গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে ছবি তুলে ফাঁদ, আনোয়ারের খপ্পরে পড়ে নিঃস্ব অসংখ্য মানুষ!
- আপডেট সময় : ০৮:০১:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২১১ বার পড়া হয়েছে
স্টাফ রিপোর্টার॥ তার প্রধান অস্ত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। নিরীহ মানুষকে কাবু করার জন্য সামাজিক মাধ্যমে করতেন নানা ছলচাতুরি। রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে তোলা ছবি ব্যবহার করে পেতেছিলেন প্রতারণার অভিনব ফাঁদ। আনোয়ার শরীফ নামের এই প্রতারকের ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব বরিশাল সহ রাজধানীর গুলশানের হাজারো মানুষ।
জানাযায় একের পর এক উঠে আসছে তার নানা অপকর্মের গল্প আর অভিযোগ। ভুক্তভোগীরা মুখ খুলতে শুরু করেছেন। এতেই জানা যায়, আনোয়ার শরীফ উত্থান আর অত্যাচারের গল্প। সে নিজেকে গুলশান থানা আওয়ামীলীগের নেতা পরিচয় এবং ক্ষমাশীন দলের নেতাদের সাথে ছবি তুলে তা সামাজিক মাধ্যমে পোষ্টকরে দলের নেতাদের আস্থবাজন বলে নিজেকে পরিচয় করাচ্ছেন তার পিরচিত মহলে আসলে সে গুলশান থানা আ্ওয়ামীলীগের কিছু নয়। অভিযোগ রয়েছে সে এই নেতাদের সাথে সেলফিকি পুজি করে ইনডেক্স নামক একটি কথিত হারবাল ঔষুদ কোম্পানী খোলে পতারনার দোকান খোলেছে যার কোন অনুমোদন নেই।
গণমাধ্যমে রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সাথে তোলা ছবি ফেসবুকে প্রচারই তার পেশা। আনোয়ার শরীফ ওরফে হ্রদয়কে বরিশালের সবাই চেনে ক্ষমতাসীন দলের নেত্রী হিসেবে; আবার কারও কাছে তিনি কণ্ঠশিল্পীও। এদিকে সে আবার নিজেকে হোমিও মেডিকেল কলেজের নেতাও পরিচয় দিয়ে থাকে আসলে তা সবি ভূয়া।
রাজনৈতিক ব্যক্তিদের সাথে ঘনিষ্ঠতা দাবি করে বরিশাল ও গুলশান এলাকায় জমিদখল, অর্থ আত্মসাৎসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার প্রমাণ মিলেছে তার বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা বলেন, জোরপূর্বক তাদের জমিদখল থেকে শুরু করে নানা রকমের অপরাধ করেছে আনোয়ার শরীফ। ভুয়া মামলায় হয়রানিও করেছেন অনেককে। আবার কারো কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলাও করেছেন আনোয়ার শরীফ।
এবিষয়ে তার কাছে জানতে চাইলে তা মিথ্যা বলে দাবি করেন বলেন, তার নামে কোনো অভিযোগ নেই শত্রুরা এসব করছে।
অনেক ভুক্তভোগি জানান, তার অপরাধের খোজ করছে একটি গোয়েন্ধা সংস্থা। সে কথিত হারবাল কোম্পানীর নামে মানুষের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে এসব সহ তার সহযোগীদের খোঁজে নেমেছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।