ঢাকা ০৯:২৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo বটিয়াঘাটা সাব-রেজিস্ট্রি অফিসে দুর্নীতি ও অনিয়মে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ Logo বামনায় রাতের অন্ধকারে লোহার পুল চুরি! কর্তৃপক্ষের নীরব ভূমিকা Logo কথিত পীরের ধর্ম ব্যবসার পাশাপাশি পোল্ট্রি ফার্ম : ধ্বংসের মুখে পরিবেশ Logo নকল সিগমা লিফটে গ্রাহকরা প্রতারিত, বাড়ছে দুর্ঘটনা! Logo বিএডিসি’র আড়ালে দুর্নীতির কারখানা: গুদামরক্ষকের বিরুদ্ধে কোটি টাকার জালিয়াতির অভিযোগ Logo অবৈধ স্থাপনার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) উদাসীন Logo রাজধানীতে ঝুঁকিপূর্ণ ভবন ও মার্কেট নিয়ে ফায়ার সার্ভিসের অবহেলা Logo হানিফ ফ্লাইওভার টোলের ১২০০ কোটি টাকা ওরিয়ন গ্রুপের পেটে! Logo ‘ফুল ভলিয়মে ভাইরাল গানে মগ্ন অন্তর্বর্তী জোট’ Logo স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে স্বৈরাচারের দোসর সৈয়দ হাবিবুরের দুর্নীতির ফিরিস্তি- পর্ব ১

২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করতে পাওনাদারকে পুড়িয়ে হত্যা!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৪৯:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুন ২০২১ ১৭৮ বার পড়া হয়েছে

বিশেষ প্রতিনিধি: গত ৮ মে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অজ্ঞাত পরিচয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ব্যবসায়ী আহসান হাবিব। এর আগের দিন তাকে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার হরিনহাটি এলাকার একটি বাড়ি থেকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সাভারের দোকান থেকে পাওনা টাকা আদায়ের কথা বলে বাসা থেকে বের হন আহসান হাবিব। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি।

পরে ঘটনা তদন্তে নেমে নুরুন নবী ওরফে রনিকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। হাবিবের পাওনা ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পেরে তার শরীরে আগুন দিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে রনি।

মঙ্গলবার দুপুরে মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। সিআইডির হাতে গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে প্রধান আসামি নুরুন নবী ওরফে রনি, মো. হাসান আহমেদ, জাহিদ হোসেন ও রঞ্জু।

পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, সাভার থেকে নিখোঁজ হওয়ার ৪ দিন পর আহসান হাবিব নামে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ শনাক্ত করে তার পরিবার। নিহত ব্যক্তি ৭ মে কালিয়াকৈর উপজেলার হরিনহাটি এলাকার একটি বাসার নিচ তলায় অগ্নিদগ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহায়তায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায় পুলিশ। পরদিন অর্থাৎ ৮ তারিখ চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহসান হাবিব মারা যান।

অনেক খোঁজাখুঁজির পর আহসান হাবিবের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। এ ঘটনায় তার শ্যালক জাকারিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং জড়িত আসামির অবস্থান শনাক্ত করে। সোমবার রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকা থেকে মামলার এক নম্বর আসামি মো. নুরুন নবী ওরফে রনিকে গ্রেফতার করা হয়। নুরুন নবীর সঙ্গে নিহত ব্যবসায়ী আহসান হাবিবের ব্যবসায়িক বিরোধ ছিল। রনির কাছে ২০ লাখ টাকা পেতেন হাবিব। সেই বিরোধের জের ধরে রনি তার আরও তিন সহযোগী নিয়ে হাবিবকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাতের পর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডির এই বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, যে বাসায় ব্যবসায়ী হাবিবের শরীরে আগুন দেওয়া হয় সেই বাসাটি ভুয়া পরিচয় দিয়ে ভাড়া নেয় রনি। ১ জুন এ বাসায় তার দুজন কর্মচারী থাকবে বলে বাড়ির মালিককে জানায় সে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

২০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করতে পাওনাদারকে পুড়িয়ে হত্যা!

আপডেট সময় : ১১:৪৯:২৪ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১২ জুন ২০২১

বিশেষ প্রতিনিধি: গত ৮ মে রাজধানীর শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে অজ্ঞাত পরিচয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান ব্যবসায়ী আহসান হাবিব। এর আগের দিন তাকে গাজীপুর জেলার কালিয়াকৈর উপজেলার হরিনহাটি এলাকার একটি বাড়ি থেকে দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার দিন সন্ধ্যায় সাভারের দোকান থেকে পাওনা টাকা আদায়ের কথা বলে বাসা থেকে বের হন আহসান হাবিব। এরপর থেকেই নিখোঁজ ছিলেন তিনি।

পরে ঘটনা তদন্তে নেমে নুরুন নবী ওরফে রনিকে গ্রেফতার করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ সিআইডি। হাবিবের পাওনা ২০ লাখ টাকা পরিশোধ করতে না পেরে তার শরীরে আগুন দিয়ে হত্যা করার কথা স্বীকার করেছে রনি।

মঙ্গলবার দুপুরে মালিবাগ সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির বিশেষ পুলিশ সুপার মুক্তা ধর। সিআইডির হাতে গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে প্রধান আসামি নুরুন নবী ওরফে রনি, মো. হাসান আহমেদ, জাহিদ হোসেন ও রঞ্জু।

পুলিশ সুপার মুক্তা ধর জানান, সাভার থেকে নিখোঁজ হওয়ার ৪ দিন পর আহসান হাবিব নামে এক ব্যবসায়ীর মরদেহ শনাক্ত করে তার পরিবার। নিহত ব্যক্তি ৭ মে কালিয়াকৈর উপজেলার হরিনহাটি এলাকার একটি বাসার নিচ তলায় অগ্নিদগ্ধ হন। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয়দের সহায়তায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে যায় পুলিশ। পরদিন অর্থাৎ ৮ তারিখ চিকিৎসাধীন অবস্থায় আহসান হাবিব মারা যান।

অনেক খোঁজাখুঁজির পর আহসান হাবিবের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়। এ ঘটনায় তার শ্যালক জাকারিয়া বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর সিআইডি ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং জড়িত আসামির অবস্থান শনাক্ত করে। সোমবার রাতে গাজীপুরের কালিয়াকৈর এলাকা থেকে মামলার এক নম্বর আসামি মো. নুরুন নবী ওরফে রনিকে গ্রেফতার করা হয়। নুরুন নবীর সঙ্গে নিহত ব্যবসায়ী আহসান হাবিবের ব্যবসায়িক বিরোধ ছিল। রনির কাছে ২০ লাখ টাকা পেতেন হাবিব। সেই বিরোধের জের ধরে রনি তার আরও তিন সহযোগী নিয়ে হাবিবকে হাতুড়ি দিয়ে মাথায় আঘাতের পর শরীরে আগুন ধরিয়ে দেয়।

এক প্রশ্নের জবাবে সিআইডির এই বিশেষ পুলিশ সুপার বলেন, যে বাসায় ব্যবসায়ী হাবিবের শরীরে আগুন দেওয়া হয় সেই বাসাটি ভুয়া পরিচয় দিয়ে ভাড়া নেয় রনি। ১ জুন এ বাসায় তার দুজন কর্মচারী থাকবে বলে বাড়ির মালিককে জানায় সে।