নুরে আলম (বরিশাল) বাবুগঞ্জঃ দীর্ঘ দেড় মাস (৪৬দিন) পর আজ সোমবার থেকে আবারও ঢাকা-বরিশাল চাদপুর বাবুগঞ্জসহ বিভিন্ন নৌরুটে যাত্রীবাহী নৌযান চলাচল শুরু।
এবছরের গত ৫ই এপ্রিল করোনার সংক্রমন রোধে বাংলাদেশ সরকার সারা দেশে লকডাউন ঘোষনা করেন। তার পর দিন ৬ই এপ্রিল বিআইডব্লিউটিএ বন্ধ করে দেয় প্রায় ৭শ যাত্রীবাহী নৌযান।
নৌযান বন্ধ হওয়ার পর লঞ্চ শ্রমিকরা পরিবার নিয়ে মানবতার জীবন যাপন করেছেন। লকডাউনের মধ্যে শ্রমিকরা নৌযান চালু করার দাবিতে ঢাকা,বরিশাল,চাদপুর,বাবুগঞ্জ,পয়সারহাটসহ বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ করেন।
পরে ২২শে মে শনিবার দুপুর ১২টায় লঞ্চ মালিক ও শ্রমিক নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে লঞ্চ চালুর দাবি করেন। পরদিন ২৩শে মে রবিবার যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচল করার অনুমতি দেয় সরকার। এবং বাধ্যতামূলক যাত্রীদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাচল করার প্রতিজ্ঞাবদ্ধ করায় লঞ্চ মালিক ও শ্রমিকদের।
এদিকে লঞ্চ চালুর সংবাদ পেয়ে আনন্দিত দক্ষিণাঞ্চলসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের মানুষ, এবং খুশির বন্যা বইছে লঞ্চ শ্রমিকদের মাঝে। ঢাকা, বরিশালসহ বাবুগঞ্জেও দেখা গেছে আনন্দের মিছিল।
শ্রমিক নেতা ও ঢাকা-বাবুগঞ্জ নৌরুটে পুবালী৯ লঞ্চের সুুপারভাইজার সজল আহমেদ ও ঢাকা-মিরগঞ্জ নৌরুটের আচল৬ লঞ্চের সুপারভাইজার মানিক হোসেন, বলেন করোনা মহামারীর জন্য গত ৬ই এপ্রিল থেকে যাত্রীবাহী লঞ্চ চলাচলের নিষেধাজ্ঞা জারি করান সরকার। দফায় দফায় লঞ্চ চালুুর দাবি করা হলেও অনুমতি দেয়নি সরকার। তবে গত ২২শে মে লঞ্চ মালিক ও শ্রমিক নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে । পর দিন ২৩শে মে রবিবার বিআইডব্লিউএ স্বাভাবিকভাবে লঞ্চ চলাচলের ঘোষণা দেন। দীর্ঘ ৪৬ দিন পর আজ সোমবার ২৪শে মে লঞ্চ চলাচলের অনুমতি পেয়েছি। প্রায় ৭শ লঞ্চে শ্রমিক রয়েছে ২০হাজারের অধিক, লঞ্চ বন্ধ থাকা অবস্থায় মা বাবা ভাই বোন বউ বাচ্চা নিয়ে কষ্টের দিন গুল গুনতে হয়েছে শ্রমিকদের। লঞ্চ চালুর খবর শুনে খুশিতে আত্মহারা শ্রমিকরা,তাদের আত্মহারা খুশিতে বিভিন্ন স্থানে হয়েছ আনন্দ মিছিল।