ঢাকা ০৬:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




পরকীয়া করে বিয়ের পর কাজিকে পেটাল ছাত্রলীগ নেতা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২৫:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২১ ১৬১ বার পড়া হয়েছে

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দশমিনায় পরকীয়া করে বিয়ের পর কাজিকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হাসান সেরনিয়াবাতের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের বেতাগী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় কাজিকে স্বজনরা দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। এ ঘটনায় উপজেলায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।

স্থানীয় ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের বেতাগী গ্রামের মো. ফজলুল হক মেলকারের বিবাহিত মেয়ে ফাহমিদা নাসরিন চায়নার সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত পরকীয়া চলে আসছিল হাসানের। এ নিয়ে কয়েক দফা পারিবারিক ও স্থানীয়ভাবে সালিশ মীমাংসার ঘটনা ঘটেছিল।

স্থানীয় মোশারেফ মেলকার, আবু কালাম মেলকার ও ইউপি সদস্য অসীম মেলকার জানান, পরকীয়া থেকে সরে আসতে হাসানকে একাধিকবার বলা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার রাতে ফাহমিদাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। মেয়ের স্বজনরা তাকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে বিয়েতে রাজি হয়। পরে ওই রাতে মেয়ের বাবার ঘরেই বিয়ের আয়োজন করা হয়।

বিয়েতে উভয় পরিবারের উপস্থিতি ও সম্মতিতে ১০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে কাবিন রেজিস্ট্রি করা হয়। পরদিন হাসান সেরনিয়াবাত পরীক্ষা দেওয়ার কথা বলে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে ওই রাতেই ছাত্রলীগের লোকজন নিয়ে কাজি মাওলানা মো. খলিলুর রহমানের বাড়ি গিয়ে কাবিনের কাগজপত্র দাবি করে। কাজি দিতে অস্বীকৃতি জানালে হাসান তার ওপর হামলা চালিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

কাজি মাওলানা মো. খলিলুর রহমান দাবি করেন, তার ওপর হামলা করে ঘর থেকে জমি ক্রয়ের নগদ তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় হাসান। এ ঘটনার পর স্বজনরা ওই কাজিকে উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কাজির পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

অভিযোগের বিষয় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান সেরনিয়াবাতের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয় দশমিনা থানার ওসি মো. মেহেদী হাসান বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা করা হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




পরকীয়া করে বিয়ের পর কাজিকে পেটাল ছাত্রলীগ নেতা

আপডেট সময় : ১০:২৫:২০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২১

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি: পটুয়াখালীর দশমিনায় পরকীয়া করে বিয়ের পর কাজিকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হাসান সেরনিয়াবাতের বিরুদ্ধে।

বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের বেতাগী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। গুরুতর অবস্থায় কাজিকে স্বজনরা দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। এ ঘটনায় উপজেলায় আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে।

স্থানীয় ও বিভিন্ন সূত্রে জানা যায়, বেতাগী সানকিপুর ইউনিয়নের বেতাগী গ্রামের মো. ফজলুল হক মেলকারের বিবাহিত মেয়ে ফাহমিদা নাসরিন চায়নার সঙ্গে দীর্ঘদিন যাবত পরকীয়া চলে আসছিল হাসানের। এ নিয়ে কয়েক দফা পারিবারিক ও স্থানীয়ভাবে সালিশ মীমাংসার ঘটনা ঘটেছিল।

স্থানীয় মোশারেফ মেলকার, আবু কালাম মেলকার ও ইউপি সদস্য অসীম মেলকার জানান, পরকীয়া থেকে সরে আসতে হাসানকে একাধিকবার বলা সত্ত্বেও বৃহস্পতিবার রাতে ফাহমিদাকে নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। মেয়ের স্বজনরা তাকে বিয়ের জন্য চাপ সৃষ্টি করলে বিয়েতে রাজি হয়। পরে ওই রাতে মেয়ের বাবার ঘরেই বিয়ের আয়োজন করা হয়।

বিয়েতে উভয় পরিবারের উপস্থিতি ও সম্মতিতে ১০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে কাবিন রেজিস্ট্রি করা হয়। পরদিন হাসান সেরনিয়াবাত পরীক্ষা দেওয়ার কথা বলে শ্বশুরবাড়ি থেকে বেরিয়ে ওই রাতেই ছাত্রলীগের লোকজন নিয়ে কাজি মাওলানা মো. খলিলুর রহমানের বাড়ি গিয়ে কাবিনের কাগজপত্র দাবি করে। কাজি দিতে অস্বীকৃতি জানালে হাসান তার ওপর হামলা চালিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে।

কাজি মাওলানা মো. খলিলুর রহমান দাবি করেন, তার ওপর হামলা করে ঘর থেকে জমি ক্রয়ের নগদ তিন লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায় হাসান। এ ঘটনার পর স্বজনরা ওই কাজিকে উদ্ধার করে দশমিনা হাসপাতালে ভর্তি করেছেন। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী কাজির পরিবার মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে বলে জানা গেছে।

অভিযোগের বিষয় উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসান সেরনিয়াবাতের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয় দশমিনা থানার ওসি মো. মেহেদী হাসান বলেন, অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা করা হবে।