ঢাকা ০২:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ




তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়ে সানজানা রহমানের “আমরাও মানুষ”

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৪:৫৩:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর ২০২১ ১২৯ বার পড়া হয়েছে

[লেখাটা সেই সব তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়ে – সানজানা রহমানের লেখা কবিতা। যেসব মানুষকে পরিচয় দিতে এই সমাজ লজ্জা পায়।]

 

“আমরাও মানুষ”
-সানজানা রহমানের

আমি কোনো নারী কিংবা কোনো পুরুষ নই
আমি একজন মানুষ।
তবে এই বৈষম্যমূলক সমাজে দাঁড়িয়ে নিজেকে মানুষ বলতে বড্ড ভয় হয়।
কারন এ সমাজের মানুষতো আমাকে, আমাদেরকে মানুষ বলে মনেই করে না।
সমাজের এই বৈষম্যের বেড়াজাল আমাদের আলাদা করে দিয়েছে সমাজের এই মানুষ থেকে।
একঘরে করে দিয়েছে আমাদের
আমাদের মানুষ নামটাও নেই।
এই পৃথিবীর মানুষগুলো শুধু নারী পুরুষকেই মানুষ বলে।
তারাতো আমাদের মানুষের খাতায় রাখেই না।
জন্মের পর মানুষ নামক পরিচয়ের খাতায়ও আমাদের নাম ওঠে না।
এই সমাজের মানুষেরা জন্মের সাথে সাথেই আমাদের আলাদা করে দেয়।
আমাদের জন্মকে তারা অভিশাপ মনে করে।
আমরা নাকি শুধু অমঙ্গল ডেকে আনতে পারি।
আমাদের জন্য কারো কোনো মায়া মমতা থাকেই না।
আমরা তৃতীয় লিঙ্গের, এ কারনেই আমরা পুরোপুরি আলাদা।
আমাদের কোনো জাত নেই,কোনো ধর্ম নেই,
নেই কোনো সম্মান।
আমাদের নামের পাশে বসে না কোনো পদবী।
এ সমাজ আমাদের মানুষ বলে পরিচয় দিতেও লজ্জা পায়।
এ সমাজ আমাদের একটা নাম রেখে দেয়
সে নামেই পরিচিত হই আমরা।
কতো বিতৃষ্ণা সেই নামের প্রতি এই মানুষ নামক নারী পুরুষের।
এ সমাজ আমাদের নাম রেখে দেয় “হিজরা”।
আমরা মানুষ হতে চাই
মা-বাবার আলো ছায়ায় ভালোবাসায়
বেড়ে উঠতে চাই……

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়ে সানজানা রহমানের “আমরাও মানুষ”

আপডেট সময় : ০৪:৫৩:১১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ অক্টোবর ২০২১

[লেখাটা সেই সব তৃতীয় লিঙ্গের মানুষদের নিয়ে – সানজানা রহমানের লেখা কবিতা। যেসব মানুষকে পরিচয় দিতে এই সমাজ লজ্জা পায়।]

 

“আমরাও মানুষ”
-সানজানা রহমানের

আমি কোনো নারী কিংবা কোনো পুরুষ নই
আমি একজন মানুষ।
তবে এই বৈষম্যমূলক সমাজে দাঁড়িয়ে নিজেকে মানুষ বলতে বড্ড ভয় হয়।
কারন এ সমাজের মানুষতো আমাকে, আমাদেরকে মানুষ বলে মনেই করে না।
সমাজের এই বৈষম্যের বেড়াজাল আমাদের আলাদা করে দিয়েছে সমাজের এই মানুষ থেকে।
একঘরে করে দিয়েছে আমাদের
আমাদের মানুষ নামটাও নেই।
এই পৃথিবীর মানুষগুলো শুধু নারী পুরুষকেই মানুষ বলে।
তারাতো আমাদের মানুষের খাতায় রাখেই না।
জন্মের পর মানুষ নামক পরিচয়ের খাতায়ও আমাদের নাম ওঠে না।
এই সমাজের মানুষেরা জন্মের সাথে সাথেই আমাদের আলাদা করে দেয়।
আমাদের জন্মকে তারা অভিশাপ মনে করে।
আমরা নাকি শুধু অমঙ্গল ডেকে আনতে পারি।
আমাদের জন্য কারো কোনো মায়া মমতা থাকেই না।
আমরা তৃতীয় লিঙ্গের, এ কারনেই আমরা পুরোপুরি আলাদা।
আমাদের কোনো জাত নেই,কোনো ধর্ম নেই,
নেই কোনো সম্মান।
আমাদের নামের পাশে বসে না কোনো পদবী।
এ সমাজ আমাদের মানুষ বলে পরিচয় দিতেও লজ্জা পায়।
এ সমাজ আমাদের একটা নাম রেখে দেয়
সে নামেই পরিচিত হই আমরা।
কতো বিতৃষ্ণা সেই নামের প্রতি এই মানুষ নামক নারী পুরুষের।
এ সমাজ আমাদের নাম রেখে দেয় “হিজরা”।
আমরা মানুষ হতে চাই
মা-বাবার আলো ছায়ায় ভালোবাসায়
বেড়ে উঠতে চাই……