ঢাকা ০৭:২৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুলাই ২০২৫, ২৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo রূপালী ব্যাংকের এমডি ছিলেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের প্রভাবশালী নেতা! Logo “আওয়ামী সুবিধাভোগী ৪ কারা কর্মকর্তার কাছে জিম্মি কারা অধিদপ্তর!” Logo পাইকগাছা-কয়রার মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে মাঠে আমিরুল ইসলাম কাগজী Logo এয়ারপোর্ট এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা সালাউদ্দিন পিয়ারী ইয়াসিন ধরাছোঁয়ার বাইরে! Logo পিরোজপুর-২ আসনে জনগণের জন্য কাজ করতে চান ফকরুল আলম: নির্বাচনের প্রস্তুতি তুঙ্গে Logo পাওনা টাকা চাওয়ায় সাংবাদিকের উপর হামলা: নেপথ্যে কসাই পারভেজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ৩৬ জুলাই: যেভাবে প্রতীকী ক্যালেন্ডার হয়ে উঠল জাতীয় প্রতিরোধের হাতিয়ার Logo বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলা Logo গণপূর্ত প্রকৌশলী জহির রায়হানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান Logo “শতকোটি টাকার দুর্নীতির সাম্রাজ্য: তাপসের ঘনিষ্ট ডিএসসিসির শাহজাহান আলীর ফাঁদে ঢাকা দক্ষিণ সিটি”

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের মহা ক্ষমতাধর টেকনিশিয়ান রোকনুজ্জামান!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:০০:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১ ২০৯ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: কখনো চিকিৎসা করিয়ে দেওয়ার নামে অগ্রিম টাকা নেয়া, কখনো বা হার্ট ফাউন্ডেশনে চাকরি দেয়ার নামে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে ভুক্তভোগীদের লাঞ্ছিত হওয়া ও  ইচ্ছা খুশিমতো কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়ার মত গুরুতর অভিযোগ রয়েছে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের হার্ড লং টেকনিশিয়ান রোকনুজ্জামান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিফ হার্ট লং টেকনিশিয়ান রোকনুজ্জামান সিদ্দিকী ও তার সহদর ভাই সার্জিক্যাল টেকনিশিয়ান রফিকুল ইসলামের লাগামহীন আচরণ ও দুর্নীতি যেনো কর্তৃপক্ষের চেয়েও শক্তিশালী। জনসাধারণের কাছে রোকনউদ্দিন নিজেকে কখনো ডাক্তার আবার কখনো ইস্টিটিউটের ক্ষমতাধর কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন চাকরি প্রত্যাশী ব্যক্তিদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে প্রতারণা করার পাশাপাশি হাসপাতালের ওষুধ ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কর্তৃপক্ষের নজরে এড়িয়ে চুরি করে বিক্রির মাধ্যমে বিপুল অবৈধ টাকার মালিক হয়েছেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।

এছাড়াও রকিবুল ইসলাম ও রোকনুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রোগীদের কাছ থেকে সুলভ মূল্যে চিকিৎসা পাইয়ে দেয়ার কথা বলেও অগ্রিম টাকা নেওয়ার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।
এসব ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন সময়ে রোকন উদ্দিনের কাছে তাদের টাকা ফেরত চাইতে গেলে তাদেরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন ইনস্টিটিউটের বেপরোয়া এই টেকনিশিয়ান। শুধু কি ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কি লাঞ্ছিত করেন এমন নয় ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাদের সাথেও তিনি হরহামেশা বেপরোয়া আচরণ করেন বলে জানা যায়।

এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১২ সালে টেকনিশিয়ান রোকনুজ্জামানকে তিরস্কার করে ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ শোকজ প্রদান করেন। কিন্তু তাতেও দমে যাননি তিনি, তার পরেও বেপরোয়া আচরণ করার পাশাপশি ইনস্টিটিউটের ঔষধ সামগ্রী কালোবাজারে বিক্রি মাধ্যমে অবৈধভাবে উপার্জন করে যাচ্ছেন।

