ধর্ষকের বাড়ি পুড়িয়ে দিলো উত্তেজিত জনতা

- আপডেট সময় : ০৩:০৩:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৭ মার্চ ২০১৯ ১৫২ বার পড়া হয়েছে

কুমিল্লা প্রতিনিধি| কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে তেঁতুলের প্রলোভন দেখিয়ে তাওহীদা ইসলাম ইলমা নামের নয় বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় উত্তেজিত জনতা ধর্ষকের বাড়িঘর আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দিয়েছে। উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের গজারিয়া গ্রামে শনিবার এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ধর্ষক বাপ্পিসহ পাঁচজনকে আটক করেছে।
নিহতের মা জানান, ইলমাকে শুক্রবার বিকেলে মাঈন উদ্দিন বাপ্পি (২০) ও মিজানুর রহমান (১৯) তেঁতুলের প্রলোভন দেখিয়ে বাপ্পিদের ঘরে ডেকে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে ধর্ষণের পর হত্যা করে প্রথমে লাশ বাপ্পির ঘরের সিলিংয়ের উপর লুকিয়ে রাখে। পরে রাতে বাড়ির পাশের মরা ডাকাতিয়া নদীতে লাশটি কাঁথা মুড়িয়ে পানির নিচে ডুবিয়ে রাখে।
এদিকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত ইলমাকে খুঁজে না পেয়ে তার পরিবারের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হয়।
বাপ্পি স্থানীয়দের ঘটনা বুঝতে না দিতে মাইকিংয়ের অটোরিকশা চালায়। কিন্তু বাপ্পির গতিবিধি সন্দেহজনক হওয়ায় একপর্যায়ে শনিবার সকালে এলাকাবাসী তাকে আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদ করে। এতে বাপ্পি সব স্বীকার করে।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার খবর পেয়ে কয়েক শত মানুষ জড়ো হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত জনতা বাপ্পিদের দুটি ঘর, একটি খড়ের গাদা ও তার সহযোগী মিজানের দুটি ঘর ভাংচুর করে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল মাহফুজ জানান, ঘটনার মূল আসামি বাপ্পিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আরও চারজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।