বিষয়টি অতীব জরুরি, ভাবতে হবে এখনই
- আপডেট সময় : ১১:৩৫:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ১ সেপ্টেম্বর ২০২১ ২৯৫ বার পড়া হয়েছে
সাইদুর রহমান রিমন:
১৯৯৪ সালের আনসার বিদ্রোহ এবং ২০০৯ সালের বিডিআর (তৎকালীন) বিদ্রোহের ঘটনায় জেলবন্দী জওয়ানদের কারা মেয়াদ শেষ, এরইমধ্যে অনেকে মুক্তি পেয়েছেন। দুটি বিদ্রোহের ঘটনাতেই আটকে পড়া জওয়ানরা সবাই কিন্তু প্রশিক্ষিত। প্রায় পাশাপাশি সময়ে কয়েক হাজার প্রশিক্ষিত জওয়ান জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ী ফিরে কী দেখতে পাবেন? দেখতে পাবেন পরিবার ধ্বংস হয়ে গেছে, কারো কারো স্ত্রী একতরফা তালাক দিয়েই নতুন স্বামীকে নিয়ে আলাদা সংসার গড়ে তুলেছেন, সন্তানদের কারো ঠাঁই হয়েছে এতিমখানায়, কেউবা পড়ালেখার পাঠ চুকিয়ে গ্যারেজ কর্মচারী হিসেবে কঠোর পরিশ্রমে জীবন চালাচ্ছে। এসব দৃশ্য দেখে সদ্য জেল ফেরত একজন বিদ্রোহী সৈনিকের মানসিক অবস্থা কেমন হতে পারে? বিদ্রোহী জওয়ান হিসেবে তার সামাজিক মর্যাদাতো অনেক আগেই শেষ। শরীরচর্চা ও অস্ত্র প্রশিক্ষণ থেকে শুরু করে সব ধরনের কলা কৌশলই কিন্তু তাদের রপ্ত রয়েছে। অথচ একযোগে মুক্তি পাওয়া এসব জওয়ানদের পূণর্বাসনকল্পে সরকারের কোনো উদ্যোগ নেই। এ নিয়ে চিন্তা ভাবনা করারও হয়তো সময় নেই স্বরাষ্ট্র মন্ত্রনালয়ের। এ অবস্থায় সংঘবদ্ধ অপরাধচক্র গড়ে ওঠার আশঙ্কা থাকতেই পারে….।
এদিকে পুলিশ বাহিনী থেকে মাসের পর মাস সাসপেন্ড হয়ে থাকা কনস্টেবল থেকে সাব ইন্সপেক্টর পর্যন্ত পদমর্যাদার সদস্যরা কে কোথায় কী করছে সে ব্যাপারে যথাযথ মনিটরিং করা জরুরি হয়ে পড়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে সাসপেন্ডকৃত পুলিশ সদস্যদের দ্বারা খুন, খারাবি, মাদক বাণিজ্য থেকে শুরু করে মারাত্মক সব অপরাধ অপকর্ম সংঘটিত হওয়ার নজির রয়েছে। দীর্ঘসময় ধরে সাসপেন্ড থাকা পুলিশ সদস্যদের মধ্যে চাকরি ফিরে পাওয়া নিয়ে চরম হতাশা ও অনিশ্চিত জীবন নিয়ে সীমাহীন দুঃশ্চিন্তা থাকে। একপর্যায়ে তাদের অনেকেই নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং যুক্ত হয় অপরাধ অপকর্মে। ভ‚য়া পুলিশ, ভ‚য়া ডিবির টিম সেজে ভয়ঙ্কর যেসব অপরাধ সংঘটন হয় তার নেপথ্যেও মূল ভ‚মিকায় থাকে সাসপেন্ডকৃত পুলিশ সদস্যরা। তিনটি বিষয়েই বিশেষ মনিটরিং সেল গঠন করা জরুরি বলেও মনে করছেন কেউ কেউ।