প্রতারণা ও চুরির মাধ্যমে অর্জিত আয়ে তিনি রাজধানীর পাশেই সাভারের আমিন বাজার এলাকায় জমি কিনেছেন। তারা সফল প্রতারণা ও চুরির প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় আপন ভাই রফিকুল ইসলাম তাকেও তিনি উক্ত ইনস্টিটিউটে (মাস্টার রুলে) টেকনিশিয়ান হিসেবে চাকরি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
টেকনিশিয়ান ও রোকনুজ্জামানের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়া দেন একজন মোহাম্মদপুর থানার আওয়ামী লীগের একজন কার্যনির্বাহী সদস্যও।

এছাড়াও উক্ত ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর সহ অনেকের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অসংখ্য বেপরোয়া আচরণ, কর্মকর্তাসহ ভুক্তভোগী অনেককে শারীরিক নির্যাতন চুরির অভিযোগ থাকার পরেও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট এর এই টেকনিশিয়ান কিভাবে স্বপদে বহাল থাকেন সে প্রশ্ন অনেকেরই।

জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের বেশ কয়েকটি সূত্র নাম (প্রকাশে অনিচ্ছুক) তারা জানান রোকনুজ্জামান সিদ্দিকী জামাত বিএনপি ঘরানার তার বাবা আব্দুর রউফ সিদ্দিকী সুরুজ জামালপুরের বিএনপি নেতা। ইনস্টিটিউটের বিএনপির কিছু কর্মকর্তাদের আস্কারা পেয়েই তিনি দিনে দিনে এত বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।

তার বিভিন্ন অপকর্ম, ইচ্ছা খুশিমতো কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে কখনো কেউ কিছু বললে তার চাকরি খেয়ে ফেলা সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে থাকেন রোকনুজ্জামান এ যেন বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড় অবস্থা। এমন এক ঘটনা ঘটেছে করোনার শুরুর দিকে, হৃদরোগ ইনস্টিটিউট এর বিভাগীয় প্রধান ডাক্তার রামপ্রদ সরকারের গায়ে হাত তুলতে ঔ্ধত্য হয়। যা দেখে ইনস্টিটিউটের সবাই অবাক বনে যান।

টেকনিশিয়ান রোকনুজ্জামান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের ব্যাপারে হূদরোগ ইনস্টিটিউট এর পরিচালকের বক্তব্য জানতে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্যের জন্য রোকনুজ্জামান কে কয়েক বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি পরে তার কর্মস্থল হৃদরোগ ইন্সটিটিউট এ গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের মহা ক্ষমতাধর টেকনিশিয়ান রোকনুজ্জামান!

আপডেট সময় : ০১:০০:০০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুন ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক: কখনো চিকিৎসা করিয়ে দেওয়ার নামে অগ্রিম টাকা নেয়া, কখনো বা হার্ট ফাউন্ডেশনে চাকরি দেয়ার নামে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ টাকা ফেরৎ চাইতে গেলে ভুক্তভোগীদের লাঞ্ছিত হওয়া ও  ইচ্ছা খুশিমতো কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়ার মত গুরুতর অভিযোগ রয়েছে জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের হার্ড লং টেকনিশিয়ান রোকনুজ্জামান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে।

রাজধানীর শেরেবাংলা নগরের জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের চিফ হার্ট লং টেকনিশিয়ান রোকনুজ্জামান সিদ্দিকী ও তার সহদর ভাই সার্জিক্যাল টেকনিশিয়ান রফিকুল ইসলামের লাগামহীন আচরণ ও দুর্নীতি যেনো কর্তৃপক্ষের চেয়েও শক্তিশালী। জনসাধারণের কাছে রোকনউদ্দিন নিজেকে কখনো ডাক্তার আবার কখনো ইস্টিটিউটের ক্ষমতাধর কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন চাকরি প্রত্যাশী ব্যক্তিদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে প্রতারণা করার পাশাপাশি হাসপাতালের ওষুধ ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কর্তৃপক্ষের নজরে এড়িয়ে চুরি করে বিক্রির মাধ্যমে বিপুল অবৈধ টাকার মালিক হয়েছেন বলে অনুসন্ধানে জানা গেছে।

