মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে পটুয়াখালী ধুলিয়ায় নাটকীয় জিডি
- আপডেট সময় : ০৯:৫৯:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১ ১০৫ বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক: পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার ধুলিয়ায় মিথ্যা মামলায় ফাঁসাতে থানায় নাটকীয় অভিযোগ দায়ের করেছে স্থানীয় আব্দুর রহমান। জানা গেছে, ধুলিয়া ইউনিয়নের হোসনাবাদ গ্রামের বাসিন্দা মোশারফ হোসেন দির্ঘদিন যাবত ঢাকায় সাংবাদিকতা পেশায় নিয়োজিত ছিলেন। কয়েক বছর পুর্বে তিনি গ্রামের বাড়ি চলে আসেন। এরপর থেকেই মোশারফের মেঝো ভাই ফোরকান ও ছোট ভাই আব্দুর রহমান তাকে এলাকা থেকে বিতরিত করে সকল জমি জমা আত্মসাৎ করতে মরিয়া হয়ে ওঠে। মোশারফ হোসেনের বাবা মোক্তার আলী মারা যাওয়ার আগে ৪ছেলে ও ৩মেয়ে রেখে গেছেন।
ইতিমধ্যে আব্দুর রহমান ও ফোরকানের অত্যাচারে সেঝো ভাই মিজানুর রহমান এলাকায় তার সকল সম্পত্তি বিক্রি করে অন্য এলাকায় চলে গেছেন। এর আগে মিজানুর রহমানকেও বিভিন্ন হয়রানি করে আব্দুর রহমান ও ফোরকান। এ বিষয়ে এলাকায় একাধিকবার সালিশ মিমাংসা ও থানায় অভিযোগ এবং সাধারন ডায়েরি (জিডি) করেছিলেন মিজানুর রহমান। পরে মিজানুর বাধ্য হয়ে জমিজমা বিক্রি করে চলে যায়।
একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করতে আবারো মরিয়া হয়ে উঠেছে তারা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাউফল থানায় মোশারফ ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করে আব্দুর রহমান।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওইদিন দুপুরে মোশারফের ছোট ছেলে কাইফ (১১) ও ফোরকানের ছোট ছেলে তুহিন (১৪) দুষ্টুমির ছলে ধাক্কাধাক্কি করে। এতে মোশারফের ছেলে কাইফ সামান্য আঘাতপ্রাপ্ত হয়।
এই সুযোগকে পুঁজি করে আব্দুর রহমান তার বড় ভাই মোশারফকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়ে থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এবং হাসপাতালে অসুস্থতার নাটক সাজিয়ে তুহিনকে ভর্তি করেন।
স্থানীয় কয়েকজন জানায়, মোশারফকে এলাকা থেকে বিতরিত করতে আব্দুর রহমানকে এলাকার একটি প্রভাবশালী মহল সেল্টার ও কুপরামর্শ দিয়ে আসছে।
এবিষয়ে বাউফল থানার ওসি জানান, বিষয়টি তারা তদন্ত তদন্ত করে দেখবেন।
জানা গেছে, ধুলিয়াতে ইতিমধ্যে বিভিন্ন রাজনৈতিক কোন্দ্রলে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। আর ঘটনাটিকেও রাজনৈতিক হাতিয়ার করতেও অনেকে মরিয়া হয়ে উঠেছে বলেও জানা গেছে। তবে ঘটনাটির সাথে কোন রাজনৈতিক সম্পর্ক নেই বলে জানান ভুক্তভোগী মোশারফ হোসেন।
তিনি জানান, দির্ঘদিন ধরেই ফোরকান ও আব্দুর রহমান তাকে নানা ভাবে হয়রানি করার পায়তারা করে আসছে।
বিষয়টি এলাকার সকলেই জানেন।