ঢাকা ০৬:২৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ১২ মে ২০২৫, ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo গণপূর্তে পীরের কেরামতি: পাহাড়সম দুর্নীতির অভিযোগ থাকলেও প্রধান প্রকৌশলী চেয়ারে বহাল! Logo ডিবির অভিযানে দোহার থানা আওয়ামী লীগের সম্পাদকসহ পাঁচজন গ্রেফতার Logo অবসরে গেলেও ফায়ার সার্ভিসের দুর্নীতির মাস্টারমাইন্ড লেফটেন্যান্ট কর্নেল জুলফিকার – পর্ব ১ Logo ১০০ কেজি গাঁজা ও কাভার্ড পিকআপসহ দুই মাদক কারবারি ডিবির হাতে গ্রেফতার Logo আলোচিত দুর্নীতিবাজ জনস্বাস্থ্য অধিদফতরের নির্বাহী প্রকৌশলী মঈনুল বহাল তবিয়তে!  Logo বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান ও পরিবারের শেয়ার, ব্যাংক হিসাব বন্ধের নির্দেশ  Logo দশমিনায় যুবদল নেতাকে জড়িয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রচার এর প্রতিবাদে মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন Logo কেরানীগঞ্জ মডেল ভূমি অফিস যেন ঘুষের আস্তানা: এসিল্যান্ড থেকে পিয়ন সবাই এক আত্মা!  Logo শেখ সোহেলের সহচর কাউট রাজু গ্রুপের তাণ্ডব: অস্ত্র ঠেকিয়ে প্রাণনাশের হুমকি Logo পদোন্নতি,বদলি. কেনাকাটায় পাহাড়সম দুর্নীতি ফায়ার সার্ভিস অধিদপ্তরে: দুদকের বিশেষ অভিযান

লকডাউন নির্দেশনা উপেক্ষা করে রাজাকার পূত্রের বিক্ষোভ মিছিল!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৩৬:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১ ৩৬৭ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক: পিতা ছিলেন পাকিস্তানের দালাল চিহ্নিত রাজাকার রফিক চেয়ারম্যান। রাজাকার রফিক চেয়ারম্যানের জীবদ্দশায় কোন দিন স্বাধীন বাংলাদেশকে মেনে নেয়নি। তার সন্তান মাকসুদ হোসেন চেয়ারম্যান ও আজও পর্যন্ত বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে মনে প্রাণে মেনে নিতে পারেননি। আর এরই কারণে দেশের স্বার্থে সরকারী বিভিন্ন নির্দেশনাকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে এই মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে লকডাউন থাকার পরও আজ সকালে বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রামের হাজার হাজার গ্রামবাসী নিয়ে মুছাপুর আ’লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমানকে বিতর্কিত করতে বিএনপি নেতা শাখাওয়াতসহ নিজের পক্ষে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন রাজাকার পুত্র মাকসুদ চেয়ারম্যান।

উল্লেখ্য,গত শুক্রবার মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান ও তার ভাইয়ের বাড়িতে মাকসুদ চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা শাখাওয়াত হোসেন শাখা’র নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে বাড়ীঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পরবর্তিতে ভুক্তভোগী পরিবার কোন পুলিশের সহযোগীতা না পাওয়ায় এবং ন্যায় বিচার না পাওয়ায় এ ঘটনায় স্থানীয় পত্রিকাসহ জাতীয় সংবাদ পত্রে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় নিজের অপকর্ম ঢাকার জন্য আজ সকালে লকডাউন ভঙ্গ করে বিক্ষোভ মিছিল করে মাকসুদ চেয়ারম্যান। এলাকাবাসী আরও জানান,কিছুদিন আগেও লকডাউন থাকা অবস্থায় মাকসুদ চেয়ারম্যান স্থানীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমানকে দিয়ে নিজেকে আবারও চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষনা দেয়ার জন্য হাজার হাজার গ্রামবাসীকে নিয়ে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেন। রহস্যজনক কারণে তখনো নিরব ভূমিকায় ছিলো বন্দর উপজেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি দিপক চন্দ্র সাহা বলেন,লকডাউন চলা অবস্থায় গ্রামবাসী নিয়ে এভাবে বিক্ষোভ মিছিল করা সম্পর্কে আমাকে কেউ জানায়নি বা পূর্বানুমতিও নেয়নি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

লকডাউন নির্দেশনা উপেক্ষা করে রাজাকার পূত্রের বিক্ষোভ মিছিল!

আপডেট সময় : ১২:৩৬:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৮ এপ্রিল ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক: পিতা ছিলেন পাকিস্তানের দালাল চিহ্নিত রাজাকার রফিক চেয়ারম্যান। রাজাকার রফিক চেয়ারম্যানের জীবদ্দশায় কোন দিন স্বাধীন বাংলাদেশকে মেনে নেয়নি। তার সন্তান মাকসুদ হোসেন চেয়ারম্যান ও আজও পর্যন্ত বাংলাদেশকে স্বাধীন দেশ হিসেবে মনে প্রাণে মেনে নিতে পারেননি। আর এরই কারণে দেশের স্বার্থে সরকারী বিভিন্ন নির্দেশনাকে গুরুত্ব না দিয়ে নিজেদের অপকর্ম ঢাকতে এই মহামারী করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে লকডাউন থাকার পরও আজ সকালে বন্দর উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের প্রায় ১০টি গ্রামের হাজার হাজার গ্রামবাসী নিয়ে মুছাপুর আ’লীগের সভাপতি মুজিবুর রহমানকে বিতর্কিত করতে বিএনপি নেতা শাখাওয়াতসহ নিজের পক্ষে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন রাজাকার পুত্র মাকসুদ চেয়ারম্যান।

উল্লেখ্য,গত শুক্রবার মুছাপুর ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মুজিবুর রহমান ও তার ভাইয়ের বাড়িতে মাকসুদ চেয়ারম্যান ও বিএনপি নেতা শাখাওয়াত হোসেন শাখা’র নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে বাড়ীঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালানো হয়। পরবর্তিতে ভুক্তভোগী পরিবার কোন পুলিশের সহযোগীতা না পাওয়ায় এবং ন্যায় বিচার না পাওয়ায় এ ঘটনায় স্থানীয় পত্রিকাসহ জাতীয় সংবাদ পত্রে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় নিজের অপকর্ম ঢাকার জন্য আজ সকালে লকডাউন ভঙ্গ করে বিক্ষোভ মিছিল করে মাকসুদ চেয়ারম্যান। এলাকাবাসী আরও জানান,কিছুদিন আগেও লকডাউন থাকা অবস্থায় মাকসুদ চেয়ারম্যান স্থানীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা একেএম সেলিম ওসমানকে দিয়ে নিজেকে আবারও চেয়ারম্যান হিসেবে ঘোষনা দেয়ার জন্য হাজার হাজার গ্রামবাসীকে নিয়ে বিশাল সমাবেশের আয়োজন করেন। রহস্যজনক কারণে তখনো নিরব ভূমিকায় ছিলো বন্দর উপজেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি দিপক চন্দ্র সাহা বলেন,লকডাউন চলা অবস্থায় গ্রামবাসী নিয়ে এভাবে বিক্ষোভ মিছিল করা সম্পর্কে আমাকে কেউ জানায়নি বা পূর্বানুমতিও নেয়নি।