমরাও তাদের সাথে ঠিক তেমন আচরণই ফিরিয়ে দেবো।
ছাত্রদলকে ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে না দেওয়ার ব্যাপারে অনঢ় ছাত্রলীগ। দলটির নেতাকর্মীরা ইতোমধ্যেই ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তাদের প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে। তারা ইতোমধ্যেই পুরো ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সব পয়েন্টে অবস্থান নিয়েছে। লাঠিসোটা, স্টাম্প, রডসহ দেশীয় অস্ত্রও তাদের হাতে দেখা মিলছে।
প্রশাসনের মামলায় আসামি ৩ শতাধিক
ছাত্রলীগ ও ছাত্রদলের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনায় অজ্ঞাত ৩০০-৪০০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বুধবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতাউল্লাহ মামলার এজাহার গ্রহণ করে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ৩০ জুন দিন ধার্য করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সিনেটের ৩৫ শিক্ষক প্রতিনিধি নির্বাচন বানচাল করা ও শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নষ্ট করতেই এ হামলা হয়েছে বলে দাবি প্রশাসনের।
মঙ্গলবার শাহবাগ থানায় মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী এস্টেট ম্যানেজার মো. আলী আশ্রাফ। হামলাকারীদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী থাকলে তাদের বিরুদ্ধে একাডেমিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে উল্লেখ করেন প্রক্টর অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী।