মীরগঞ্জ ফেরী’তে ২শ’ টাকার ভাড়া ১১শ টাকা!
- আপডেট সময় : ০৫:৫৯:৫০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ জুন ২০২১ ১৬০ বার পড়া হয়েছে
নুরে আলম, বাবুগঞ্জ (বরিশাল) সংবাদদাতাঃ বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ উপজেলার মীরগঞ্জ ফেরী’তে ২শ টাকার ট্রাক ভাড়া দিতো হচ্ছে ১১শ টাকা যা রীতিমতো অন্যায়। বরিশাল সড়ক ও জনপথ বিভাগের তত্বাবধানে থাকা মীরগঞ্জ ফেরী’তে অন্যায় ও অনিয়মের চিত্র দীর্ঘ দিন যাবৎ। যার বার বার সংবাদ প্রকাশিত হলেও দৌরাত্ব থামান যায়নি ইজারাদারের। হিজলা, মুলাদী ও মেহেন্দীগঞ্জের একমাত্র গাড়ি’র পন্থা হওয়ায় প্রতিদিন শত শত গাড়ি পারাপার হয়। তবুও মীরগঞ্জ ফেরী’তে সরকারী নির্ধারীত ভাড়ার চেয়ে প্রায় ৫থেকে ৪০গুন পর্যন্ত বাড়তি ভাড়া দিতে হচ্ছে চালক ও যানবহণ মালিকদের।
তবে গত তিন বছর ধরে এর প্রভনতা অনেক বেশি। সড়ক ও জনপথ বিভাগের সূত্রে জানাযায় ২০১৮শালের জুন মাস থেকে মোঃ শেখ আলম নামে এক ব্যক্তি দরপত্রের মাধ্যমে ৩বছরের জন্য (২০২১সালের জুন প্রর্যন্ত) সর্থসাপেক্ষ ইজারার দায়িত্ব হিসাবে গ্রহণ করেন। কিন্তু তারপর থেকে শুরু হয় আরো অস্বাভাবিক ও অতিরক্তি ভাড়া আদায় যা দুর্নীতির এক মহা চিত্র। সড়ক ও জনপথের তালিকাভূক্ত নির্ধারীত ভাড়ার তোয়াক্কাই করছেন না ইজারাদার।
যানবহন পারাপারে মূল্য তালিকায় রয়েছে, (ক) ট্রেইলার ২শ ৫০টাকা নেওয়া হচ্ছে, ১৬শ টাকা (খ)হেভী ট্রাক ২শ টাকা, দিতে হচ্ছে ১১শ টাকা (গ)মিডিয়াম ট্রাক ১শ টাকা, দিতে হচ্ছে ১হাজার ৫০টাকা (ঘ) বড় যাত্রীবাহী বাস ৯০টাকা, দিতে হচ্ছে ৮শ টাকা (ঙ) মিনি ট্রাক ৭৫টাকা, দিতে হচ্ছে ৮শ ৫০টাকা (চ) পাওয়ার ট্রিলার ৬০টাকা, দিতে হচ্ছে ৮শ টাকা (ছ) মিনি বাস ৫০টাকা, দিতে হচ্ছে ৬শ টাকা (জ) মাইক্রোবাস ৪০টাকা, দিতে হচ্ছে ৯শতটাকা (ঝ) পিকআপ কনভারশনকৃত জীপ ইত্যাদি ৪০টাকা, দিতে হচ্ছে ৭শ টাকা (ঞ) সিডান কার ১০টাকা, দিতে হচ্ছে ৬শত টাকা (ট) আটো টেম্পো, সিএনজি ব্যাটারীচালিত ৩/৪ চাকার ভাড়া ১০ টাকা, দিতে হচ্ছে ৪শত টাকা। এই ভাড়া শুধু এক বার পারাপারের জন্য প্রযোয্য। তবে ইজারাদার কৌশালে টাইমের ফেরীতে পারাপার হলেও টোল আদায় রসিদে রিজার্ভ ছিল মেড়ে দিচ্ছে।
মীরগঞ্জ ফেরীঘাটে উৎসক জনতার মধ্যে যশোর ট১১-৩৮১৮এর ট্রাক চালক বাবু হোসেন, ঢাকা মেট্রো ন১৫-২০৬০মিনি ট্রাক চালক জাকির হোসেন, যোশর ট১১-১৭৭১ এর ট্রাক চালক সোহেল ও বরিশাল মেট্রো ন১১-০৫১৭ পিকআপ চালক নয়ন পৃথকভাবে জানান, বাংলাদেশে এরকম ফেরীতে বিরম্ভনার ও অন্যায় অযুক্তিক ভাড়া আদায় কোথাও নেই। তারা আরো বলেন এটা শুধু অন্যায় না অত্মাচারও। যেখানে ২শ টাকার ভাড়া ১১শ টাকা, ৪০টাকার ভাড়া ৭শ টাকা হয়, সেখানে শুধু নৈরাজ্য নয় রীতিমতো অন্যায় অত্মাচারও।
এসব অভিযোগের বিষয়ে এড়িয়ে গিয়ে বরিশাল সড়ক ও জনপথের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আবুহেনা মোহম্মাদ তারেক ইকবাল সাংবাদিকদের’কে বলেন এসব বিষয়ে আমার কিছুই জানা নেই। মীরগঞ্জ ফেরীঘাটের বিষয়ে তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মিন্টু রঞ্জন দেবনাথ তিনিই বলতে পারবেন। মিন্টু রঞ্জন দেবনাথ তিনিও এড়িয়ে গিয়ে মীরগঞ্জ ফেরীঘাটের বিষয়ে বলেন আমি কিছুই জানিনা। মীরগঞ্জ ফেরীঘাটের বিষয়ে বলতে পারবেন নির্বাহী প্রকৌশলী মাসুদ মাহমুদ। এদিকে মাসুদ মাহমুদ’কে দু’দিনে ধরে ১শ বার কল দিয়েও পাওয়া যায়নি তাকে। পরবর্তীতে মিন্টু রঞ্জন দেবনাথ’কেও আর ফোন ফোনে পাওয়া যায়নি।