জেলা প্রতিনিধি, মুন্সিগঞ্জঃ
ঝড়ো বাতাসে পদ্মা নদীর শিমুলিয়া-বাংলাবাজার নৌরুটে প্রায় ৩শ যাত্রী নিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে এমভি নূর-ই আয়শা নামের একটি লঞ্চ। তবে লঞ্চটিতে থাকা সকল যাত্রীকে নিরাপদে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে বলে রোববার (৪এপ্রিল) রাত ১১টার দিকে নিশ্চিত করেছে মাওয়া কোস্টগার্ড স্টেশন।
এর আগে সন্ধ্যা ৭টার দিকে নৌরুটের মাঝিকান্দি চরে লঞ্চটি আটকা পড়ে।
জানা যায়, সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাংলাবাজার ঘাট থেকে ৩শ যাত্রী নিয়ে এমভি নূরই আয়শা লঞ্চটি মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটের উদ্দেশে ছেড়ে আসে। পথিমধ্যে লঞ্চটি মাঝিরকান্দি চরে পৌঁছালে ঝড়ের কবলে পড়ে। এ সময় প্রবল ঢেউয়ে লঞ্চটির ইঞ্জিনরুমে পানি ঢুকে ডোবার উপক্রম হয়। এ সময় চালক লঞ্চটিকে কোনোমতে পার্শ্ববর্তী চরে ঠেকিয়ে দিলে যাত্রী ও লঞ্চটি বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পায়।
পরে লঞ্চ থেকে যাত্রীরা চরে নেমে পড়ে। খবর পেয়ে তাদের উদ্ধার করে মাওয়া কোস্টগার্ডের সদস্যরা।
মাওয়া কোস্টগার্ডের গোয়েন্দা শাখার কর্মকর্তা মো. রেদোয়ান জানান, লঞ্চ চরে আটকে পড়ার খবর পেয়ে ৫ জনের একটি দল তাৎক্ষণিকভাবে চরে পৌঁছায়। লঞ্চের যাত্রী সংখ্যা ছিলো প্রায় ৩শ। ঘটনাস্থলে পৌছে ‘এমভি শ্রেষ্ঠ-১’ নামক অপর আরেকটি লঞ্চের মাধ্যমে দুর্ঘটনা কবলিত লঞ্চটির অধিকাংশ যাত্রীকে শিমুলিয়া ঘাটে পৌঁছে দেওয়া হয়। এছাড়া অন্যান্য মহিলা এবং শিশু যাত্রীদের পর্যায়ক্রমে স্পিডবোটের মাধ্যমে শিমুলিয়াঘাটে পৌঁছানো হয়। কারো কোনো শারীরিক ক্ষতি হয়নি।
উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করেন কোস্টগার্ড স্টেশন মাওয়ার কন্টিনজেন্ট কমান্ডার সাইফুল, এসসিপিও(এক্স) (সিডি) এবং অনান্য কোস্টগার্ড সদস্যরা।
এদিকে নারায়ণগঞ্জের শীতলক্ষ্যা নদীতে বালুবাহী বাল্কহেডের ধাক্কায় অর্ধশতাধিক যাত্রী নিয়ে লঞ্চডুবির ঘটনায় আরও এখন পর্যন্ত মোট ৫ নারীর মরদেহ উদ্ধার করেছেন ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা।
রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে শীতলক্ষ্যা নদীর মদনগঞ্জের কয়লাঘাট এলাকায় এ লঞ্চডুবির ঘটনা ঘটে।