ঢাকা ০৪:১৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০ বঙ্গাব্দ




মানিকনগর পুলিশ ফাঁড়িতে চাঁদাবাজি: দিশেহারা দরিদ্র্য ব্যবসায়ীরা!

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০৫:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১ ১০৩ বার পড়া হয়েছে

এসএম রাজু আহমেদঃ রাজধানীর মানিকনগর পুকুরপাড় সংলগ্ন রাস্তা দখল করে কাঁচা বাজার বসিয়ে দৈনিক অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছেন মুগদা থানাধীন মানিকনগর ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই মাসুদ রানা, এএসআই কামাল,এএসআই খালেক, এএসআই ইব্রাহীম ও তাদের কন্সটেবল তাজুল ইসলাম তাজু। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরে কন্সটেবল তাজু বদলী হয়ে রামপুরা থানায় চলে গেলেও ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই মাসুদ রানা সহ অপরাপরেরা রয়ে গেছেন বহাল তবিয়তে। তবে কৌশল পরিবর্তন করে চাঁদা আদায়ের পরিমান বাড়িয়ে দিয়েছেন তারা। চাঁদা কালেকশনকারী কন্সটেবল তাজু না থাকলেও রয়েছে তার নির্ধারিত লাইলম্যান রবিউল ওরফে রবি, ইব্রাহীম, জালাল, সোনিয়ার মা, কবির ও নুর ইসলাম। এই লাইনম্যানেরা প্রতিদিন চাঁদা আদায় করে সন্ধার পরে জমা দেন কন্সটেবল তাজুর কাছে। কন্সটেবল তাজু প্রতিদিন সন্ধায় রামপুরা থেকে মানিকনগরে চলে আসেন টাকা নেয়ার জন্যে, এমননি তাজু নিজে উপস্থিত থেকেই এই চাঁদা লাইনম্যান দিয়ে কালেকশন করেন। অতপর কন্সটেবল তাজু নিজের ভাগের টাকা রেখে অবশিষ্ট টাকা সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ভাগ-বন্টন করে বুঝিয়ে দেন নিয়মিত। তবে কন্সটেবল তাজু প্রতি শুক্রবারে নিজেই দোকানে দোকানে ঘুরে চাঁদা আদায় করেন। এদিকে এসআই মাসুদের মন্তব্য দোকানদাররা গরীব মানুষ, তাই তাদেরকে রাস্তার উপরে বসতে দেয়া হয়েছে। কিন্তু দোকান প্রতি দৈনিক ৩শ থেকে ৪শ টাকা আদায় করেন কেন এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হলেও তাদেরকে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা গেছে, মানিকনগর পুকুরপাড়ের প্রধান রাস্তা দখল করে বসানো হয়েছে কাঁচা বাজার। মাছের দোকান, সবজির দোকান, মাংসের দোকান সহ নানা ধরনের অন্তত ৩ শতাধিক দোকান রয়েছে এই বাজারে। পুলিশের চার গ্রুপের জন্য প্রতিটি দোকান থেকে দৈনিক ৫০ টাকা থেকে শুরু সর্বোচ্চ ৪শ টাকা করে চাঁদা আদায় করেন কন্সটেবল তাজুর নিয়ন্ত্রনাধীন লাইনম্যান রবিউল ওরফে রবি, ইব্রাহীম, জালাল, সোনিয়ার মা, কবির ও নুর ইসলাম। আর এই টাকা থেকে প্রতিদিন ৯হাজার টাকা করে ভাগ দেয়া হয় ফাঁড়ির এসআই মাসুদ রানাকে, ৫ হাজার টাকা এসআই খালেক, ৫ হাজার টাকা এসআই ইব্রাহীম, ৫ হাজার টাকা মুগদা থানার প্রতিদিনের ডিউটি গ্রুপে অন্যান্য কন্সটেবলসহ কন্সটেবল তাজু ১০ হাজার এবং লাইনম্যানরা পায় ১শ থেকে ২শ টাকা হারে। আর বাকি টাকা অন্যদের মধ্যে ভাগবন্টন করে দিয়ে একটি অংশ পায় কন্সটেবল তাজু এমনটাই জানায় লাইনম্যানরা। বিগত ৬বছর ধরে খুবই দাপটের সাথে এই কাজটি চালিয়ে আসছে কন্সটেবল তাজু। সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরে তাজু বদলী হয়ে রামপুরা থানা চলে যায়। কিন্তু চাঁদা তার নিয়ন্ত্রনেই আদায় করা হচ্ছে।
