কৃষকলীগ নেতা নাসির গং এর ভয়ংকর সন্ত্রাসের সম্রাজ্য!
- আপডেট সময় : ০৪:৩৪:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১০ অগাস্ট ২০২১ ১৬৭ বার পড়া হয়েছে
রকি পাটওয়ারীঃ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে অনেক নেতা কর্মী অবৈধ সম্পদ অর্জনের মাধ্যমে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে, দখল বানিজ্য, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, তদবীর বানিজ্য উল্লেখ যোগ্য। তুরাগ থানার আওতাধীন ৫৪ নাম্বার ওয়ার্ড কৃষক লীগের সভাপতি নাসির উদ্দিন লোক দেখানো আওয়ামীলীগ করলে ও উদ্দেশ্য দখল ও তদবির বানিজ্য করে অর্থ কামানো, তুরাগ নদীর তীরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের যায়গা দখল করে অবৈধ ট্রাক পার্কিং নির্মাণ করে প্রতি বছর ১৫ থেকে ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা আদায় করেন, শুধু তাই নয় হাইওয়ে রোডে পানি উন্নয়ন বোর্ডের যায়গায় অবৈধ ফিলিং স্টেশন নির্মাণের জন্য মোটা অংকের টাকা এ্যাডভান্স নিয়ে প্রতি মাসে ১লক্ষ২০ হাজার টাকা ভাড়া আদায় করেন। স্থানীয়দের অভিযোগ নাসির উদ্দিন থানায় বিভিন্ন তদবির বানিজ্য করে থাকেন।
দাহ্য পদার্থ গ্যাস উৎপাদন বিক্রি ও মজুদকরনে দেশে সুনির্দিষ্ট আইন ও বিধিনিষেধ থাকলে ও কোন আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে স্থানীয় প্রশাসন কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে রাজধানীর তুরাগে পানি উন্নয়ন বোর্ডের যায়গা দখল করে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ করে ঝুঁকিপূর্ণ ভাবে দেদারছে চলছে অবৈধ গ্যাস বিক্রি,এতে পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি দুর্ঘটনার শস্কা বিরাজ করলে ও স্থানীয় প্রশাসন নিরব ভূমিকায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।অভিযোগ রয়েছে সরকারী নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে ইসলাম ব্রাদার্স এলপিজি ফিলিং স্টেশন নামক একটি প্রতিষ্ঠান তুরাগ সড়কের প্রত্যাশা এলাকার সড়কের পাশে সরকারী যায়গায় অবৈধ ভাবে সিএনজি ফিলিং স্টেশন বসিয়ে গ্যাস বিক্রি করে চলছে।স্থানীয়দের অভিযোগ চলতি বছরের মার্চ থেকে ফিলিং স্টেশনের কোন অনুমোদন বা বৈধ কাগজপএ ছাড়া ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় গ্যাস বিক্রি-তে প্রশাসন নির্বিকার ভূমিকা পালন করছে এতে ক্ষোভ প্রকাশ করছে স্থানীয়রা।রাজধানীতে বিভিন্ন এলাকায় চলছে গ্যাসের ছোট খাট অবৈধ ব্যবসা,এরই মধ্যে রাজধানীর তুরাগে ইসলাম ব্রাদার্স এলপিজি ফিলিং স্টেশন নামক বৃহৎ এই অবৈধ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে অনুমোদনহীন ফিলিং স্টেশন গড়ে তুলে খোলা বাজারে এলপিজি গ্যাস বিক্রির অভিযোগ,তুরাগে সড়কের পাশে গড়ে উঠা অবৈধ স্টেশন থেকে রাত দিন গ্যাস বিক্রি করা হচ্ছে,শুধু তাই নয় এখানে লিটার প্রতি বাড়তি টাকা নেওয়ার কারনে ক্ষুব্ধ ক্রেতারা।
যে কোন সময় বড় ধরনের বিস্ফোরণে ঘটতে পারে হতাহতের ঘটনা স্টেশনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে স্থানীয়দের অভিযোগ।পরিবেশ দূষণ,ও জনস্বার্থ বিঘ্নিত হওয়াসহ বড় দুর্ঘটনার আশংস্কা করে যাচ্ছে স্থানীয় বাসিন্দারা।
দাপুটে নাসির গং এর কাছে হেরে যাচ্ছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তারা:
তুরাগ থানায় লিখিত অভিযোগ করে ও কোন লাভ হয়নি পানি উন্নয়ন বোর্ডের,তুরাগ থানা পুলিশ কি ভূমিকা রাখলেন সে বিষয়ে পরবর্তী পর্বে অনুসন্ধান করে জানতে পারবো,স্থানীয়দের ধারণা তুরাগ থানা পুলিশ ও অসহায় দাপুটে নাসির গং এর কাছে।
বিআইডব্লিউটিএ যুগ্ম পরিচালক মো. গুলজার আলী বলেন, দখলদাররা আদালত থেকে নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আসলে আমাদের কিছু করার থাকে না।
এই বিষয়ে ইসলাম ব্রাদার্স এলপিজি স্টেশনের মালিক শেখ মনিরুল ইসলামের কাছে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি এই জায়গাটি ভাড়া নিয়েছি স্থানীয় কৃষকলীগ নেতা নাসিরের কাছ থেকে ভাড়া বাবদ প্রতি মাসে আমি ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করি,তিনি আরো বলেন এই যায়গাটি ব্যক্তি মালিকানা আমরা কিছু জায়গা পানি উন্নয়ন বোর্ডের ব্যবহার করি,প্রতিষ্ঠানের বৈধতা সম্পর্কে জানতে চাইলে মনিরুল ইসলাম বলেন আমার লাইসেন্স আছে প্রয়োজনে আপনি এসে কাগজ পত্র দেখে যান,এক পর্যায়ে তিনি প্রতিবেদকের সাথে চেঁচিয়ে কথা বলেন আপনি জানেন আমার হাত কত লাম্বা,আমি আপনার কি করতে পারি,আমি খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আমার বাবা সাবেক সংসদ সদস্য,আমি আপনার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করবো আপনি আমাকে বিরক্ত করছেন।
মুঠোয় ফোনে কৃষকলীগ নেতা নাসির উদ্দিনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কিছু যায়গা ব্যবহার করছি,আমরা লীজের জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাছে আবেদন করেছি,পানি উন্নয়ন বোর্ড অনুমতি না দিলে ও ক্ষমতার দাপুট দেখিয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সম্পওি দখল করে অবৈধ ফিলিং স্টেশন ও ট্রাক পার্কিং নির্মাণ করে প্রতি মাসে কয়েক লক্ষ টাকা চাঁদা আদায়ের অভিযোগ রয়েছে চাঁদাবাজ কৃষকলীগ নেতা নাসির উদ্দিনের বিরুদ্ধে। তুরাগে কৃষকলীগ নেতা নাসির উদ্দিন গং এর যে কোন অনিয়ম ও দূর্নীতির তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার অনুরোধ রইলো।