বাবুগঞ্জ খেয়াঘাটে ইজারাদারদের জুলুম বিড়ম্বনায় জিম্মি লাখো মানুষ!
- আপডেট সময় : ১০:৪৬:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ মে ২০২১ ২৭৫ বার পড়া হয়েছে
বাবুগঞ্জ প্রতিনিধিঃ বরিশালের বাবুগঞ্জে রয়েছে বেশক কয়েকটিখেয়াঘাট। এর মধ্যে বেশ কয়েকটি খেয়াঘাটে ইজারাদারদের নিকট সাধারণ মানুষ জিম্মি হয়ে পড়েছে। যার মধ্যে রাজগুর ও মিরগঞ্জ খেয়াঘাট ইজারাদারদের জুলুম নির্যাতনের মাত্রা অসহনীয় হয়ে উঠেছে।
এলাকার চায়ের দোকান থেকে শুরু করে জাতীয় সংসদে ও এসব খেয়াঘাটের যুলুম নিয়ে আলচনা করেছেন বর্তমান সংসদ গোলাম কিবরিয়া টিপু। স্থানীয় ও দেশের বিভিন্ন জাতীয় সংবাদ পত্র সহ টেলিভিশন গুলোতেও বার বার সম্প্রচার হয়েছে বাবুগঞ্জের খেয়াঘাট গুলো নিয়ে। তবুও সিন্ডিকেট ধারীদের দৈরত্ম্য থামতে পারছেন। তারা বর্তমান প্রানঘাতী করোনা ভাইরাসকে নিয়েছে উৎসব
হিসাবে।
করোনাকালে সিন্ডিকেট ধারীরা সুকৌশলে প্রকাশ্যে
ভাগিয়ে নিচ্ছে কোটি টাকা। সম্প্রতি মীরগঞ্জ যেখান থেকে প্রতিনিয়ত পারাপার হয় তিন উপজেলার মানুষ হিজলা, মেহেন্দিগঞ্জ ও মুলাদী। তাদের বিকল্প পথ না থাকায়, তিন উপজেলা মানুষ মীরগঞ্জ থেকে প্রতিদিন খেয়া পারাপারে প্রায় ৫ হাজার মানুষ যাতায়াত করেন।
বর্তমানে করোনাকালে মীরগঞ্জ খেয়াঘাটের ভাড়া নিয়ে আছে বিস্তার অভিযোগ। সিন্ডিকেট ধারীরা প্রভাবশালী হওয়ায় থামাতে পারছেন না স্থানীয় রাজনীতিবীদ ও প্রশাসন। যাত্রীরা প্রতিবাদ করলেই করা হয় হামলা ও মারধর।
মীরগঞ্জ খেয়া পারাপারে বরিশাল জেলা পরিষদের নির্ধারিত টোলচার্জ জনপ্রতি ভাড়া রয়েছে ৬টাকা
মটরসাইকেলএকজনসহ রয়েছে ১৬টাকা। কিন্তু ইজারাদার মারাত্মক ভাবে ডাকাতি ও সুকৌশলে কাটছেসা ধারণ যাত্রীদের পকেট নিরুপায় যাত্রীরা। ইজারাদার প্রায় ৯ গুন ভাড়া বেশি আদায় করতেছে যাত্রীদের কাছ থেকে।
সরকারি মূল্যে তালিকায় যাত্রী জনপ্রতি ভাড়া ৬টাকা হলেও ইজারাদার নিচ্ছে ৫০টাকা, মটরসাইকেল একজনসহ ১৬টাকা হলেও নিচ্ছে ১শ থেকে ১শ ২০টাকা। যাহা শুধু দুর্নীতি নয় মহা দুর্নীতি।
টেলিভিশনে ও সংবাদ প্রকাশিত হলেও প্রশাসন ব্যবস্থা না নেয়ায় হতাস যাত্রীরা। বাড়তি ভাড়ার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে গিয়ে বিগতবছর মারাত্মক ভাবে যখম হন সহকারী কমিশনার ভূমি, মুলাদী গাড়ি চালক শামিম তাল্লুকদার।
রাজগুরু খেয়াঘাট থেকে উপজেলার তিন ইউনিয়নের মানুষ যাতায়াত করেন, কেদারপুর, দেহেরগতি ও জাহাঙ্গীরনগ ইউনিয়নের মানুষ।
তিন ইউনিয়নের যাতায়াতের বিকল্প পথ থাকলেও। তারাতাডড়ি জন্য অন্যতম পথ হিসাবে ব্যবহার করেন যাত্রীরা। প্রতিদিন খেয়াঘাট থেকে যাত্রী পারাপার হয় ২থেকে আড়াই হাজার।
এখানেও সুকৌশলে নৈরাজ্য ও সৈরাচারিতায় মাধ্যমে ব্যপক হরে হচ্ছে দুর্নীতি। প্রতিদিনই হচ্ছে প্রতিবাদে হচ্ছে মারধর।
রাজগুরু খেয়াঘাটে বরিশাল জেলা পরিষদ নির্ধারিত টোলচার্জ রয়েছে জনপ্রতি ৪টাকা মটরসাইকেল একজনসহ ১২টাকা। কিন্তু
