ঢাকা ০৩:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ জুলাই ২০২৫, ২৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
Logo রূপালী ব্যাংকের এমডি ছিলেন বঙ্গবন্ধু প্রকৌশলী পরিষদের প্রভাবশালী নেতা! Logo “আওয়ামী সুবিধাভোগী ৪ কারা কর্মকর্তার কাছে জিম্মি কারা অধিদপ্তর!” Logo পাইকগাছা-কয়রার মানুষের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে মাঠে আমিরুল ইসলাম কাগজী Logo এয়ারপোর্ট এলাকার আওয়ামীলীগ নেতা সালাউদ্দিন পিয়ারী ইয়াসিন ধরাছোঁয়ার বাইরে! Logo পিরোজপুর-২ আসনে জনগণের জন্য কাজ করতে চান ফকরুল আলম: নির্বাচনের প্রস্তুতি তুঙ্গে Logo পাওনা টাকা চাওয়ায় সাংবাদিকের উপর হামলা: নেপথ্যে কসাই পারভেজ ধরাছোঁয়ার বাইরে Logo ৩৬ জুলাই: যেভাবে প্রতীকী ক্যালেন্ডার হয়ে উঠল জাতীয় প্রতিরোধের হাতিয়ার Logo বাকেরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের নেতার উপর সন্ত্রাসী হামলা Logo গণপূর্ত প্রকৌশলী জহির রায়হানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগে দুদকের অভিযান Logo “শতকোটি টাকার দুর্নীতির সাম্রাজ্য: তাপসের ঘনিষ্ট ডিএসসিসির শাহজাহান আলীর ফাঁদে ঢাকা দক্ষিণ সিটি”

পুলিশের তিন মামলায় আসামি সাড়ে ৬ হাজার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:২৫:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১ ২০৮ বার পড়া হয়েছে

জেলা প্রতিনিধি;

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (২৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাদী হয় দু’টি মামলা দায়ের করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও ২নং পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় দু’টি মামলায় অজ্ঞাত চার-পাঁচ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।

এছাড়াও সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোসলেহ উদ্দিন বাদী হয়ে আরও একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় আটক ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত প্রায় দেড় হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় শুক্রবার (২৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসা ও ভাদুঘর সিরাজুল উলুম মাদরাসার ছাত্ররা। তারা জেলা সদরের ভাদুঘর এলাকার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে।

এরপর বিকেল ৪টায় বিক্ষুব্ধরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। পরে তারা বিকেল ৫টায় রেলওয়ে স্টেশন ফাঁড়িতে হামলা চালান। এ ঘটনায় সাত ঘণ্টা ঢাকা-সিলেট রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।

এছাড়াও এসময় তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয় এবং জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।

এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ২নং ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) নূরে আলমসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। এদের মধ্যে নূরে আলমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

পুলিশের তিন মামলায় আসামি সাড়ে ৬ হাজার

আপডেট সময় : ০৮:২৫:১৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ মার্চ ২০২১

জেলা প্রতিনিধি;

ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা শহরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার (২৭ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোজাম্মেল হোসেন রেজা জাগো নিউজকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

সদর মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ শাহজাহান জানান, সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাদী হয় দু’টি মামলা দায়ের করেছেন। ব্রাহ্মণবাড়িয়া পুলিশ সুপারের কার্যালয় ও ২নং পুলিশ ফাঁড়িতে হামলার ঘটনায় দু’টি মামলায় অজ্ঞাত চার-পাঁচ হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।

এছাড়াও সদর মডেল থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোসলেহ উদ্দিন বাদী হয়ে আরও একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় আটক ১৪ জনের নাম উল্লেখসহ আরও অজ্ঞাত প্রায় দেড় হাজার জনকে আসামি করা হয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফর ও জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে ধাওয়া-পাল্টাধাওয়ার ঘটনায় শুক্রবার (২৬ মার্চ) বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে জেলা শহরের বিভিন্ন স্থানে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করে জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুছিয়া মাদরাসা ও ভাদুঘর সিরাজুল উলুম মাদরাসার ছাত্ররা। তারা জেলা সদরের ভাদুঘর এলাকার কুমিল্লা-সিলেট মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে যান চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে।

এরপর বিকেল ৪টায় বিক্ষুব্ধরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ। পরে তারা বিকেল ৫টায় রেলওয়ে স্টেশন ফাঁড়িতে হামলা চালান। এ ঘটনায় সাত ঘণ্টা ঢাকা-সিলেট রুটে ট্রেন চলাচল বন্ধ থাকে।

এছাড়াও এসময় তারা ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, মৎস্য কর্মকর্তার কার্যালয়, সিভিল সার্জনের কার্যালয় এবং জেলা পরিষদের ডাকবাংলোতে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেন।

এ ঘটনায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানা পুলিশের ২নং ফাঁড়ির পরিদর্শক (ইন্সপেক্টর) নূরে আলমসহ অন্তত ১৫ জন আহত হন। এদের মধ্যে নূরে আলমকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকায় পাঠানো হয়।