এছাড়াও রকিবুল ইসলাম ও রোকনুজ্জামানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন রোগীদের কাছ থেকে সুলভ মূল্যে চিকিৎসা পাইয়ে দেয়ার কথা বলেও অগ্রিম টাকা নেওয়ার অসংখ্য অভিযোগ রয়েছে।
এসব ভুক্তভোগীরা বিভিন্ন সময়ে রোকন উদ্দিনের কাছে তাদের টাকা ফেরত চাইতে গেলে তাদেরকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন ইনস্টিটিউটের বেপরোয়া এই টেকনিশিয়ান। শুধু কি ভুক্তভোগী ব্যক্তিদের কি লাঞ্ছিত করেন এমন নয় ইনস্টিটিউটের কর্মকর্তাদের সাথেও তিনি হরহামেশা বেপরোয়া আচরণ করেন বলে জানা যায়।

এমন অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১২ সালে টেকনিশিয়ান রোকনুজ্জামানকে তিরস্কার করে ইনস্টিটিউট কর্তৃপক্ষ শোকজ প্রদান করেন। কিন্তু তাতেও দমে যাননি তিনি, তার পরেও বেপরোয়া আচরণ করার পাশাপশি ইনস্টিটিউটের ঔষধ সামগ্রী কালোবাজারে বিক্রি মাধ্যমে অবৈধভাবে উপার্জন করে যাচ্ছেন।

প্রতারণা ও চুরির মাধ্যমে অর্জিত আয়ে তিনি রাজধানীর পাশেই সাভারের আমিন বাজার এলাকায় জমি কিনেছেন। তারা সফল প্রতারণা ও চুরির প্রত্যক্ষ সহযোগিতায় আপন ভাই রফিকুল ইসলাম তাকেও তিনি উক্ত ইনস্টিটিউটে (মাস্টার রুলে) টেকনিশিয়ান হিসেবে চাকরি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
টেকনিশিয়ান ও রোকনুজ্জামানের হাতে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হওয়া দেন একজন মোহাম্মদপুর থানার আওয়ামী লীগের একজন কার্যনির্বাহী সদস্যও।

এছাড়াও উক্ত ইনস্টিটিউটের ডিরেক্টর সহ অনেকের গায়ে হাত তোলার অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। অসংখ্য বেপরোয়া আচরণ, কর্মকর্তাসহ ভুক্তভোগী অনেককে শারীরিক নির্যাতন চুরির অভিযোগ থাকার পরেও জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট এর এই টেকনিশিয়ান কিভাবে স্বপদে বহাল থাকেন সে প্রশ্ন অনেকেরই।

জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের বেশ কয়েকটি সূত্র নাম (প্রকাশে অনিচ্ছুক) তারা জানান রোকনুজ্জামান সিদ্দিকী জামাত বিএনপি ঘরানার তার বাবা আব্দুর রউফ সিদ্দিকী সুরুজ জামালপুরের বিএনপি নেতা। ইনস্টিটিউটের বিএনপির কিছু কর্মকর্তাদের আস্কারা পেয়েই তিনি দিনে দিনে এত বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন।

তার বিভিন্ন অপকর্ম, ইচ্ছা খুশিমতো কর্মস্থলে উপস্থিত হওয়া ও স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে কখনো কেউ কিছু বললে তার চাকরি খেয়ে ফেলা সহ বিভিন্ন ধরনের হুমকি ধামকি দিয়ে থাকেন রোকনুজ্জামান এ যেন বাঁশের চেয়ে কঞ্চি বড় অবস্থা। এমন এক ঘটনা ঘটেছে করোনার শুরুর দিকে, হৃদরোগ ইনস্টিটিউট এর বিভাগীয় প্রধান ডাক্তার রামপ্রদ সরকারের গায়ে হাত তুলতে ঔ্ধত্য হয়। যা দেখে ইনস্টিটিউটের সবাই অবাক বনে যান।

টেকনিশিয়ান রোকনুজ্জামান সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে এসব অভিযোগের ব্যাপারে হূদরোগ ইনস্টিটিউট এর পরিচালকের বক্তব্য জানতে বেশ কয়েকবার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি।

অভিযোগের বিষয়ে বক্তব্যের জন্য রোকনুজ্জামান কে কয়েক বার ফোন দিলেও তিনি রিসিভ করেননি পরে তার কর্মস্থল হৃদরোগ ইন্সটিটিউট এ গেলেও তাকে পাওয়া যায়নি।