ঢাকা ১২:১৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ




‘স্যার’ না বললে তথ্য দেবেন না উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫৮:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১ ১০৯ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ;

‘আপনারা কী আমাদের স্যারদের ভাই বলা শুরু করে দিয়েছেন? ভাই, ভাই বলেন কেন। স্যার বলতে পারেন না। এ অভ্যাস কেন আপনাদের।’ তথ্য চাইতে গেলে ক্ষেপে গিয়ে এভাবেই কথাগুলো বলেন ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিফতরের জেলা অফিসে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পাপিয়া খাতুন।

অভিযোগ রয়েছে, তথ্য চাইতে গেলে তিনি বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের হয়রানি করেন।

শনিবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে কৃষিবিষয়ক তথ্য নিতে ফোন করা হয় অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোশাররফ হোসেনের কাছে। তিনি বলেন ‘আমি ঢাকায় আছি, অফিসে পাপিয়া নামের একজন রয়েছেন। তার সঙ্গে কথা বললে তথ্য পাবেন।’

তার কাছ থেকে নম্বর নিয়ে কল দেয়া হয় পাপিয়া খাতুনকে। তিনি ঘুম ঘুম কণ্ঠে বলেন, ‘শনিবার ফোন দিয়েছেন কেন। এর প্রেক্ষিতে তাকে বলা হয় (মোশাররফ হোসেনের-কৃষি কর্মকর্তা) ভাই আপনাকে ফোন দিতে বলেছেন। তিনি বলেছেন আপনাকে ফোন দিলে তথ্যটি দেবেন।’

এ সময় পাপিয়া বলেন, ‘আপনারা আমার স্যারদের ভাই বলার অভ্যাস করে দিয়েছেন।’

কেন স্যার বলতে হবে এমন কথা বলতেই তিনি বলেন ‘বুঝলাম আপনারা ভাই বলতে পছন্দ করেন, আর আপনি যে তথ্য চাচ্ছেন তা আমি করি না, দিতে পারবো না’ বলেই লাইন কেটে দেন। শুধু এটিই নয়, জেলা কৃষি অফিসে গিয়েও কোনো তথ্য জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন অজুহাত দেখান।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ কৃষি অধিদফতরের উপ-পরিচালক আজগর আলী বলেন, বুঝতে পারছি না পাপিয়া ক্ষেপে গেল কেন। কেনই বা এমন কথার সৃষ্টি হলো। তার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি দেখছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :




‘স্যার’ না বললে তথ্য দেবেন না উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা

আপডেট সময় : ০৮:৫৮:৪০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১

জেলা প্রতিনিধি, ঝিনাইদহ;

‘আপনারা কী আমাদের স্যারদের ভাই বলা শুরু করে দিয়েছেন? ভাই, ভাই বলেন কেন। স্যার বলতে পারেন না। এ অভ্যাস কেন আপনাদের।’ তথ্য চাইতে গেলে ক্ষেপে গিয়ে এভাবেই কথাগুলো বলেন ঝিনাইদহ কৃষি সম্প্রসারণ অধিফতরের জেলা অফিসে কর্মরত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা পাপিয়া খাতুন।

অভিযোগ রয়েছে, তথ্য চাইতে গেলে তিনি বিভিন্ন সময় সাংবাদিকদের হয়রানি করেন।

শনিবার (২৭ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে কৃষিবিষয়ক তথ্য নিতে ফোন করা হয় অতিরিক্ত উপ-পরিচালক মোশাররফ হোসেনের কাছে। তিনি বলেন ‘আমি ঢাকায় আছি, অফিসে পাপিয়া নামের একজন রয়েছেন। তার সঙ্গে কথা বললে তথ্য পাবেন।’

তার কাছ থেকে নম্বর নিয়ে কল দেয়া হয় পাপিয়া খাতুনকে। তিনি ঘুম ঘুম কণ্ঠে বলেন, ‘শনিবার ফোন দিয়েছেন কেন। এর প্রেক্ষিতে তাকে বলা হয় (মোশাররফ হোসেনের-কৃষি কর্মকর্তা) ভাই আপনাকে ফোন দিতে বলেছেন। তিনি বলেছেন আপনাকে ফোন দিলে তথ্যটি দেবেন।’

এ সময় পাপিয়া বলেন, ‘আপনারা আমার স্যারদের ভাই বলার অভ্যাস করে দিয়েছেন।’

কেন স্যার বলতে হবে এমন কথা বলতেই তিনি বলেন ‘বুঝলাম আপনারা ভাই বলতে পছন্দ করেন, আর আপনি যে তথ্য চাচ্ছেন তা আমি করি না, দিতে পারবো না’ বলেই লাইন কেটে দেন। শুধু এটিই নয়, জেলা কৃষি অফিসে গিয়েও কোনো তথ্য জানতে চাইলে তিনি বিভিন্ন অজুহাত দেখান।

এ বিষয়ে ঝিনাইদহ কৃষি অধিদফতরের উপ-পরিচালক আজগর আলী বলেন, বুঝতে পারছি না পাপিয়া ক্ষেপে গেল কেন। কেনই বা এমন কথার সৃষ্টি হলো। তার সঙ্গে কথা বলে বিষয়টি দেখছি।