ঢাকা ০৩:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo সুনামগঞ্জে প্রবাসী সাংবাদিকের বাড়িতে আওয়ামী সন্ত্রাসীদের হামলা Logo নিজেই মাদকাসক্ত মাদক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা; মাসে মাসোহারা আদায় ৭লাখ! Logo দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্রকারী মাস্টারমাইন্ড সেচ্ছাসেবকলীগ নেত্রী ফাতেমা আক্তার শাপলা Logo ‘শেখ হাসিনা ও জিয়াউলের বিরুদ্ধে ২০০ গুমের প্রমাণ মিলেছে’ Logo দুর্নীতির ছায়ায় রাজউক ইমারত পরিদর্শক মনিরুজ্জামান! Logo নিয়মিত চুমু খেলে মিলবে যে শারীরিক উপকার Logo প্রধান উপদেষ্টা কাতার যাচ্ছেন আজ, সফরসঙ্গী যারা Logo জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র হলেন মুহাম্মদ আবু আবিদ Logo প্রধান উপদেষ্টার দেয়া নির্বাচনী সময়ে সন্তুষ্ট নয় বিএনপি Logo ডেসটিনি প্রতারক রফিকুল আমিনের নতুন রাজনৈতিক দল গঠন




অস্বাস্থ্যকর খাবার ভ্যাট ফাঁকি সহ মানব পাচারের অভিযোগ রেস্তোরাঁ মালিকের বিরুদ্ধে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৫:১৫:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২২ ২৪১ বার পড়া হয়েছে

অপরাধ প্রতিবেদক: গুলশান বনানী রাজধানীর অভিজাত এলাকা, এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে কিছু অসাধু অর্থ লোভী রেস্টুরেন্ট মালিক চক্র, রং বেরঙ্গের ব্যানার সাজিয়ে গর্জে উঠেছেন ব্যাঙ্গের ছাতার মতো শত শত লাইসেন্সবিহীন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিচালিত একাধিক রেস্টুরেন্ট। শালিমার গার্ডেন রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে অনেক আগেই, এই প্রতিষ্ঠানের মালিক মোস্তফা তাজ, হাউজ নং ১৫ রোড নং ১৭ ব্লক ডি, বনানী।অনুসন্ধানে জানা যায় খাদ্য অধিদপ্তরে নীতিমালা পাত্তা না দিয়ে প্রশাসনের চোঁখকে ফাঁকি দিয়ে স্থানীয় প্রশাসন প্রভাবশালীদের নাম ব্যবহার করে এভাবেই দিনের পর দিন তাদের পচা দুর্গন্ধ বাসী খাবার পরিবেশন করে আসছেন ভোজন পিপাসুদের,শুধু তাই নয় খাবারের নির্ধারিত মূল্যের শত করা ১০% সরকারী ট্যাক্স কেটে রাখা হচ্ছে ভোজন পিপাসুদের কাছ থেকে,অথচ এই টেক্সের টাকা সরকারী খাতে কোথায় ও জমা দেওয়ার তথ্য মিলেনি,তথ্য সূত্রে জানা যায় এই রেস্টুরেন্টে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা বিক্রি হচ্ছে,তথ্য সূত্রে প্রতিদিন ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা ভোজন পিপাসুদের সাথে প্রতারণা করে আত্মসাৎ করছে রেষ্টুরেন্টের মালিক মোস্তফা তাজ।

শালিমার গার্ডেন রেস্টুরেন্টের অনিয়ম ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশনের অভিযোগে গত ১৬-১১-২০২১ ইং তারিখ মঙ্গলবার, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে সালিক রুমাইয়া এর নেতৃত্বে সালিমার গার্ডেন, বনানী, ঢাকাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