ইজারাদার জোরপূর্বক সুকৌশলে অভিনব কায়দায় কাটছে নিরুপায় যাত্রীদের পকেট। জেলা পরিষদের নির্ধরিত টোলচার্জ চেয়ে প্রায় ৫থেকে ৬গুন ভাড়া বাড়তি আদায় করছে।
জেলা পরিষদের নির্দেশনায় উল্যেখিত আছে নির্ধারীত ভাড়া নিয়ে দু’টি ট্রলার দিয়ে যাত্রী পারাপার নির্দেশ। কিন্ত ইজারাদার জেলা পরিষদের বরাদ দিয়ে। ইজারাদার কতৃক ট্রলার বন্ধ রেখে তাদের রির্জাব চালিত ট্রলার দিয়ে পারাপার করে জনপ্রতি ভাড়া নিচ্ছে ২০থেকে ২৫টাকা আর মটরসাইকেল ৫০ থেকে ৬০টাকা।
রাজগুরু খেয়াঘাটের ইজারাদার গোলাম রসুল জানান, তিনি অভিযোগের বিষয় কিছুই জানেন না। তিনি সুধু নাম রয়েছেন ইজারাদার টাকা পয়সা সব কামাল প্যাদার ঘাটের মালিকানায়ও তিনি। তিনি সরকারী চাকুরী করেন তাই বলে আমার নামে দরপত্র দাখিল করেছেন। কামাল প্যাদা বিষয়ে গোলাম
রসুল আরো বলেন তিনি বিআইডব্লিউটি এর ৪র্থশ্রেনী’র কর্মচারী। তার কর্মরত স্থান বাহেরচর লঞ্চ পল্টনের লস্কর। সেই কর্মরত স্থানে না থেকে বাড়িতে বসে বিভিন্ন টেন্ডারবাজির সাথে
জড়িত রয়েছেন। অন্যদিকে মীরগঞ্জ খেয়াঘাটের ইজারাদার আলমগীর হোসন সুমন রাড়ী’কে মুঠোফোনে কল করলে ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
এদিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট আমীনুল ইসলাম অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে সকালের সংবাদ’কে জানান, তার কাছে অনেকেই অভিযোগ করেছেন বাড়তি ভাড়া ও হামলা হওয়ার বিষয়ে। তবে এর দায়ভার জেলা পরিষদের তারাই দুর্নীতি করার সুযোগ করে দিচ্ছে ইজারাদার’কে। তারপরও জেলা পরিষদ আমাকে লিখিত ভাবে চিঠি পাঠালে আমি তাৎক্ষনিক ভাবে ব্যবস্থ গ্রহন করবো।
জেলা পরিষদের নির্বাহী অফিসার মানিকহার রহমান’কে বার বার মুঠোফোন ও সরকারি টেলিফোনে কল করলেও তিনি ফোন ধরেন
নি।
মাননীয় সংসদ গোলাম কিবরিয়া টিপু সকালের সংবাদ’কে জানান, এবিষয়ে তার কাছে একটি লিখিত অভিযোগ আসেছে। তিনি আরো বলেন আমি চার উপজেলার মানুষের হয়রানি মূলক বাড়তি ভাড়া নেয়ার বিষয়ে খেয়াঘাট নিয়ে
জাতীয় সংসদেও আলোচনা করেছে। তবে খুব অচিরেই সিন্ডিকেট ধারীদের দৌরাত্ম্য থামতে ও র্নিমূল করতে সক্ষম হব।
স্থানীয় রাজনীতিবিদ বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান কাজী ইমদাদুল হক দুলাল’কে মুঠোফোনে না পেয়ে। উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান সরদার খালেদ হোসেন স্বপন ফোনে জানান, আমি চেয়ারম্যান
থাকা কালীন এমন অভিযোগ ছিলনা। তবুও খেয়াঘাটে যাত্রী বিড়ম্বনার কথা শুনলেই প্রশাসনার মাধ্যমে তাৎক্ষনিক ব্যবস্থা গ্রহন করেছি।
এদিকে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মৃধা মুহাম্মাদ আক্তারউজ্জামান মিলন বলেন, মীরগঞ্জ খেয়াঘাটের ইজারাদার সুমন রাড়ী কথিত
আওমীলীগধারী ও দলিল লেখক তিনি হিজলা, মুলাদী ও মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার মানুষ’কে জিম্মি করে রেখেছেন। তার নামে আরো অনেক অভিযোগ রয়েছে তিনি খেয়াঘাটে বসে মানুষের উপর
যুলুম অত্যচার ও র্নিযাতনের করেন। রাজগুর
খেয়াঘাটের বিষয়ে কছিুই মন্তব্য করতে চায়নি আক্তারউজ্জামান মিলন।