ঢাকা ০৭:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo প্রতিশোধের আগুন পুষে- কবি আকাশমণি Logo প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ ও প্রতিবেদকের বক্তব্য: Logo বিএনপি ছুট আলোচিত নেতা শাহজাহান ওমর গ্রেপ্তার Logo কয়েক লাখ টাকার প্রতারণা করে পলাতক ময়মনসিংহ’ সাইফুল ও আসাদ: থানায় মামলা দায়ের Logo মা-মেয়ের অপরাধের সাম্রাজ্য: বাড্ডা সাঁতারকূল এলাকায় এই বাড়িতেই ছিল আওয়ামী ক্যাডারদের আস্তানা Logo কামাল পলকের মাসিপিসি ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা সালেহ উদ্দিন Logo আনিসুল হক ও জ্যাকবের রিমান্ড মঞ্জুর  Logo ঢাকা ও সিটি কলেজ শিক্ষার্থীদের সংঘর্ষে সায়েন্সল্যাব রণক্ষেত্র Logo দীর্ঘ ১৫ বছর পর সেনাকুঞ্জে যাচ্ছেন খালেদা জিয়া Logo ব্যাগ ভর্তি ঘুষের টাকা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসায় পৌঁছে দিতেন ফায়ার কর্মকর্তা জসিম  




তালেবানের সঙ্গে তুমুল লড়াই, তিন জেলা পুনরুদ্ধারের দাবি বিরোধী জোটের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৪৩:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১ ১৯৬ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক:

আফগানিস্তানের বাগলান প্রদেশে তালেবান যোদ্ধাদের ওপর প্রত্যাঘাত শুরু করেছে বিরোধী জোট। শুক্রবার উত্তর-মধ্য আফগানিস্তানের ওই প্রদেশের তিনটি জেলা তালেবানের দখলমুক্ত করেছে প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ’র অনুগত বাহিনী। খবর ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তীব্র লড়াইয়ের পর শুক্রবার পানশির লাগোয়া বাগলান প্রদেশের বানু, পুল-ই-হিসার এবং দে-সালাহ জেলা পুনরুদ্ধার করেছে বিরোধী জোট।

সংঘর্ষে নিহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন তালেবান যোদ্ধা। আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েক জন। সালেহ অনুগত যোদ্ধারা রাজধানী পুল-ই-খুমরির অদূরে পৌঁছে গিয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
কাবুলের পতনের পরেও সালেহ জানিয়েছিলেন, তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। বুধবার মধ্য-উত্তরাংশের পারওয়ান প্রদেশের রাজধানী চারিকার-সহ বেশ কিছু এলাকা ছিনিয়ে নেয় তালেবান বিরোধী বাহিনী। বাগলান প্রদেশের তালেবান বিরোধী বাহিনীর কমান্ডার আব্দুল হামিদ শনিবার বলেছেন। “শিগগিরই উত্তর আফগানিস্তানের আরও কিছু এলাকার দখলে নেব আমরা। ”

ইতিমধ্যেই সালেহর সঙ্গে পানশির প্রদেশের প্রভাবশালী তাজিক নেতা আহমেদ মাসুদ হাত মিলিয়েছেন।

পানশির এলাকার মাসুদের অনুগত যোদ্ধার সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। আর এক প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা উত্তর-পশ্চিম আফগানিস্তানের ‘যুদ্ধপতি’ (ওয়ারলর্ড) আব্দুল রশিদ দোস্তমও রয়েছেন এই জোটে। ওই উজবেক নেতার বড় ছেলে ইয়ার মুহাম্মদ দোস্তাম প্রায় ৮ হাজার অনুগত নিয়ে তালেবান বিরোধী লড়াইয়ে সামিল হয়েছেন বলে জানা গেছে।
পারওয়ান এবং বাগলান প্রদেশ দখলে এলে উত্তর আফগানিস্তানের বৃহত্তম শহর মাজার-ই-শরিফে অবস্থানরত তালেবান বাহিনীর সঙ্গে রাজধানী কাবুলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে বলে সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




তালেবানের সঙ্গে তুমুল লড়াই, তিন জেলা পুনরুদ্ধারের দাবি বিরোধী জোটের

আপডেট সময় : ০১:৪৩:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ অগাস্ট ২০২১

অনলাইন ডেস্ক:

আফগানিস্তানের বাগলান প্রদেশে তালেবান যোদ্ধাদের ওপর প্রত্যাঘাত শুরু করেছে বিরোধী জোট। শুক্রবার উত্তর-মধ্য আফগানিস্তানের ওই প্রদেশের তিনটি জেলা তালেবানের দখলমুক্ত করেছে প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট আমরুল্লাহ সালেহ’র অনুগত বাহিনী। খবর ভয়েস অব আমেরিকার এক প্রতিবেদনে এমন দাবি করা হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তীব্র লড়াইয়ের পর শুক্রবার পানশির লাগোয়া বাগলান প্রদেশের বানু, পুল-ই-হিসার এবং দে-সালাহ জেলা পুনরুদ্ধার করেছে বিরোধী জোট।

সংঘর্ষে নিহত হয়েছে অন্তত ১৫ জন তালেবান যোদ্ধা। আহত হয়েছে আরও বেশ কয়েক জন। সালেহ অনুগত যোদ্ধারা রাজধানী পুল-ই-খুমরির অদূরে পৌঁছে গিয়েছে বলে ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে।
কাবুলের পতনের পরেও সালেহ জানিয়েছিলেন, তালেবানের বিরুদ্ধে লড়াই চলবে। বুধবার মধ্য-উত্তরাংশের পারওয়ান প্রদেশের রাজধানী চারিকার-সহ বেশ কিছু এলাকা ছিনিয়ে নেয় তালেবান বিরোধী বাহিনী। বাগলান প্রদেশের তালেবান বিরোধী বাহিনীর কমান্ডার আব্দুল হামিদ শনিবার বলেছেন। “শিগগিরই উত্তর আফগানিস্তানের আরও কিছু এলাকার দখলে নেব আমরা। ”

ইতিমধ্যেই সালেহর সঙ্গে পানশির প্রদেশের প্রভাবশালী তাজিক নেতা আহমেদ মাসুদ হাত মিলিয়েছেন।

পানশির এলাকার মাসুদের অনুগত যোদ্ধার সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার। আর এক প্রাক্তন ভাইস প্রেসিডেন্ট তথা উত্তর-পশ্চিম আফগানিস্তানের ‘যুদ্ধপতি’ (ওয়ারলর্ড) আব্দুল রশিদ দোস্তমও রয়েছেন এই জোটে। ওই উজবেক নেতার বড় ছেলে ইয়ার মুহাম্মদ দোস্তাম প্রায় ৮ হাজার অনুগত নিয়ে তালেবান বিরোধী লড়াইয়ে সামিল হয়েছেন বলে জানা গেছে।
পারওয়ান এবং বাগলান প্রদেশ দখলে এলে উত্তর আফগানিস্তানের বৃহত্তম শহর মাজার-ই-শরিফে অবস্থানরত তালেবান বাহিনীর সঙ্গে রাজধানী কাবুলের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়তে পারে বলে সামরিক পর্যবেক্ষকদের একাংশ মনে করছেন।