ঢাকা ০২:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৫ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo কুবির শেখ হাসিনা হলের নতুন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মেহের নিগার Logo শাবিপ্রবিতে সুষ্ঠভাবে গুচ্ছভুক্ত ‘খ’ ইউনিট ভর্তি পরীক্ষা সম্পন্ন Logo গুচ্ছ খ-ইউনিট ভর্তি পরীক্ষায় শিক্ষা উপকরণ ও সুপেয় পানি দিয়ে শাবি ছাত্রলীগের সহযোগিতা Logo মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশে প্রতিষ্ঠিত মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটি হবে সত্যিকারের গ্রীন ক্যাম্পাসঃ ভিসি মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo প্রতারণাচক্র থেকে সাবধান থাকতে আহবান জানিয়েছেন শাবি উপাচার্য Logo শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী কাজে সর্বদা সাপোর্ট থাকবে; শাবি উপাচার্য Logo জবি শিক্ষককে হেনস্থা, গুরু পাপে লঘু দণ্ড Logo কুবিতে ত্রিমুখী সংঘর্ষ, মারধরের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন




সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অর্থ বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:৩৩:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১ ১৩৯ বার পড়া হয়েছে

অনলাইন ডেস্ক: দুস্থ ও অসহায় সাংবাদিকদের সহায়তার জন্য সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া অনুদানের টাকা বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগ উঠছে। প্রকৃত অসহায়দের সহায়তা না করে প্রভাবশালী ও মুখের পরিচিতির ওপর ভিত্তি করে অর্থ বণ্টন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টিভির (ইটিভি) বিশেষ প্রতিনিধি এবং ভয়েস অব আমেরিকার সংবাদদাতা হাসান ফেরদৌস তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে একটি স্যাটাস দিয়েছেন। পাঠকের জন্য সেটি হুবহু তুলে ধরা হলো :