দোকানদাদের জিজ্ঞেস করলে জানা যায়, নিউজের পরে তাজু রামপুরা থানায় চলে গেলেও প্রতিদিন সন্ধায় তিনি মানিকনগরে চলে আসে। আগে সে নিজেই লাইনম্যানদের পাশে থেকে টাকা কালেকশন করতো। এখন রবিউল ওরফে রবি, ইব্রাহীম, জালাল, সোনিয়ার মা, কবির ও নুর ইসলাম।
নাম প্রকাশে এক মাছের দোকানদার বলেন, এই বাজারের নিয়ন্ত্রন হলো ফাড়ির পুলিশ মাসুদ স্যারের হাতে। আর তাকে সহযোগিতা করে কন্সটেবল তাজু। কন্সটেবল তাজু চলে গেছে কিন্তুয়া টাকা উঠানোর জন্য রেখে গেছে লাইনম্যান রেখে গেছে। এরাই প্রতিদিন টাকা উঠায়। তাছাড়া এখন চাঁদার পরিমান বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদেরকে প্রতিদিন ৪শ টাকা হারে মাসে অন্তত ১২ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে এই দোকানটি চালাতে হয়। এছাড়া কোন উপায় নেই। কেউ টাকা দিতে না চাইলে তাকে মারধর করে ফাঁদে ফেলানো হয়। কয়েক দিন আগে দুই দোকানদারের মধ্যে মন-মালিন্য হয়। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে কন্সটেবল তাজু ও তার লোকজন জালাল নামের এক সবজির দোকানদারকে মারধর করে তার কাছ থেকে ৫হাজার টাকা জরিমানা বাবদ হাতিয়ে নেয়। আবার পুলিশ মাসুদ স্যার জালালকে ফাড়িতে ডেকে নিয়ে আরো ১ হাজার টাকা আদায় করেন। কন্সটেবল তাজুর কাছে বাজারটি এখনো চাঁদা আদায়ের ফ্যাক্টরি। প্রতি শুক্রবারে সে নিজেই টাকা আদায় করে।
সুত্র জানায়, শুধুমাত্র বাজার থেকেই এসআই মাসুদ রানার ইনকাম মাসে আড়াই লাখ টাকার উপরে। আর কন্সটেবল তাজু পায় দৈনিক ৬ হাজার টাকা করে। তবে কন্সটেবল তাজু মানিকনগর ফাঁড়ির আওতাধীন প্রতি রিক্সার গ্যারেজ সহ ফুটপাতের অন্যান্য দোকান থেকে চাঁদা আদায় করে থাকেন। এর মধ্যে মানিকনগর ঋষিবাড়ী অন্যতম।
লাইনম্যান ইব্রাহীমকে জিজ্ঞেস করলে বলেন, আমি এই বাজারের দোকানদার, আইসি (ফাঁড়ি ইনচার্জ) মাসুদ স্যারের নির্দেশে তার জন্য প্রতি দোকান থেকে দৈনিক ১শ টাকা করে উঠায়ে দেই। আমাকে ইনচার্জ না করে দিলে আমি আর একাজ করবো না।
লাইনম্যান জালাল জানায়, সে ফাঁড়ির দুই গ্রুপের ও থানার একগ্রুপের জন্য প্রতি দোকান থেকে দৈনিক ৩শ টাকা হারে আদায় করেন। পুরো বাজারেই এভাবে ৭জন লাইনম্যান টাকা আদায় করে। ৮০ থেকে ৯০টি দোকানে প্রতি দিন ৪শ টাকা এবং অন্যান্য দোকানে ৩০ থেকে ৫০ টাকা হারে টাকা আদায় করা হয়।
মানিকনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মাসুদ রানা বলেন, রাস্তা দখল করে বাজার বসানো সম্পূর্ন অবৈধ। কিন্তু এরা গরীব মানুষ তাই কিছু করিনা।
ডিএমপির (পেট্রোল খিলগাও) জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাহারুল ইসলাম পিপিএম বলেন, কেউ এসব কাজে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি।
এব্যাপারে মতিঝিল বিভাগের ডিসি সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে আমার জানা নেই, জেনে ব্যববস্থা নিচ্ছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




