আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে দিনমজুরের গাছ উপড়ে জমি দখলের নেতৃত্বে ভোলার মেয়র!
- আপডেট সময় : ০৫:০৬:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ জুন ২০২১ ১২৬ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিনিধি: ভোলায় আদালতের নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা না করে আদালতকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সাবেক প্রকৌশলীকে সুবিধা দিতে এক অসহায় দিনমজুরের ভোগ দখলীয় জমির গাছ কর্তন করে তুলে নিয়ে জমি দখলের নেতৃত্ব দিয়েছেন পৌরসভার মেয়র মনিরুজ্জামান। মংগলবার( ২৯ জুন) দুপুরে ভোলা সদরের পৌর এলাকার ৮নং ওয়ার্ডের পানির কল নামক এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
ওই জমির মালিক দাবিদার জানে আলম সুজন অভিযোগ করেন, সেখানে তার পৈতৃক সুত্রে পাওয়া কাঠালী মৌজার ২৫৪ খতিয়ানভূক্ত ৬৯ শতাংশ জমি তিনি কয়েকযুগ ধরে ভোগদখলে থেকে চাষাবাদ করে আসছেন। কিন্তু সম্প্রতি ওই জমির মালিক দাবী করে স্হানীয় বাসিন্দা সাবেক ভূমি তহশিলদার একেএম মাইনউদ্দিন মিয়ার পূ্ত্র নূর আল আজাদ রাসেল গংরা ভোলার সহকারী জজ আদালতে একটি দেওয়ানী মোকদ্দমা দায়ের করেন। যার নং০২/১৮ । ওই মামলায় বিজ্ঞ আদালত বিবদমান জমির উপর স্থিতিবস্থা বজায় রাখার অস্থায়ী আদেশ প্রদান করেন। জমির প্রকৃত মালিক দাবীদার জানে আলম সূজন গণমাধ্যমকে জানান,তার ভোগদখলীয় জমিতে লক্ষাধিক টাকার বিভিন্ন প্রজাতির গাছগাছালি ছিল। মঙ্গলবার পৌর মেয়র মনিরুজ্জামান’র নেতৃত্বে পৌরসভার স্যানেটারী ইন্সপেক্টর মোঃ ফারুকসহ একদল পরিচ্ছন্ন কর্মী পৌরসভার ময়লা বহনকারী পিক-আপে করে জমির সৃজিত গাছগুলো কেটে তুলে নিয়ে যায়। এসময় চাঞ্চল্যকর ইব্রাহীম হত্যা মামলার অন্যতম আসামী কালা মুন্নার নেতৃত্বে অপর একদল ভাড়াটিয়া অস্ত্রধারী গুন্ডা বাহিনী পুরো এলাকায় মহড়া চালায়। এতে স্থানীয় বাসিন্দাদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পরে। এলাকাবাসী জানান,জমির এক পক্ষের মালিক দাবীদার নুর আল আজাদ রাসেল ভোলা পৌরসভার প্রকৌশলী নিযুক্ত ছিলেন। দূর্ণীতি আর অনিয়মের অভিযোগে সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষ তাকে স্বরুপকাঠী পৌরসভায় শাস্তিমূলক বদলী করেন। আর ওই প্রকৌশলীকে সুবিধা দিতে মেয়র মনিরুজ্জামান আদালতের নিষেধাজ্ঞার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলী দেখিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে বিবদমান জমির দাবীদার গাছগাছালী কেটে তুলে নিয়ে যান বলেও অভিযোগ করেন জানে আলম সূজন।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত মেয়র মনিরুজ্জামান’র সাথে মুঠোফোনে জানতে চাইলে তিনি সকালের সংবাদকে বলেন, কোনো মামলা নেই এবিষয়ে বেশ কয়েকবার পৌরসভায় সালিশ দরবার করা হয়েছে। কিন্তু এই বিষয়ে তার সম্পৃক্ততার কথা জানতে চাইলে তিনি মোবাইল ফোনে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানান এবং বলেন, আমি এখন ব্যস্ত আছি পরে হোয়াটসঅ্যাপে ফোন দিবেন।
এ বিষয়ে ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এনায়েত হোসেন জানান, এমন খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উভয়পক্ষকে সংযত করি, যেহেতু এ বিষয়ে আদালতে মামলা চলমান তাই যা হবার আদালতের মাধ্যমে হবে। তবে আইনশৃঙ্খলার বিষয়ে পুলিশ সজাগ রয়েছেন বলেও জানান ওসি এনায়েত।
বর্তমানে দখল চেস্টার এমন ঘটনায় ওই এলাকায় এখন দূ’পক্ষই মূখোমুখি অবস্থান করছে। যদি সেখানে মেয়রের এমন উস্কানীমূলক কর্মকাণ্ডের ফলে অনাকাঙ্ক্ষিত কোন ঘটনা ঘটে তাহলে তিনি কি এর কোন দায়ভার বহন করবেন? এমন প্রশ্ন এখন এলাকার সকালের মূখেমুখে।