‘বন্ধ হউক সরকারি অর্থ লুটপাট : বেকার, অসহায়, অসুস্থ, দুস্থ সাংবাদিকের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় গড়ে তোলা হয় সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্ট। প্রতিবছর ট্রাষ্ট থেকে অসহায় সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। এজন্য ট্রাষ্টের বিধান অনুযায়ী সাংবাদিক ইউনিয়নের সুপারিশ প্রয়োজন। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে সুপারিশ করতে হয়। যেসব জেলায় ইউনিয়ন নেই সেব এলাকায় প্রেসক্লাব এবং স্থানীয় জেলা প্রশাসকের সুপারিশ নিতে হয়। এরপর বিএফইউজের সদস্যদের উপস্থিতিতে আবেদন যাচাই-বাছাই করে চুড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয় ট্রাষ্টের বোর্ড সভায়। #এখন দেখা যাচ্ছে ট্রাষ্টের অর্থিক সহায়তা নিয়ে “পলিটিক্স” শুরু হয়েছে। যাদের সহায়তা পাবার কথা তাদের সহায়তা না দিয়ে যাদের বাড়ি, গাড়ি, চাকুরী, প্রভাব, নেতাদের আপনজন তাদের এই অর্থের জন্য সুপারিশ, সহায়তা প্রদান করছে। চট্টগ্রামে অন্তত ৫০ জন সাংবাদিক আছেন যারা নানা ভাবে আর্থিক কষ্টে আছেন, কারো চাকুরী নাই, কেউ বা বেকার, কারো চিকিৎসার জন্য টাকার দরকার তা যোগার করতে পারছেন না, তারা আবেদন করেও আর্থিক সহায়তা পাননি। চট্টগ্রাম বাইরেও একই অবস্থা। গত কয়েক দিন ধরে শুধু এমনই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বান্দরবানের প্রয়াত সাংবাদিক এনামুল হক কাশেমীর পরিবার দু’বার আবেদন করে সহায়তা পাননি। এমন নজির চট্টগ্রামে অসংখ্য। তসজলে সহায়তা পেলেন কারা? #সহায়তা পেয়েছে দি ডেইলি অবজারভার, চট্টগ্রাম অফিসের চীফ স্টাফ করসপন্ডেন্ট প্রধান জনাব নুরুল আমিন। এক লাখ টাকা। তিনি এর আগে সাংবাদিক কোটায় রাজউকের প্লট পেয়েছেন, সাংবাদিক হাউজিং প্লট আছে। তাঁর সহকর্মী মোস্তাক আহমেদ বলেছেন এই সাংবাদিকের বেতন ভাতা বকেয়া নাই। এরপর তিনি দুস্থ (!), #আরেকজন আতিকুল ইসলাম। তিনি সিইউজের সদস্য নন। একটি পত্রিকার সম্পাদক। সাংবাদিক হাউজিং এ তার প্লট ছিলো। প্লট বিক্রি নিয়ে জড়িয়ে ছিলেন কেলেংকারীতে, এ জন্য জেলেও যেতে হয়ে ছিলো তাকে, চিন্তা চেতনা, মননে পুরোপুরি ডানপন্থী, তিনি তালিকাভুক্ত হলেন দুস্থ হিসাবে (!) পেলেন সর্বোচ্চ ২লাখ টাকা। #চট্টগ্রামে এক সময়ে খ্যাতিমান রিপোর্টর, এখন দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার ব্যুরো প্রধান। নাম,যশ, খ্যাতি সবই আছে। ভালো অংকের বেতনও পান তিনি। জনাব ফারুক ইকবাল তিনি নাম লিখিয়েছেন দুস্থ সাংবাদিকের তালিকায়(!)। তিনি পেলেন দেড় লাখ টাকা। তার সহকর্মী সিইউজের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক। যাকে বলে সোনায় সোহাগা!!!! অসহায়, দুস্থ, অসুস্থ সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তার এই নয় ছয় তদন্তের দাবি রাখে, যারা সত্যিকার অর্থে এই সহায়তার টাকা প্রাপ্য তারা যাতে সহায়তা পায় এজন্য উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। আর তা না হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক কল্যানে যে মহতী উদ্যোগ নিয়েছেন তা সফলতা প্রান্তিক পর্যায়ে সাংবাদিকদের কাছে পৌঁছাবে না।’

 

 

সূত্র: সকালের সময়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের অর্থ বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগ

আপডেট সময় : ১১:৩৩:২৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৭ মে ২০২১

অনলাইন ডেস্ক: দুস্থ ও অসহায় সাংবাদিকদের সহায়তার জন্য সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া অনুদানের টাকা বণ্টনে অনিয়মের অভিযোগ উঠছে। প্রকৃত অসহায়দের সহায়তা না করে প্রভাবশালী ও মুখের পরিচিতির ওপর ভিত্তি করে অর্থ বণ্টন করা হয়েছে বলে জানা গেছে। এটা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে আলোচনা-সমালোচনা।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের (সিইউজে) সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল একুশে টিভির (ইটিভি) বিশেষ প্রতিনিধি এবং ভয়েস অব আমেরিকার সংবাদদাতা হাসান ফেরদৌস তার ব্যক্তিগত ফেসবুকে একটি স্যাটাস দিয়েছেন। পাঠকের জন্য সেটি হুবহু তুলে ধরা হলো :