মানিকনগর পুলিশ ফাঁড়িতে চাঁদাবাজি: দিশেহারা দরিদ্র্য ব্যবসায়ীরা!

আপডেট সময় : ০৯:০৫:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২১

এসএম রাজু আহমেদঃ রাজধানীর মানিকনগর পুকুরপাড় সংলগ্ন রাস্তা দখল করে কাঁচা বাজার বসিয়ে দৈনিক অন্তত ৩০ থেকে ৩৫ হাজার টাকা চাঁদা আদায় করছেন মুগদা থানাধীন মানিকনগর ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই মাসুদ রানা, এএসআই কামাল,এএসআই খালেক, এএসআই ইব্রাহীম ও তাদের কন্সটেবল তাজুল ইসলাম তাজু। বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে এমন সংবাদ প্রকাশ হওয়ার পরে কন্সটেবল তাজু বদলী হয়ে রামপুরা থানায় চলে গেলেও ফাঁড়ি ইনচার্জ এসআই মাসুদ রানা সহ অপরাপরেরা রয়ে গেছেন বহাল তবিয়তে। তবে কৌশল পরিবর্তন করে চাঁদা আদায়ের পরিমান বাড়িয়ে দিয়েছেন তারা। চাঁদা কালেকশনকারী কন্সটেবল তাজু না থাকলেও রয়েছে তার নির্ধারিত লাইলম্যান রবিউল ওরফে রবি, ইব্রাহীম, জালাল, সোনিয়ার মা, কবির ও নুর ইসলাম। এই লাইনম্যানেরা প্রতিদিন চাঁদা আদায় করে সন্ধার পরে জমা দেন কন্সটেবল তাজুর কাছে। কন্সটেবল তাজু প্রতিদিন সন্ধায় রামপুরা থেকে মানিকনগরে চলে আসেন টাকা নেয়ার জন্যে, এমননি তাজু নিজে উপস্থিত থেকেই এই চাঁদা লাইনম্যান দিয়ে কালেকশন করেন। অতপর কন্সটেবল তাজু নিজের ভাগের টাকা রেখে অবশিষ্ট টাকা সংশ্লিষ্টদের মধ্যে ভাগ-বন্টন করে বুঝিয়ে দেন নিয়মিত। তবে কন্সটেবল তাজু প্রতি শুক্রবারে নিজেই দোকানে দোকানে ঘুরে চাঁদা আদায় করেন। এদিকে এসআই মাসুদের মন্তব্য দোকানদাররা গরীব মানুষ, তাই তাদেরকে রাস্তার উপরে বসতে দেয়া হয়েছে। কিন্তু দোকান প্রতি দৈনিক ৩শ থেকে ৪শ টাকা আদায় করেন কেন এমন প্রশ্নের কোন সদুত্তর পাওয়া যায়নি। এবিষয়ে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করা হলেও তাদেরকে কোন পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি।

