ঢাকা ১১:৪০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের অঙ্গীকারঃ ড. তৌফিক রহমান চৌধুরী  Logo মেট্রোপলিটন ইউনিভার্সিটির নতুন বাসের উদ্বোধন Logo মানসম্পন্ন শিক্ষা নিশ্চিত করতে শিক্ষকদের ভূমিকা অগ্রগণ্য: ভিসি প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জহিরুল হক Logo মঙ্গল শোভাযাত্রা – তাসফিয়া ফারহানা ঐশী Logo সাস্টিয়ান ব্রাহ্মণবাড়িয়া এর ইফতার মাহফিল সম্পন্ন Logo কুবির চট্টগ্রাম স্টুডেন্টস ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের ইফতার ও পূর্নমিলনী Logo অধ্যাপক জহীর উদ্দিন আহমেদের মায়ের মৃত্যুতে শাবির মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মুক্ত চিন্তা চর্চায় ঐক্যবদ্ধ শিক্ষকবৃন্দ পরিষদের শোক প্রকাশ Logo শাবির অধ্যাপক জহীর উদ্দিনের মায়ের মৃত্যুতে উপাচার্যের শোক প্রকাশ Logo বিশ কোটিতে গণপূর্তের প্রধান হওয়ার মিশনে ‘ছাত্রদল ক্যাডার প্রকৌশলী’! Logo দূর্নীতির রাক্ষস ফায়ার সার্ভিসের এডি আনোয়ার!




বিধিনিষেধ শিথিলের আগেই যেন সব স্বাভাবিক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:৫৭:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২১ ৯৩ বার পড়া হয়েছে

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক বিধিনিষেধ শেষ হচ্ছে আগামী ২৮ এপ্রিল। তার আগেই রাজধানীর অধিকাংশ সড়কে লক্ষ্য করা গেছে ঢিলেঢালাভাব। যানবাহনের পাশাপাশি বেড়েছে মানুষেরও উপস্থিতি। যেন স্বাভাবিক হতে চলেছে সবকিছুই।

এদিকে বিধিনিষেধ শুরুর দিকে রাজধানীজুড়ে পুলিশের সক্রিয় কার্যক্রম লক্ষ্য করা গেলেও এখনকার চিত্র ভিন্ন। অধিকাংশ চেকপোস্টে পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও চোখে পড়েনি কার্যক্রম।

রাজধানীর উত্তর বাড্ডা ও প্রগতির সরণী সড়কে শনিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা ও প্রাইভেটকারের অবাধ চলাচল ছিল। এছাড়া ফুটপাত ও অলি-গলিতে মানুষের উপস্থিতও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। চেকপোস্টগুলোয় ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও তল্লাশি করা হচ্ছে না মুভমেন্ট পাস। কে জরুরি কাজে আর কে অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হয়েছে তা দেখার কেউ নেই।

অফিসগামীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা জরুরি কাজে অথবা অফিস যাওয়ার জন্য বিধিনিষেধের সব নিয়ম মেনেই রাস্তায় বের হয়েছেন। কিন্তু রাস্তায় অনেক মানুষ বের হয়েছে যাদের জরুরি কাজ কিংবা অফিসেও যেতে হচ্ছে না। তারা রাস্তায় বের হয়ে বিধিনিষেধের কোনো তোয়াক্কা করছেন না।

মো.মনির নামে বেসরকারি একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা অফিসে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি বলেন, সকালে ঘুম থেকে ওঠে সব নিয়ম মেনেই রাস্তায় বের হয়েছি। কিন্তু বাসা থেকে বের হয়ে দেখি অলি-গলি থেকে শুরু করে দোকানে অনেক মানুষ বসে আড্ডা দিচ্ছে। কেউ চায়ের স্টলে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। আবার কেউ রাস্তার পাশে বসেই গল্প করছেন।

এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালকরা নিয়ম না মেনেই সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। বিধিনিষেধের আগে যেভাবে ডেকে যাত্রী ওঠাতেন এখন একই কায়দায় মোটরসাইকেলে যাত্রী নিচ্ছেন তারা। যদিও বিধিনিষেধ চলাকালীন মোটরসাইকেলে যাত্রী চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাস্তায় কেউ নিয়ম মানছেন না। তাহলে তারা ঘরে বসে আর কী করবেন? যেহেতু মানুষ ঘর থেকে বের হয়েছে তাই তারাও বের হয়েছেন।

রাজধানীর নতুন বাজার পুলিশ চেকপোস্টের অল্প দূরত্বে যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে মোটরসাইকেল চালকদের। তাদের মধ্যে একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সবাই জীবন জীবিকার জন্য রাস্তায় বের হয়েছে। কেউ তো আর আগের মতো বিধিনিষেধ মানছেন না। তাহলে আমরা ঘরে বসে থেকে না খেয়ে কেনো মরবো? তাই জীবিকার তাগিদেই আমরা রাস্তায় নেমেছি।