অভিযানকালে দেখা যায়, বেশ কিছু পণ্যে আমদানিকারকের প্রমাণক নেই, পেস্ট কন্ট্রোল ম্যাকানিজম, প্রিমিসেস লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্স , ট্রেড লাইসেন্স,কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সনদ কিছুই নেই।পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা এবং নিন্দনীয় ও অস্বাস্থ্যকর। এ সকল অপরাধে সালিমার গার্ডেন কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ টাকা) অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। জেনারেল ম্যানেজার তার অপরাধ স্বীকারপূর্বক অর্থদণ্ড দিতে চান ও তাৎক্ষণিক তা আদায় করা হয়।

সালিমার গার্ডেন কর্তৃপক্ষকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মোড়কীকরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ ও বিক্রয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাদ্য সংরক্ষন ও ভোক্তাদের স্বাস্হ্য ঝুঁকি এড়াতে নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেয়া হয় এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা সংবলিত পোস্টার প্রদান করা হয়। সালিমার গার্ডেন কর্তৃপক্ষও নির্দেশনা মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকার করেন।

অভিযানকালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক জনাব মোঃ আব্দুস সালাম মৃধা, বিএফএসএ এর অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফ এবং ব্যাটেলিয়ান আনসার সদস্যবৃন্দের একটি চৌকস টিম উপস্থিত ছিলেন।

এই বিষয়ে মোস্তফা তাজের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি প্রতিবেদকের সাথে চেঁচিয়ে কথা বলেন,এবং তিনি একজন ব্যবসায়ী তিনি ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলবেন কোন সাংবাদিকের সাথে কোন কথা বলতে রাজি নয় তিনি,এই বলে প্রতিবেদকের ফোন কেঁটে দেন।

উল্ল্যেখ্য মোস্তফা তাজ মানব পাচারের সাথে জড়িত থাকার গুঞ্জন উঠেছে,বনানী চেয়ারম্যান বাড়ী এলাকায় ৬০০০ স্কয়ার ফিটের আলীশান অফিস নিয়ে,লাইসেন্স বিহীন রিক্রুটিং এজেন্সির ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন দীর্ঘ এক বছর থেকে,পরবর্তী পর্বে আসছে মোস্তফা তাজের আরো ও ভয়ংকর অনিয়ম ও দূর্নীতির তথ্য।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




অস্বাস্থ্যকর খাবার ভ্যাট ফাঁকি সহ মানব পাচারের অভিযোগ রেস্তোরাঁ মালিকের বিরুদ্ধে

আপডেট সময় : ০৫:১৫:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ জানুয়ারী ২০২২

অপরাধ প্রতিবেদক: গুলশান বনানী রাজধানীর অভিজাত এলাকা, এই সুযোগ কাজে লাগাচ্ছে কিছু অসাধু অর্থ লোভী রেস্টুরেন্ট মালিক চক্র, রং বেরঙ্গের ব্যানার সাজিয়ে গর্জে উঠেছেন ব্যাঙ্গের ছাতার মতো শত শত লাইসেন্সবিহীন অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে পরিচালিত একাধিক রেস্টুরেন্ট। শালিমার গার্ডেন রেস্টুরেন্টের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে অনেক আগেই, এই প্রতিষ্ঠানের মালিক মোস্তফা তাজ, হাউজ নং ১৫ রোড নং ১৭ ব্লক ডি, বনানী।অনুসন্ধানে জানা যায় খাদ্য অধিদপ্তরে নীতিমালা পাত্তা না দিয়ে প্রশাসনের চোঁখকে ফাঁকি দিয়ে স্থানীয় প্রশাসন প্রভাবশালীদের নাম ব্যবহার করে এভাবেই দিনের পর দিন তাদের পচা দুর্গন্ধ বাসী খাবার পরিবেশন করে আসছেন ভোজন পিপাসুদের,শুধু তাই নয় খাবারের নির্ধারিত মূল্যের শত করা ১০% সরকারী ট্যাক্স কেটে রাখা হচ্ছে ভোজন পিপাসুদের কাছ থেকে,অথচ এই টেক্সের টাকা সরকারী খাতে কোথায় ও জমা দেওয়ার তথ্য মিলেনি,তথ্য সূত্রে জানা যায় এই রেস্টুরেন্টে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০ লক্ষ টাকা বিক্রি হচ্ছে,তথ্য সূত্রে প্রতিদিন ৮০ হাজার থেকে ১ লক্ষ টাকা ভোজন পিপাসুদের সাথে প্রতারণা করে আত্মসাৎ করছে রেষ্টুরেন্টের মালিক মোস্তফা তাজ।