সরেজমিনে অনুসন্ধানে গিয়ে জানা গেছে, মানিকনগর পুকুরপাড়ের প্রধান রাস্তা দখল করে বসানো হয়েছে কাঁচা বাজার। মাছের দোকান, সবজির দোকান, মাংসের দোকান সহ নানা ধরনের অন্তত ৩ শতাধিক দোকান রয়েছে এই বাজারে। পুলিশের চার গ্রুপের জন্য প্রতিটি দোকান থেকে দৈনিক ৫০ টাকা থেকে শুরু সর্বোচ্চ ৪শ টাকা করে চাঁদা আদায় করেন কন্সটেবল তাজুর নিয়ন্ত্রনাধীন লাইনম্যান রবিউল ওরফে রবি, ইব্রাহীম, জালাল, সোনিয়ার মা, কবির ও নুর ইসলাম। আর এই টাকা থেকে প্রতিদিন ৯হাজার টাকা করে ভাগ দেয়া হয় ফাঁড়ির এসআই মাসুদ রানাকে, ৫ হাজার টাকা এসআই খালেক, ৫ হাজার টাকা এসআই ইব্রাহীম, ৫ হাজার টাকা মুগদা থানার প্রতিদিনের ডিউটি গ্রুপে অন্যান্য কন্সটেবলসহ কন্সটেবল তাজু ১০ হাজার এবং লাইনম্যানরা পায় ১শ থেকে ২শ টাকা হারে। আর বাকি টাকা অন্যদের মধ্যে ভাগবন্টন করে দিয়ে একটি অংশ পায় কন্সটেবল তাজু এমনটাই জানায় লাইনম্যানরা। বিগত ৬বছর ধরে খুবই দাপটের সাথে এই কাজটি চালিয়ে আসছে কন্সটেবল তাজু। সম্প্রতি বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পরে তাজু বদলী হয়ে রামপুরা থানা চলে যায়। কিন্তু চাঁদা তার নিয়ন্ত্রনেই আদায় করা হচ্ছে।
দোকানদাদের জিজ্ঞেস করলে জানা যায়, নিউজের পরে তাজু রামপুরা থানায় চলে গেলেও প্রতিদিন সন্ধায় তিনি মানিকনগরে চলে আসে। আগে সে নিজেই লাইনম্যানদের পাশে থেকে টাকা কালেকশন করতো। এখন রবিউল ওরফে রবি, ইব্রাহীম, জালাল, সোনিয়ার মা, কবির ও নুর ইসলাম।
নাম প্রকাশে এক মাছের দোকানদার বলেন, এই বাজারের নিয়ন্ত্রন হলো ফাড়ির পুলিশ মাসুদ স্যারের হাতে। আর তাকে সহযোগিতা করে কন্সটেবল তাজু। কন্সটেবল তাজু চলে গেছে কিন্তুয়া টাকা উঠানোর জন্য রেখে গেছে লাইনম্যান রেখে গেছে। এরাই প্রতিদিন টাকা উঠায়। তাছাড়া এখন চাঁদার পরিমান বাড়িয়ে দিয়েছে। তাদেরকে প্রতিদিন ৪শ টাকা হারে মাসে অন্তত ১২ হাজার টাকা চাঁদা দিয়ে এই দোকানটি চালাতে হয়। এছাড়া কোন উপায় নেই। কেউ টাকা দিতে না চাইলে তাকে মারধর করে ফাঁদে ফেলানো হয়। কয়েক দিন আগে দুই দোকানদারের মধ্যে মন-মালিন্য হয়। এই সুযোগটি কাজে লাগিয়ে কন্সটেবল তাজু ও তার লোকজন জালাল নামের এক সবজির দোকানদারকে মারধর করে তার কাছ থেকে ৫হাজার টাকা জরিমানা বাবদ হাতিয়ে নেয়। আবার পুলিশ মাসুদ স্যার জালালকে ফাড়িতে ডেকে নিয়ে আরো ১ হাজার টাকা আদায় করেন। কন্সটেবল তাজুর কাছে বাজারটি এখনো চাঁদা আদায়ের ফ্যাক্টরি। প্রতি শুক্রবারে সে নিজেই টাকা আদায় করে।
সুত্র জানায়, শুধুমাত্র বাজার থেকেই এসআই মাসুদ রানার ইনকাম মাসে আড়াই লাখ টাকার উপরে। আর কন্সটেবল তাজু পায় দৈনিক ৬ হাজার টাকা করে। তবে কন্সটেবল তাজু মানিকনগর ফাঁড়ির আওতাধীন প্রতি রিক্সার গ্যারেজ সহ ফুটপাতের অন্যান্য দোকান থেকে চাঁদা আদায় করে থাকেন। এর মধ্যে মানিকনগর ঋষিবাড়ী অন্যতম।
লাইনম্যান ইব্রাহীমকে জিজ্ঞেস করলে বলেন, আমি এই বাজারের দোকানদার, আইসি (ফাঁড়ি ইনচার্জ) মাসুদ স্যারের নির্দেশে তার জন্য প্রতি দোকান থেকে দৈনিক ১শ টাকা করে উঠায়ে দেই। আমাকে ইনচার্জ না করে দিলে আমি আর একাজ করবো না।
লাইনম্যান জালাল জানায়, সে ফাঁড়ির দুই গ্রুপের ও থানার একগ্রুপের জন্য প্রতি দোকান থেকে দৈনিক ৩শ টাকা হারে আদায় করেন। পুরো বাজারেই এভাবে ৭জন লাইনম্যান টাকা আদায় করে। ৮০ থেকে ৯০টি দোকানে প্রতি দিন ৪শ টাকা এবং অন্যান্য দোকানে ৩০ থেকে ৫০ টাকা হারে টাকা আদায় করা হয়।
মানিকনগর পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই মাসুদ রানা বলেন, রাস্তা দখল করে বাজার বসানো সম্পূর্ন অবৈধ। কিন্তু এরা গরীব মানুষ তাই কিছু করিনা।
ডিএমপির (পেট্রোল খিলগাও) জোনের সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মোঃ মোজাহারুল ইসলাম পিপিএম বলেন, কেউ এসব কাজে জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। তবে তিনি কোন ব্যবস্থা গ্রহন করেননি।
এব্যাপারে মতিঝিল বিভাগের ডিসি সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, এবিষয়ে আমার জানা নেই, জেনে ব্যববস্থা নিচ্ছি।