‘বন্ধ হউক সরকারি অর্থ লুটপাট : বেকার, অসহায়, অসুস্থ, দুস্থ সাংবাদিকের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় গড়ে তোলা হয় সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাষ্ট। প্রতিবছর ট্রাষ্ট থেকে অসহায় সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। এজন্য ট্রাষ্টের বিধান অনুযায়ী সাংবাদিক ইউনিয়নের সুপারিশ প্রয়োজন। সভাপতি, সাধারণ সম্পাদককে সুপারিশ করতে হয়। যেসব জেলায় ইউনিয়ন নেই সেব এলাকায় প্রেসক্লাব এবং স্থানীয় জেলা প্রশাসকের সুপারিশ নিতে হয়। এরপর বিএফইউজের সদস্যদের উপস্থিতিতে আবেদন যাচাই-বাছাই করে চুড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয় ট্রাষ্টের বোর্ড সভায়। #এখন দেখা যাচ্ছে ট্রাষ্টের অর্থিক সহায়তা নিয়ে “পলিটিক্স” শুরু হয়েছে। যাদের সহায়তা পাবার কথা তাদের সহায়তা না দিয়ে যাদের বাড়ি, গাড়ি, চাকুরী, প্রভাব, নেতাদের আপনজন তাদের এই অর্থের জন্য সুপারিশ, সহায়তা প্রদান করছে। চট্টগ্রামে অন্তত ৫০ জন সাংবাদিক আছেন যারা নানা ভাবে আর্থিক কষ্টে আছেন, কারো চাকুরী নাই, কেউ বা বেকার, কারো চিকিৎসার জন্য টাকার দরকার তা যোগার করতে পারছেন না, তারা আবেদন করেও আর্থিক সহায়তা পাননি। চট্টগ্রাম বাইরেও একই অবস্থা। গত কয়েক দিন ধরে শুধু এমনই অভিযোগ পাওয়া যাচ্ছে। বান্দরবানের প্রয়াত সাংবাদিক এনামুল হক কাশেমীর পরিবার দু’বার আবেদন করে সহায়তা পাননি। এমন নজির চট্টগ্রামে অসংখ্য। তসজলে সহায়তা পেলেন কারা? #সহায়তা পেয়েছে দি ডেইলি অবজারভার, চট্টগ্রাম অফিসের চীফ স্টাফ করসপন্ডেন্ট প্রধান জনাব নুরুল আমিন। এক লাখ টাকা। তিনি এর আগে সাংবাদিক কোটায় রাজউকের প্লট পেয়েছেন, সাংবাদিক হাউজিং প্লট আছে। তাঁর সহকর্মী মোস্তাক আহমেদ বলেছেন এই সাংবাদিকের বেতন ভাতা বকেয়া নাই। এরপর তিনি দুস্থ (!), #আরেকজন আতিকুল ইসলাম। তিনি সিইউজের সদস্য নন। একটি পত্রিকার সম্পাদক। সাংবাদিক হাউজিং এ তার প্লট ছিলো। প্লট বিক্রি নিয়ে জড়িয়ে ছিলেন কেলেংকারীতে, এ জন্য জেলেও যেতে হয়ে ছিলো তাকে, চিন্তা চেতনা, মননে পুরোপুরি ডানপন্থী, তিনি তালিকাভুক্ত হলেন দুস্থ হিসাবে (!) পেলেন সর্বোচ্চ ২লাখ টাকা। #চট্টগ্রামে এক সময়ে খ্যাতিমান রিপোর্টর, এখন দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকার ব্যুরো প্রধান। নাম,যশ, খ্যাতি সবই আছে। ভালো অংকের বেতনও পান তিনি। জনাব ফারুক ইকবাল তিনি নাম লিখিয়েছেন দুস্থ সাংবাদিকের তালিকায়(!)। তিনি পেলেন দেড় লাখ টাকা। তার সহকর্মী সিইউজের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক। যাকে বলে সোনায় সোহাগা!!!! অসহায়, দুস্থ, অসুস্থ সাংবাদিকদের আর্থিক সহায়তার এই নয় ছয় তদন্তের দাবি রাখে, যারা সত্যিকার অর্থে এই সহায়তার টাকা প্রাপ্য তারা যাতে সহায়তা পায় এজন্য উদ্যোগ নেয়া প্রয়োজন। আর তা না হলে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী সাংবাদিক কল্যানে যে মহতী উদ্যোগ নিয়েছেন তা সফলতা প্রান্তিক পর্যায়ে সাংবাদিকদের কাছে পৌঁছাবে না।’

 

 

সূত্র: সকালের সময়।