শালিমার গার্ডেন রেস্টুরেন্টের অনিয়ম ও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার প্রস্তুত ও পরিবেশনের অভিযোগে গত ১৬-১১-২০২১ ইং তারিখ মঙ্গলবার, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষের বিজ্ঞ এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট উম্মে সালিক রুমাইয়া এর নেতৃত্বে সালিমার গার্ডেন, বনানী, ঢাকাতে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হয়।

অভিযানকালে দেখা যায়, বেশ কিছু পণ্যে আমদানিকারকের প্রমাণক নেই, পেস্ট কন্ট্রোল ম্যাকানিজম, প্রিমিসেস লাইসেন্স, ফায়ার লাইসেন্স , ট্রেড লাইসেন্স,কর্মচারীদের স্বাস্থ্য সনদ কিছুই নেই।পরিবেশ অত্যন্ত নোংরা এবং নিন্দনীয় ও অস্বাস্থ্যকর। এ সকল অপরাধে সালিমার গার্ডেন কর্তৃপক্ষকে নিরাপদ খাদ্য আইন ২০১৩ এর বিধান অনুযায়ী ৪,০০,০০০/- (চার লক্ষ টাকা) অর্থদন্ড প্রদান করা হয়। জেনারেল ম্যানেজার তার অপরাধ স্বীকারপূর্বক অর্থদণ্ড দিতে চান ও তাৎক্ষণিক তা আদায় করা হয়।

সালিমার গার্ডেন কর্তৃপক্ষকে খাদ্যদ্রব্য উৎপাদন, মোড়কীকরণ, সংরক্ষণ, প্রক্রিয়াকরণ, মজুদ ও বিক্রয়ে নিরাপদ খাদ্য আইনের সংশ্লিষ্ট বিধি অনুযায়ী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখা, খাদ্য সংরক্ষন ও ভোক্তাদের স্বাস্হ্য ঝুঁকি এড়াতে নিয়ম মানতে নির্দেশনা দেয়া হয় এবং নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে করণীয় সম্পর্কে দিকনির্দেশনা সংবলিত পোস্টার প্রদান করা হয়। সালিমার গার্ডেন কর্তৃপক্ষও নির্দেশনা মেনে চলবেন বলে অঙ্গীকার করেন।

অভিযানকালে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নিরাপদ খাদ্য পরিদর্শক জনাব মোঃ আব্দুস সালাম মৃধা, বিএফএসএ এর অন্যান্য সাপোর্ট স্টাফ এবং ব্যাটেলিয়ান আনসার সদস্যবৃন্দের একটি চৌকস টিম উপস্থিত ছিলেন।

এই বিষয়ে মোস্তফা তাজের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি প্রতিবেদকের সাথে চেঁচিয়ে কথা বলেন,এবং তিনি একজন ব্যবসায়ী তিনি ব্যবসায়ীদের সাথে কথা বলবেন কোন সাংবাদিকের সাথে কোন কথা বলতে রাজি নয় তিনি,এই বলে প্রতিবেদকের ফোন কেঁটে দেন।

উল্ল্যেখ্য মোস্তফা তাজ মানব পাচারের সাথে জড়িত থাকার গুঞ্জন উঠেছে,বনানী চেয়ারম্যান বাড়ী এলাকায় ৬০০০ স্কয়ার ফিটের আলীশান অফিস নিয়ে,লাইসেন্স বিহীন রিক্রুটিং এজেন্সির ব্যবসা পরিচালনা করে আসছেন দীর্ঘ এক বছর থেকে,পরবর্তী পর্বে আসছে মোস্তফা তাজের আরো ও ভয়ংকর অনিয়ম ও দূর্নীতির তথ্য।