এ বিষয়ে কথা বলতে চেকপোস্টে দায়িত্বরত একাধিক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ সদস্য বলেন, রাস্তায় বের হওয়া অনেকেই নিয়ম মানছেন না। তবে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। অধিকাংশ মানুষ নিয়ম মানছে না বলেই চেকপোস্টের কার্যক্রমে ঢিলেঢালাভাব লক্ষ্য করা গেছে। তবে যারা রাস্তায় বের হওয়ার উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারছেন না তাদের জরিমানা করা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




বিধিনিষেধ শিথিলের আগেই যেন সব স্বাভাবিক

আপডেট সময় : ০১:৫৭:২৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২১

নিজস্ব প্রতিবেদক:

সরকার ঘোষিত সর্বাত্মক বিধিনিষেধ শেষ হচ্ছে আগামী ২৮ এপ্রিল। তার আগেই রাজধানীর অধিকাংশ সড়কে লক্ষ্য করা গেছে ঢিলেঢালাভাব। যানবাহনের পাশাপাশি বেড়েছে মানুষেরও উপস্থিতি। যেন স্বাভাবিক হতে চলেছে সবকিছুই।

এদিকে বিধিনিষেধ শুরুর দিকে রাজধানীজুড়ে পুলিশের সক্রিয় কার্যক্রম লক্ষ্য করা গেলেও এখনকার চিত্র ভিন্ন। অধিকাংশ চেকপোস্টে পুলিশের উপস্থিতি থাকলেও চোখে পড়েনি কার্যক্রম।

রাজধানীর উত্তর বাড্ডা ও প্রগতির সরণী সড়কে শনিবার (২৪ এপ্রিল) সকাল থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা ও প্রাইভেটকারের অবাধ চলাচল ছিল। এছাড়া ফুটপাত ও অলি-গলিতে মানুষের উপস্থিতও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। চেকপোস্টগুলোয় ঘণ্টা পার হয়ে গেলেও তল্লাশি করা হচ্ছে না মুভমেন্ট পাস। কে জরুরি কাজে আর কে অপ্রয়োজনে রাস্তায় বের হয়েছে তা দেখার কেউ নেই।

অফিসগামীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, তারা জরুরি কাজে অথবা অফিস যাওয়ার জন্য বিধিনিষেধের সব নিয়ম মেনেই রাস্তায় বের হয়েছেন। কিন্তু রাস্তায় অনেক মানুষ বের হয়েছে যাদের জরুরি কাজ কিংবা অফিসেও যেতে হচ্ছে না। তারা রাস্তায় বের হয়ে বিধিনিষেধের কোনো তোয়াক্কা করছেন না।

মো.মনির নামে বেসরকারি একটি ব্যাংকের কর্মকর্তা অফিসে যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তিনি বলেন, সকালে ঘুম থেকে ওঠে সব নিয়ম মেনেই রাস্তায় বের হয়েছি। কিন্তু বাসা থেকে বের হয়ে দেখি অলি-গলি থেকে শুরু করে দোকানে অনেক মানুষ বসে আড্ডা দিচ্ছে। কেউ চায়ের স্টলে বসে আড্ডা দিচ্ছেন। আবার কেউ রাস্তার পাশে বসেই গল্প করছেন।

এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালকরা নিয়ম না মেনেই সড়কে অবস্থান নিয়েছেন। বিধিনিষেধের আগে যেভাবে ডেকে যাত্রী ওঠাতেন এখন একই কায়দায় মোটরসাইকেলে যাত্রী নিচ্ছেন তারা। যদিও বিধিনিষেধ চলাকালীন মোটরসাইকেলে যাত্রী চলাচল নিষিদ্ধ করেছে সরকার।

চালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রাস্তায় কেউ নিয়ম মানছেন না। তাহলে তারা ঘরে বসে আর কী করবেন? যেহেতু মানুষ ঘর থেকে বের হয়েছে তাই তারাও বের হয়েছেন।

রাজধানীর নতুন বাজার পুলিশ চেকপোস্টের অল্প দূরত্বে যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করতে দেখা গেছে মোটরসাইকেল চালকদের। তাদের মধ্যে একজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সবাই জীবন জীবিকার জন্য রাস্তায় বের হয়েছে। কেউ তো আর আগের মতো বিধিনিষেধ মানছেন না। তাহলে আমরা ঘরে বসে থেকে না খেয়ে কেনো মরবো? তাই জীবিকার তাগিদেই আমরা রাস্তায় নেমেছি।

এ বিষয়ে কথা বলতে চেকপোস্টে দায়িত্বরত একাধিক পুলিশ সদস্যের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তারা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি। তবে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক পুলিশ সদস্য বলেন, রাস্তায় বের হওয়া অনেকেই নিয়ম মানছেন না। তবে আমরা আমাদের দায়িত্ব পালন করছি। মানুষকে বোঝানোর চেষ্টা করছি। অধিকাংশ মানুষ নিয়ম মানছে না বলেই চেকপোস্টের কার্যক্রমে ঢিলেঢালাভাব লক্ষ্য করা গেছে। তবে যারা রাস্তায় বের হওয়ার উপযুক্ত কারণ দেখাতে পারছেন না তাদের জরিমানা করা হচ্ছে।